বাণিজ্যে ভারতের পাশে আছি : মার্কেল
জার্মানির শিল্পপতিরা সহজেই ভারতে ব্যবসা করার সুযোগ-সুবিধা পাবেন তা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হল ভারত ও জার্মানির মধ্যে। সোমবার নয়াদিল্লিতে জার্মানির চ্যান্সেলর আঞ্জেলো মারকেল ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ফাস্ট ট্র্যাক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পাশাপাশি ১৮টি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অপ্রচলিত শক্তি ও প্রযুক্তির উন্নয়ন নিয়ে স্বাক্ষরিত হয় মউ। ভারতের পরিবেশ ও সোলার প্রকল্প উন্নয়নে ১০০ কোটি ইউরো সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন জার্মান চ্যান্সেলর। নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, বাণিজ্য, অপ্রচলিত শক্তিসহ একাধিক বিষয়ে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হওয়া নিয়ে কথা হয়। দু’দিনের সফরে ভারতে এসেছেন জার্মান চ্যান্সেলর। রোববার তিনি পৌঁছেন দিল্লিতে। এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে অভ্যর্থনায় আপ্লুত অ্যাঞ্জেলো বলেন,”ভারতের উন্নয়নে মোদির সব সদর্থক পদক্ষেপের পাশে থাকবে জার্মানি। আমরা অর্থনীতি, কৃষি, শিল্প,
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতকে সহযোগিতা করব। রোববার অ্যাঞ্জেলো আসার পরই মোদি টুইট করেছিলেন, নমস্তে চ্যান্সেলর মারকেল। উষ্ণ অভ্যর্থনা রইল আপনার ও আপনার সঙ্গীদের জন্য। আজ ব্যাঙ্গালুরু যাওয়ার কথা মোদির। সেখানে ন্যাসকম আয়োজিত একটি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন জার্মান চ্যান্সেলর। জার্মানি ইতিমধ্যে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য-সহযোগী হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। তাই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে দু’নেতাই আগ্রহী। কিন্তু ইউরোপের বৃহৎ শক্তি জার্মানি ছাড়া গত বছরে ইউরোপের প্রকাশিত বাণিজ্য তালিকায় ২৫তম অবস্থানে রয়েছে ভারত। গত বছর তাদের বাণিজ্যের পারিমাণ ছিল ১৬০০ কোটি ইউরো (১৭৯০ কোটি ডলার)। গত এপ্রিলে মোদির জার্মানি সফরে মারকেল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পকে সমর্থন করেন ও বিনিয়োগের আশ্বাস দেন। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, চীনকে টপকানোর জন্য ভারতের মোট ৩ হাজার কোটি ডলার ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। যা এফডিআইয়ের মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়ে সবুজ অর্থনীতিতে ব্যয় হবে।
No comments