দীর্ঘ রাজনৈতিক সংকটের কারণেই জঙ্গিবাদ বাড়ছে -এএফপির বিশ্লেষণ
পাঁচ
দিনের ব্যবধানে দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের
ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির বিষয়টিকে সামনে এনেছে। দেশে দীর্ঘ রাজনৈতিক সংকটের
কারণেই সরকারবিরোধীরা চরমপন্থায় ঝুঁকছে। বিশ্লেষকেরা এ মন্তব্য করেছেন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় খুন হন ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলা। এরপর ৩ অক্টোবর রংপুরে খুন হন জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এসব হত্যাকাণ্ডে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সম্পৃক্ততার বিষয়ে তাঁরা সন্দিহান। তবে ধর্মীয় সহিষ্ণুতার জন্য পরিচিত বাংলাদেশে যেসব কট্টরপন্থীর এত দিন রাজনীতির মূল ধারার জায়গা হয়নি, তারা যে এখন ক্রমবর্ধমানভাবে বেপরোয়া পদক্ষেপের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়ার চেষ্টা করছে, এটা মানছেন বিশ্লেষকেরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আলী রীয়াজ বলেন, এই হত্যাকাণ্ডগুলো খুবই অশুভ লক্ষণ। এগুলো যে জঙ্গিরাই করছে, তার একটা নমুনা রয়েছে। এ কারণে প্রত্যেকেই উদ্বিগ্ন। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড চলতে থাকলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে পড়বে। গত এক দশক ধরে দেশটির বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের ওপরে রয়েছে। এখন বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদার ওপর এসব ঘটনার ছায়া পড়বে।
অর্থনীতির চেহারা যা-ই হোক, গত তিন বছরে বাংলাদেশে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেই জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। প্রবীণ রাজনীতি বিশ্লেষক আতাউর রহমানের মতে, কট্টর ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে সরকারের দমনপীড়নের কারণে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটছে। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে লোকজনের একটা বড় অংশই এখন ক্ষুব্ধ। ইসলামপন্থী দলগুলোসহ কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী এখন এতটাই উদ্বিগ্ন যে তারা বিভিন্ন বেপরোয়া পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে।
চলতি বছর বাংলাদেশে চারজন ব্লগার নিহত হয়েছেন, যাঁর মধ্যে তিনজনের হত্যার দায় স্বীকার করেছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামের জঙ্গিগোষ্ঠী। আর দুই বিদেশি নাগরিককে আইএস জঙ্গিরা হত্যা করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
ঢাকার বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক আবদুর রবও দুই বিদেশি নাগরিক হত্যায় আইএসের সম্পৃক্ততা নিয়ে সন্দিহান। তবে তিনি বলেন, এখানে জঙ্গিদের অস্তিত্ব আছে এবং তাদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
আলী রীয়াজও বলছেন, দুই বিদেশি নাগরিক হত্যায় আইএসের সম্পৃক্ততা নিয়ে যাঁরা সন্দিহান, তাঁদের সঙ্গে তিনি একমত। তবে তিনি মনে করেন, সাম্প্রতিক সময়ে সরকারবিরোধীদের ওপর ধরপাকড়ের বিষয়টি একটা পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে, যা এখন জঙ্গিদের আকৃষ্ট করেছে। আলী রীয়াজ বলেন, গণতন্ত্রের জায়গা যত বেশি সংকুচিত হবে, জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীগুলোর বিস্তার ততই বাড়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় খুন হন ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলা। এরপর ৩ অক্টোবর রংপুরে খুন হন জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এসব হত্যাকাণ্ডে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সম্পৃক্ততার বিষয়ে তাঁরা সন্দিহান। তবে ধর্মীয় সহিষ্ণুতার জন্য পরিচিত বাংলাদেশে যেসব কট্টরপন্থীর এত দিন রাজনীতির মূল ধারার জায়গা হয়নি, তারা যে এখন ক্রমবর্ধমানভাবে বেপরোয়া পদক্ষেপের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়ার চেষ্টা করছে, এটা মানছেন বিশ্লেষকেরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আলী রীয়াজ বলেন, এই হত্যাকাণ্ডগুলো খুবই অশুভ লক্ষণ। এগুলো যে জঙ্গিরাই করছে, তার একটা নমুনা রয়েছে। এ কারণে প্রত্যেকেই উদ্বিগ্ন। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড চলতে থাকলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে পড়বে। গত এক দশক ধরে দেশটির বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের ওপরে রয়েছে। এখন বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদার ওপর এসব ঘটনার ছায়া পড়বে।
অর্থনীতির চেহারা যা-ই হোক, গত তিন বছরে বাংলাদেশে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেই জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। প্রবীণ রাজনীতি বিশ্লেষক আতাউর রহমানের মতে, কট্টর ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে সরকারের দমনপীড়নের কারণে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটছে। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে লোকজনের একটা বড় অংশই এখন ক্ষুব্ধ। ইসলামপন্থী দলগুলোসহ কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী এখন এতটাই উদ্বিগ্ন যে তারা বিভিন্ন বেপরোয়া পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে।
চলতি বছর বাংলাদেশে চারজন ব্লগার নিহত হয়েছেন, যাঁর মধ্যে তিনজনের হত্যার দায় স্বীকার করেছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামের জঙ্গিগোষ্ঠী। আর দুই বিদেশি নাগরিককে আইএস জঙ্গিরা হত্যা করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
ঢাকার বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক আবদুর রবও দুই বিদেশি নাগরিক হত্যায় আইএসের সম্পৃক্ততা নিয়ে সন্দিহান। তবে তিনি বলেন, এখানে জঙ্গিদের অস্তিত্ব আছে এবং তাদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
আলী রীয়াজও বলছেন, দুই বিদেশি নাগরিক হত্যায় আইএসের সম্পৃক্ততা নিয়ে যাঁরা সন্দিহান, তাঁদের সঙ্গে তিনি একমত। তবে তিনি মনে করেন, সাম্প্রতিক সময়ে সরকারবিরোধীদের ওপর ধরপাকড়ের বিষয়টি একটা পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে, যা এখন জঙ্গিদের আকৃষ্ট করেছে। আলী রীয়াজ বলেন, গণতন্ত্রের জায়গা যত বেশি সংকুচিত হবে, জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীগুলোর বিস্তার ততই বাড়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।
No comments