‘আইএসের দাবি’ মুনীরুজ্জামানের বিশ্লেষণ
আইএস
সব জায়গায় তাদের মতাদর্শে বিশ্বাস করে এমন সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগের
মাধ্যমে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি
স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) এম মুনীরুজ্জামান। বাংলাদেশে দুই
বিদেশী নাগরিক হত্যায় আইএস সংশ্লিষ্টতা প্রসঙ্গে চলমান বিতর্ক নিয়ে
বিস্তারিত বিশ্লেষণ করেছেন তিনি। বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ
বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। বাংলাদেশে আইএসের তৎপরতা নেই প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার এমন দাবির বিষয়ে জেনারেল (অব.) এম মুনীরুজ্জামান বলেন, এটা কি
তথ্যের ওপর প্রকাশ করা হয়েছে সেটা আমি জানি না। আইএস সম্পর্কে
আন্তর্জাতিকভাবে যে তথ্য পাওয়া যায় কিংবা আমরা বিশ্লেষণ করে যে ধরনের তথ্য
পাই তাতে দেখা যাচ্ছে- আইএস সব জায়গায় তাদের মতাদর্শে বিশ্বাস করে এমন
সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। অথবা তাদের
ওপর আস্থা আছে এমন কোন দল যদি এ ধরনের অপারেশন করে থাকে তাহলে তাদের
স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশে যে ধরনের স্বীকৃতি এসেছে তাতে মনে হয় সেটা ওই
ধরনের স্বীকৃতি। অর্থাৎ তাদের মতাদর্শে বিশ্বাস করে এমন কর্মকাণ্ড পরিচালনা
করে থাকতে পারে সেটা আইএস স্বীকৃতি দিয়েছে।
আইএসের হত্যাকাণ্ডের ধরনের সঙ্গে বাংলাদেশে দুই বিদেশী হত্যাকাণ্ডের মিল না থাকার বিষয়ে মুনীরুজ্জামান বলেন, আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় যখন এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হয়, তখন তারা বর্বরভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটায়। কিন্তু আইএস বর্তমানে সিরিয়া ও ইরাকের বাইরেও তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। সেখানে তারা নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। সিরিয়া ও ইরাকের বাইরে আইএস প্রথমবারের মতো চেসনিয়ায় তাদের একজন কামান্ডার নিয়োগ করেছে। আমাদের উপমহাদেশে আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, এখানে একটি প্রভাব বিস্তারের জন্য এক ধরনের প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। আল-কায়েদা ওই অঞ্চলে তাদের প্রভাব বিস্তারের জন্য কিছু কর্মকাণ্ড পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছিল। একইসঙ্গে আইএস প্রভাব বিস্তারের জন্য নতুন নতুন পরিকল্পনা নিচ্ছে। স্থানীয় জঙ্গিরা দুই বিদেশী হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে প্রচারের জন্য আইএসের নাম ব্যবহার করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আন্তর্জাতিক এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে আইএস বলছে- তাদের অন্তর্ভুক্ত কোন সদস্য হিসেবে কাজ করতে হবে সেটার কোন প্রয়োজন নেই। যেখানে তাদের মতাদর্শের দল বা সংগঠন বা ছোট দল কাজ করে থাকে তার সঙ্গে আইএসের একটা যোগসূত্র স্থাপন হয়। সবাইকে তাদের সঙ্গে যোগ দিতে হবে এমন কোন প্রয়োজন নেই। নিজ নিজ স্থান থেকে জিহাদ ঘোষণা করা যাবে সার্বিক আইএসের মতাদর্শের ওপর ভিত্তি করেই। কাজেই এখানে ছোট দল আইএসের নাম ব্যবহার করে কোন কর্মকাণ্ড করেছে অথবা ছোট দল কোন কর্মকাণ্ড করেছে যেটা আইএস স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে আইএসের প্রভাব এখানে আছে সেটা মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশের মানুষ আইএসের কর্মকাণ্ড পছন্দ করে না, এরকম সংস্কৃতিতে আইএস ঢুকে পড়া সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একেবারেই সম্ভব। কারণ আইএসের কর্মকাণ্ডের প্রধান মাধ্যম হলো সাইবার রেডিক্যালাইজেশন। যেখানে কোন ভৌগোলিক সীমারেখা নেই। কাজেই বাংলাদেশ থেকে যেসব যোদ্ধা আইএসে যোগ দিয়েছেন খুব সম্ভবত তারা সাইবার রেডিক্যালাইজেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছেন। এটাও দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে বাংলাদেশে উগ্র মতবাদ বা সন্ত্রাসবাদ বিস্তারের যে প্রয়াস তার সঙ্গে আমাদের যে ধারণা ছিল বাংলাদেশ একটি উদার মুসলিম রাষ্ট্র সেখান থেকে একটা বড় ধরনের শঙ্কা দেখা দিচ্ছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রের ভেতর বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। সামাজিক পরিবর্তন আসছে। বর্তমানে রাজনৈতিক একটি অচলাবস্থা ও শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। সেই শূন্যতা পূরণের জন্য বিভিন্ন উগ্র মতবাদী দল ও সন্ত্রাসীরা তাদের প্রভাব বিস্তারের জন্য মরিয়া হয়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
আইএসের হত্যাকাণ্ডের ধরনের সঙ্গে বাংলাদেশে দুই বিদেশী হত্যাকাণ্ডের মিল না থাকার বিষয়ে মুনীরুজ্জামান বলেন, আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় যখন এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হয়, তখন তারা বর্বরভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটায়। কিন্তু আইএস বর্তমানে সিরিয়া ও ইরাকের বাইরেও তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। সেখানে তারা নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। সিরিয়া ও ইরাকের বাইরে আইএস প্রথমবারের মতো চেসনিয়ায় তাদের একজন কামান্ডার নিয়োগ করেছে। আমাদের উপমহাদেশে আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, এখানে একটি প্রভাব বিস্তারের জন্য এক ধরনের প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। আল-কায়েদা ওই অঞ্চলে তাদের প্রভাব বিস্তারের জন্য কিছু কর্মকাণ্ড পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছিল। একইসঙ্গে আইএস প্রভাব বিস্তারের জন্য নতুন নতুন পরিকল্পনা নিচ্ছে। স্থানীয় জঙ্গিরা দুই বিদেশী হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে প্রচারের জন্য আইএসের নাম ব্যবহার করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আন্তর্জাতিক এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে আইএস বলছে- তাদের অন্তর্ভুক্ত কোন সদস্য হিসেবে কাজ করতে হবে সেটার কোন প্রয়োজন নেই। যেখানে তাদের মতাদর্শের দল বা সংগঠন বা ছোট দল কাজ করে থাকে তার সঙ্গে আইএসের একটা যোগসূত্র স্থাপন হয়। সবাইকে তাদের সঙ্গে যোগ দিতে হবে এমন কোন প্রয়োজন নেই। নিজ নিজ স্থান থেকে জিহাদ ঘোষণা করা যাবে সার্বিক আইএসের মতাদর্শের ওপর ভিত্তি করেই। কাজেই এখানে ছোট দল আইএসের নাম ব্যবহার করে কোন কর্মকাণ্ড করেছে অথবা ছোট দল কোন কর্মকাণ্ড করেছে যেটা আইএস স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে আইএসের প্রভাব এখানে আছে সেটা মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশের মানুষ আইএসের কর্মকাণ্ড পছন্দ করে না, এরকম সংস্কৃতিতে আইএস ঢুকে পড়া সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একেবারেই সম্ভব। কারণ আইএসের কর্মকাণ্ডের প্রধান মাধ্যম হলো সাইবার রেডিক্যালাইজেশন। যেখানে কোন ভৌগোলিক সীমারেখা নেই। কাজেই বাংলাদেশ থেকে যেসব যোদ্ধা আইএসে যোগ দিয়েছেন খুব সম্ভবত তারা সাইবার রেডিক্যালাইজেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছেন। এটাও দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে বাংলাদেশে উগ্র মতবাদ বা সন্ত্রাসবাদ বিস্তারের যে প্রয়াস তার সঙ্গে আমাদের যে ধারণা ছিল বাংলাদেশ একটি উদার মুসলিম রাষ্ট্র সেখান থেকে একটা বড় ধরনের শঙ্কা দেখা দিচ্ছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রের ভেতর বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। সামাজিক পরিবর্তন আসছে। বর্তমানে রাজনৈতিক একটি অচলাবস্থা ও শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। সেই শূন্যতা পূরণের জন্য বিভিন্ন উগ্র মতবাদী দল ও সন্ত্রাসীরা তাদের প্রভাব বিস্তারের জন্য মরিয়া হয়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
No comments