মা-ছেলের অশ্রুসিক্ত সাক্ষাৎ
বিএনপির
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন পর আবারও সাক্ষাৎ হলো তারেক
রহমানের। লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে মাকে অভ্যর্থনা জানান
তারেক রহমান। প্রথম দেখাতেই অশ্রুসিক্ত মা-ছেলে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন।
সেখান থেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে সামনের আসনে বসিয়ে মাকে নিয়ে যান তিনি।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন খালেদা জিয়া। দেশটিতে পৌঁছার পর খালেদা জিয়া কোথায় উঠেছেন সে বিষয়টি গোপন রাখছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা-কর্মীরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ার আশঙ্কা থেকেই তাঁর অবস্থান ও কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে দলটির নেতারা জানান। খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১১ সালের মে মাসে লন্ডন গিয়েছিলেন।
লন্ডনের স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার সকাল সাতটায় এমিরেটস এয়ারওয়েজের একটি বিমানে খালেদা জিয়া হিথরো বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদসহ কয়েকজন নেতা টার্মিনাল-৩ এর ভিআইপি লাউঞ্জে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে এ সময় দলের কয়েক শ নেতা-কর্মী বিমানবন্দরের টার্মিনালের বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন।
এম এ মালেক প্রথম আলোকে বলেন, বিমানবন্দরে মা-ছেলে অশ্রুসিক্ত নয়নে একে অপরকে জড়িয়ে ধরার পর মাথায় হাত বুলিয়ে, মুখে চুমু দিয়ে ছেলেকে আদর করেন খালেদা জিয়া। এটা ছিল খুব আবেগঘন মুহূর্ত। ভিআইপি লাউঞ্জে তাঁরা কিছু সময় কাটান। একে অপরের খোঁজখবর নেন। ছোট ভাই আরাফাত রহমানের মৃত্যুর পর এটাই ছিল মায়ের সঙ্গে তারেক রহমানের প্রথম সাক্ষাৎ।
খালেদা জিয়া হিথরো বিমানবন্দরের কাছে একটি হোটেলে যাবেন—এমন খবরে অনেক নেতা-কর্মী সেখানে জড়ো হন। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আটটা ৪৫ মিনিটে গাড়িতে করে খালেদা জিয়া হোটেলের সামনে এলে নেতা-কর্মীদের হুড়োহুড়ির মধ্যে কিছুক্ষণের জন্য গাড়ি থামে। গাড়ির সামনের আসনে বসা খালেদা জিয়া হাত নেড়ে নেতা-কর্মীদের অভ্যর্থনার জবাব দেন। এরপর তারেক রহমান গাড়ি চালিয়ে মাকে নিয়ে চলে যান।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক প্রথম আলোকে বলেন, নির্ধারিত হোটেলেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে গেছেন তারেক রহমান। ওই হোটেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী-সন্তানেরা খালেদা জিয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। স্বজনদের নিয়ে খালেদা জিয়া এ হোটেলেই থাকবেন। দলীয় এক সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া পশ্চিম লন্ডনের একটি হোটেলে উঠেছেন।
খালেদা জিয়ার সফরসূচি সম্পর্কে এম এ মালেক বলেন, ‘মূলত চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে এসেছেন। এখানে তাঁর পরিবার আছে। তারাই ঠিক করবে তিনি কখন কী করবেন। তবে আজ (গতকাল বুধবার) তিনি আপনজনদের নিয়ে হোটেলে বিশ্রাম করবেন।’ তিনি বলেন, ঈদের দিন খালেদা জিয়া সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারেন। দলের পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্যপ্রবাসীদের নিয়ে একটি সমাবেশ আয়োজনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে খালেদা জিয়ার লন্ডন আগমনকে কেন্দ্র করে হিথরো বিমানবন্দরে বিক্ষোভ করেছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ। তারা টার্মিনাল-৩ এ অবস্থান নেয়। এ সময় নেতা-কর্মীদের হাতে ছিল বিএনপির টানা তিন মাসের আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত নানা সহিংস ঘটনার ছবি।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডন পাড়ি জমান। সেই থেকে তিনি সপরিবারে লন্ডনে অবস্থান করছেন।
২০১১ সালের মে মাসে খালেদা জিয়া লন্ডনে গেলে তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। এরপর ২০১৪ সালের জুলাইয়ে সৌদি আরবে ওমরাহ করতে গিয়ে দেখা হয় মা-ছেলের। দীর্ঘদিন পর এবার খালেদা জিয়া লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করবেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন খালেদা জিয়া। দেশটিতে পৌঁছার পর খালেদা জিয়া কোথায় উঠেছেন সে বিষয়টি গোপন রাখছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা-কর্মীরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ার আশঙ্কা থেকেই তাঁর অবস্থান ও কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে দলটির নেতারা জানান। খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১১ সালের মে মাসে লন্ডন গিয়েছিলেন।
লন্ডনের স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার সকাল সাতটায় এমিরেটস এয়ারওয়েজের একটি বিমানে খালেদা জিয়া হিথরো বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদসহ কয়েকজন নেতা টার্মিনাল-৩ এর ভিআইপি লাউঞ্জে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে এ সময় দলের কয়েক শ নেতা-কর্মী বিমানবন্দরের টার্মিনালের বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন।
এম এ মালেক প্রথম আলোকে বলেন, বিমানবন্দরে মা-ছেলে অশ্রুসিক্ত নয়নে একে অপরকে জড়িয়ে ধরার পর মাথায় হাত বুলিয়ে, মুখে চুমু দিয়ে ছেলেকে আদর করেন খালেদা জিয়া। এটা ছিল খুব আবেগঘন মুহূর্ত। ভিআইপি লাউঞ্জে তাঁরা কিছু সময় কাটান। একে অপরের খোঁজখবর নেন। ছোট ভাই আরাফাত রহমানের মৃত্যুর পর এটাই ছিল মায়ের সঙ্গে তারেক রহমানের প্রথম সাক্ষাৎ।
খালেদা জিয়া হিথরো বিমানবন্দরের কাছে একটি হোটেলে যাবেন—এমন খবরে অনেক নেতা-কর্মী সেখানে জড়ো হন। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আটটা ৪৫ মিনিটে গাড়িতে করে খালেদা জিয়া হোটেলের সামনে এলে নেতা-কর্মীদের হুড়োহুড়ির মধ্যে কিছুক্ষণের জন্য গাড়ি থামে। গাড়ির সামনের আসনে বসা খালেদা জিয়া হাত নেড়ে নেতা-কর্মীদের অভ্যর্থনার জবাব দেন। এরপর তারেক রহমান গাড়ি চালিয়ে মাকে নিয়ে চলে যান।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক প্রথম আলোকে বলেন, নির্ধারিত হোটেলেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে গেছেন তারেক রহমান। ওই হোটেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী-সন্তানেরা খালেদা জিয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। স্বজনদের নিয়ে খালেদা জিয়া এ হোটেলেই থাকবেন। দলীয় এক সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া পশ্চিম লন্ডনের একটি হোটেলে উঠেছেন।
খালেদা জিয়ার সফরসূচি সম্পর্কে এম এ মালেক বলেন, ‘মূলত চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে এসেছেন। এখানে তাঁর পরিবার আছে। তারাই ঠিক করবে তিনি কখন কী করবেন। তবে আজ (গতকাল বুধবার) তিনি আপনজনদের নিয়ে হোটেলে বিশ্রাম করবেন।’ তিনি বলেন, ঈদের দিন খালেদা জিয়া সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারেন। দলের পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্যপ্রবাসীদের নিয়ে একটি সমাবেশ আয়োজনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে খালেদা জিয়ার লন্ডন আগমনকে কেন্দ্র করে হিথরো বিমানবন্দরে বিক্ষোভ করেছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ। তারা টার্মিনাল-৩ এ অবস্থান নেয়। এ সময় নেতা-কর্মীদের হাতে ছিল বিএনপির টানা তিন মাসের আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত নানা সহিংস ঘটনার ছবি।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডন পাড়ি জমান। সেই থেকে তিনি সপরিবারে লন্ডনে অবস্থান করছেন।
২০১১ সালের মে মাসে খালেদা জিয়া লন্ডনে গেলে তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। এরপর ২০১৪ সালের জুলাইয়ে সৌদি আরবে ওমরাহ করতে গিয়ে দেখা হয় মা-ছেলের। দীর্ঘদিন পর এবার খালেদা জিয়া লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করবেন।
No comments