‘মাংস বিক্রি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়’
মাংস
বিক্রি নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট কড়া মনোভাব দেখালেন। আজ
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, মানুষের ওপর এই ধরনের
সিদ্ধান্ত জবরদস্তি করে চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। সহিষ্ণুতার মনোভাব জাগিয়ে
তোলা প্রয়োজন।
এর ফলে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে মাছ-মাংস বিক্রির ওপর হুটহাট নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রবণতা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য বম্বে হাইকোর্টকে বলেছেন, ধর্মীয় উৎসবের সময় মাংস বিক্রি বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা উচিত কি না, সে বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে যেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জৈন ধর্মাবলম্বীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হলো পযুর্সান। এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় জৈনরা উপবাস করেন। ১৯৯৪ সালে কংগ্রেস শাসনামলে এই উৎসব উপলক্ষে দুই দিনের জন্য মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ১০ বছর পরে দুই দিনের নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে চার দিন করা হলেও কখনো তা কঠোরভাবে বলবৎ করার চেষ্টা প্রশাসনে ছিল না। মহারাষ্ট্র রাজ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার গঠনের পর এ বছর সেই নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন কঠোর মনোভাব দেখায়। এতে নতুনভাবে বিতর্ক শুরু হয়। শিবসেনা ও মহারাষ্ট্র নির্মাণ সেনা বিজেপির এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ এক দিনে নামিয়ে আনা হলেও তা নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা শুরু হয়।
বম্বে হাইকোর্ট প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার ওপর স্থগিতাদেশ দিলে জৈনদের এক সংগঠন তা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। বিচারপতি টি এস ঠাকুর ও কুরিয়েন জোশেফ আজ বৃহস্পতিবার সেই আবেদন শুনতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, আদেশটি অন্তর্বর্তীকালীন। তা ছাড়া মাত্র এক দিনের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃহস্পতিবারই শেষ হচ্ছে। অতএব আবেদনকারীদের হাইকোর্টেই যেতে হবে। ছয় মাসের মধ্যে এ বিষয়ে হাইকোর্টকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেন, এই ধরনের বিষয় মানুষের ওপর জোর-জবরদস্তি করে চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। সবারই উচিত সহিষ্ণু হওয়া।
দেশের বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে আমিষ খাবারের ওপর কোপ পড়া শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে গরুর মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ হয়েছে। জৈনদের উৎসব উপলক্ষে মাছ-মাংসের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারির চেষ্টা হয়েছে। রাজস্থান ও ছত্তিশগড়েও এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। ছত্তিশগড়ে মিড ডে মিলে ডিম দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গরু জবাই ও গরুর মাংস বিক্রির ওপর জম্মু-কাশ্মীরে ১৯৩৪ সালে জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করার নির্দেশ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে গরু ও সার্বিকভাবে মাংস বিক্রি নিয়ে জবরদস্তি সিদ্ধান্তে বিভিন্ন রাজ্যে সামাজিক ও ধর্মীয় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের আজকের মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে বম্বে হাইকোর্ট জানিয়েছিলেন, মানুষের খাওয়ার অভ্যাসের ওপর হঠাৎ করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা করা ঠিক নয়। একেবারে শেষ মুহূর্তে এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়।
এর ফলে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে মাছ-মাংস বিক্রির ওপর হুটহাট নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রবণতা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য বম্বে হাইকোর্টকে বলেছেন, ধর্মীয় উৎসবের সময় মাংস বিক্রি বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা উচিত কি না, সে বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে যেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জৈন ধর্মাবলম্বীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হলো পযুর্সান। এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় জৈনরা উপবাস করেন। ১৯৯৪ সালে কংগ্রেস শাসনামলে এই উৎসব উপলক্ষে দুই দিনের জন্য মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ১০ বছর পরে দুই দিনের নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে চার দিন করা হলেও কখনো তা কঠোরভাবে বলবৎ করার চেষ্টা প্রশাসনে ছিল না। মহারাষ্ট্র রাজ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার গঠনের পর এ বছর সেই নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন কঠোর মনোভাব দেখায়। এতে নতুনভাবে বিতর্ক শুরু হয়। শিবসেনা ও মহারাষ্ট্র নির্মাণ সেনা বিজেপির এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ এক দিনে নামিয়ে আনা হলেও তা নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা শুরু হয়।
বম্বে হাইকোর্ট প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার ওপর স্থগিতাদেশ দিলে জৈনদের এক সংগঠন তা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। বিচারপতি টি এস ঠাকুর ও কুরিয়েন জোশেফ আজ বৃহস্পতিবার সেই আবেদন শুনতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, আদেশটি অন্তর্বর্তীকালীন। তা ছাড়া মাত্র এক দিনের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃহস্পতিবারই শেষ হচ্ছে। অতএব আবেদনকারীদের হাইকোর্টেই যেতে হবে। ছয় মাসের মধ্যে এ বিষয়ে হাইকোর্টকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেন, এই ধরনের বিষয় মানুষের ওপর জোর-জবরদস্তি করে চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। সবারই উচিত সহিষ্ণু হওয়া।
দেশের বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে আমিষ খাবারের ওপর কোপ পড়া শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে গরুর মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ হয়েছে। জৈনদের উৎসব উপলক্ষে মাছ-মাংসের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারির চেষ্টা হয়েছে। রাজস্থান ও ছত্তিশগড়েও এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। ছত্তিশগড়ে মিড ডে মিলে ডিম দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গরু জবাই ও গরুর মাংস বিক্রির ওপর জম্মু-কাশ্মীরে ১৯৩৪ সালে জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করার নির্দেশ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে গরু ও সার্বিকভাবে মাংস বিক্রি নিয়ে জবরদস্তি সিদ্ধান্তে বিভিন্ন রাজ্যে সামাজিক ও ধর্মীয় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের আজকের মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে বম্বে হাইকোর্ট জানিয়েছিলেন, মানুষের খাওয়ার অভ্যাসের ওপর হঠাৎ করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা করা ঠিক নয়। একেবারে শেষ মুহূর্তে এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়।
No comments