ডাকটিকিটে থাকবেন না ইন্দিরা আর রাজীব
ভারতের
সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধীর নামাঙ্কিত নতুন
কোনো ডাকটিকিট আর ছাপা হবে না। বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার
আধুনিক ভারতের নির্মাতাদের যে নতুন তালিকা তৈরি করেছে, যাঁদের নামে নতুন
করে ডাকটিকিট প্রকাশিত হবে, সেই তালিকায় এই দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে
রাখা হয়নি। এক সর্বভারতীয় দৈনিকের পক্ষ থেকে তথ্য অধিকার আইনে করা
আবেদনের ভিত্তিতে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানা গেছে।
ইন্দিরা-রাজীবের নাম বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প থেকে মুছে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত বিজেপি সরকার নিয়েছে, এই উদ্যোগ তারই অংশ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। কংগ্রেস আমলে ২০০৮ সালে দেশের নয়জন কৃতী সন্তানের নামে ডাকটিকিট প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ‘আধুনিক ভারতের নির্মাতা’ নামের সেই সিরিজে ইন্দিরা ও রাজীব ছাড়াও ছিলেন মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, বি আর আম্বেদকর, হোমি ভাবা, জে আর ডি টাটা, সত্যজিৎ রায় ও মাদার তেরেসা। পরে ওই তালিকায় যোগ হয় ই ভি রামস্বামী, সি ভি রমন ও রুক্মিনী দেবী অরুণডেলের নাম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার সেই তালিকায় পরিবর্তন ঘটিয়ে ‘ভারত নির্মাতা’ নামের এক নতুন তালিকা প্রস্তুত করেছে। এতে ইন্দিরা-রাজীব ছাড়াও বাদ পড়েছেন সি ভি রমন, হোমি ভাবা, জে আরডি টাটা ও সত্যজিৎ রায়। নতুন তালিকায় স্থান হয়েছে ছত্রপতি শিবাজি, মহারানা প্রতাপ, বাল গঙ্গাধর তিলক, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পণ্ডিত রবিশঙ্কর, বিসমিল্লাহ খান, ভীমসেন জোশি, মাওলানা আজাদ, রাজেন্দ্র প্রসাদ, ভগত সিংসহ বেশ কিছু ব্যক্তিত্বের।
নরেন্দ্র মোদিসহ বিজেপির একাধিক নেতা বহুবারই দেশকে ‘কংগ্রেসমুক্ত’ করার ডাক দিয়েছেন। গত এপ্রিল মাসেই ইন্দিরা ও রাজীবের নামে প্রচলিত দুটি সরকারি পুরস্কারের নাম বদলে দেওয়া হয়।
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরযেওয়ালা ও আনন্দ শর্মা এই উদ্যোগের সমালোচনা করে বলেছেন, মোদি যে কতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ, তা এই সিদ্ধান্তগুলোর মধ্য দিয়ে বোঝা যায়। জবাবে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, ভারত মানে কোনো একটি রাজনৈতিক পরিবার নয়। এই সরকার পরিবারের বাইরে বেরিয়ে ভারতের প্রকৃত নির্মাতাদের সম্মান দিতে জানে।
ইন্দিরা-রাজীবের নাম বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প থেকে মুছে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত বিজেপি সরকার নিয়েছে, এই উদ্যোগ তারই অংশ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। কংগ্রেস আমলে ২০০৮ সালে দেশের নয়জন কৃতী সন্তানের নামে ডাকটিকিট প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ‘আধুনিক ভারতের নির্মাতা’ নামের সেই সিরিজে ইন্দিরা ও রাজীব ছাড়াও ছিলেন মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, বি আর আম্বেদকর, হোমি ভাবা, জে আর ডি টাটা, সত্যজিৎ রায় ও মাদার তেরেসা। পরে ওই তালিকায় যোগ হয় ই ভি রামস্বামী, সি ভি রমন ও রুক্মিনী দেবী অরুণডেলের নাম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার সেই তালিকায় পরিবর্তন ঘটিয়ে ‘ভারত নির্মাতা’ নামের এক নতুন তালিকা প্রস্তুত করেছে। এতে ইন্দিরা-রাজীব ছাড়াও বাদ পড়েছেন সি ভি রমন, হোমি ভাবা, জে আরডি টাটা ও সত্যজিৎ রায়। নতুন তালিকায় স্থান হয়েছে ছত্রপতি শিবাজি, মহারানা প্রতাপ, বাল গঙ্গাধর তিলক, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পণ্ডিত রবিশঙ্কর, বিসমিল্লাহ খান, ভীমসেন জোশি, মাওলানা আজাদ, রাজেন্দ্র প্রসাদ, ভগত সিংসহ বেশ কিছু ব্যক্তিত্বের।
নরেন্দ্র মোদিসহ বিজেপির একাধিক নেতা বহুবারই দেশকে ‘কংগ্রেসমুক্ত’ করার ডাক দিয়েছেন। গত এপ্রিল মাসেই ইন্দিরা ও রাজীবের নামে প্রচলিত দুটি সরকারি পুরস্কারের নাম বদলে দেওয়া হয়।
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরযেওয়ালা ও আনন্দ শর্মা এই উদ্যোগের সমালোচনা করে বলেছেন, মোদি যে কতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ, তা এই সিদ্ধান্তগুলোর মধ্য দিয়ে বোঝা যায়। জবাবে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, ভারত মানে কোনো একটি রাজনৈতিক পরিবার নয়। এই সরকার পরিবারের বাইরে বেরিয়ে ভারতের প্রকৃত নির্মাতাদের সম্মান দিতে জানে।
No comments