নামেই যত বিপদ! by ইব্রাহীম চৌধুরী
আহমেদ মোহাম্মদ |
বাবা মোহাম্মদ এলহাসান মোহাম্মদের সঙ্গে আহমেদ |
আপনমনে
খেলতে খেলতে নিজেই একটি ঘড়ি বানিয়েছিল আহমেদ মোহাম্মদ। বন্ধুদের দেখাতে
স্কুলে নিয়ে যাওয়ায় বাধল বিপত্তি। ঘড়িটি দেখে ভয় পেয়ে গেলেন স্কুলের ইংরেজি
শিক্ষক। সেটি আবার বিস্ফোরক নয়তো! সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে ডাকা হলো পুলিশ।
কড়া পাহারায় আহমেদকে নেওয়া হলো থানায়। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও করতে দেওয়া
হলো না তাকে।
গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাস শহরের উপকণ্ঠে এ ঘটনাটি ঘটে। তদন্ত করে সুদানের বংশোদ্ভূত আহমেদের বিরুদ্ধে কিছুই পেলো না পুলিশ। কিন্তু তার আগেই স্কুল থেকে তিন দিনের জন্য বহিষ্কার করা হয় তাকে। খবরটি ছড়িয়ে পড়ে সংবাদমাধ্যমে। এর পরই দেশজুড়ে ওঠে সমালোচনার ঝড়। অভিযোগ ওঠে-- শুধুমাত্র মুসলিম বলেই এমন বিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছে আহমেদকে। এ নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারও।
সমালোচনা আর নিন্দার ঝড়ে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। গতকাল বুধবার সকালে ডালাসের পুলিশ বিভাগ সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, আহমেদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হবে না। তারপর নড়েচড়ে ওঠে খোদ হোয়াইট হাউসও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গতকাল সকালেই টুইটারে বার্তা পাঠান। আহমেদের তৈরি ঘড়ির প্রশংসা করে তাকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান। আহমেদ রাতেই সরাসরি পেয়ে যায় হোয়াইট হাউস থেকে আসা আমন্ত্রণ। ১৯ অক্টোবর মহাকাশ বিজ্ঞানীদের সঙ্গে হোয়াইট হাউসের এক অনুষ্ঠানে তাকে এ আমন্ত্রণ জানানো হয়। সাবেক মার্কিন ফার্স্টলেডি হিলারি ক্লিনটনও টুইট বার্তায় সহানুভূতি জানান আহমেদকে। বাদ যাননি ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গও। তিনিও তাঁর সদর দপ্তরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আহমেদকে।
বুধবার বিকেলে নিজের পরিবার নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছে আহমেদ। জোরালো গলায় বলেছে, নাম ও ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে হেনস্তা হলেও দমে যাবে না সে। যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্ব সমর্থন করায় সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে সে। শিগগিরই স্কুল বদলাবে আহমেদ। তার ইচ্ছে দ্য ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমএইটি) পড়া।
গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাস শহরের উপকণ্ঠে এ ঘটনাটি ঘটে। তদন্ত করে সুদানের বংশোদ্ভূত আহমেদের বিরুদ্ধে কিছুই পেলো না পুলিশ। কিন্তু তার আগেই স্কুল থেকে তিন দিনের জন্য বহিষ্কার করা হয় তাকে। খবরটি ছড়িয়ে পড়ে সংবাদমাধ্যমে। এর পরই দেশজুড়ে ওঠে সমালোচনার ঝড়। অভিযোগ ওঠে-- শুধুমাত্র মুসলিম বলেই এমন বিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছে আহমেদকে। এ নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারও।
সমালোচনা আর নিন্দার ঝড়ে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। গতকাল বুধবার সকালে ডালাসের পুলিশ বিভাগ সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, আহমেদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হবে না। তারপর নড়েচড়ে ওঠে খোদ হোয়াইট হাউসও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গতকাল সকালেই টুইটারে বার্তা পাঠান। আহমেদের তৈরি ঘড়ির প্রশংসা করে তাকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান। আহমেদ রাতেই সরাসরি পেয়ে যায় হোয়াইট হাউস থেকে আসা আমন্ত্রণ। ১৯ অক্টোবর মহাকাশ বিজ্ঞানীদের সঙ্গে হোয়াইট হাউসের এক অনুষ্ঠানে তাকে এ আমন্ত্রণ জানানো হয়। সাবেক মার্কিন ফার্স্টলেডি হিলারি ক্লিনটনও টুইট বার্তায় সহানুভূতি জানান আহমেদকে। বাদ যাননি ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গও। তিনিও তাঁর সদর দপ্তরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আহমেদকে।
বুধবার বিকেলে নিজের পরিবার নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছে আহমেদ। জোরালো গলায় বলেছে, নাম ও ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে হেনস্তা হলেও দমে যাবে না সে। যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্ব সমর্থন করায় সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে সে। শিগগিরই স্কুল বদলাবে আহমেদ। তার ইচ্ছে দ্য ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমএইটি) পড়া।
No comments