দুর্লভ মর্মর বিড়াল by আকমল হোসেন
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে মর্মর বিড়াল l প্রথম আলো |
দেশের
গভীর প্রাকৃতিক বনে প্রাণীটির বিচরণ আছে, তা জানতেন বন্য প্রাণী
বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু স্বাধীনতার পর জীবিত অবস্থায় দেশের কোথাও প্রাণীটির
দেখা মেলেনি। তাই প্রাণীটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে—এমন আশঙ্কাও ছিল অনেকের।
অবশেষে প্রাণীটির হদিস মিলল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে।
প্রাণীটির নাম মর্মর বিড়াল বা Marbled Cat (বৈজ্ঞানিক নাম Pardofelis Marmorata)। ছোট পাখি খায় বলে সিলেট অঞ্চলে প্রাণীটিকে ‘ছোট পাখি খাওড়া’ নামেও ডাকা হয়।
শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে যত্ন-আত্তিতেই বেড়ে উঠছে প্রাণীটি। বছরাধিক কাল ধরেই এটি সেখানে রয়েছে। অথচ এত দিন কেউ জানতই না, এটি মর্মর বিড়াল। তার পরিচিতি ছিল সাধারণ বনবিড়াল হিসেবেই। বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ শরীফ খান শনাক্ত করলেন দুর্লভ মর্মর বিড়ালটি।
বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে আসার আগে প্রাণীটি ছিল ভারত সীমান্তঘেঁষা আদিবাসী খাসিয়াদের দুর্গম গ্রাম নিরালাপুঞ্জিতে। বছর খানেক আগে খোঁজ পেয়ে সেটিকে নিয়ে আসেন ফাউন্ডেশনেরই চেয়ারম্যান সীতেশ রঞ্জন দেব।
গত ৬ জুলাই কথা হয় সীতেশ রঞ্জনের সঙ্গে। তিনি জানান, নিরালাপুঞ্জিতে আদিবাসী খাসিয়াদের কাছ থেকে তিনি বিড়ালছানাটি পেয়েছিলেন। তখন এর বয়স চার কি পাঁচ দিন। চোখও ফোটেনি। ছানাটিকে বাঁচিয়ে রাখাই ছিল এক কঠিন বাস্তবতা। প্রথমে ড্রপার দিয়ে গরুর দুধ খাওয়ানো হয়। কিছুটা শক্তপোক্ত হলে দুধ খাওয়ানো হয় ফিডার দিয়ে। মানবশিশুর মতো তোয়ালে দিয়ে জড়িয়ে ঘুম পাড়ানো হয়। সেই ছানাটির বয়স এখন ১৪ মাস। এখন সে নিজেই নিজের খাবার খেতে পারে। পছন্দের খাবার কবুতর বা কোয়েল। ছোট পাখি খেতেই সে বেশি পছন্দ করে। দু-একবার মোরগও দেওয়া হয়েছে।
প্রাণিবিশেষজ্ঞ শরীফ খান এবং প্রাণিবিদ মনিরুল এইচ খান জানান, সিলেট, ময়মনসিংহ ও পার্বত্য চট্টগ্রামের গভীর বনে মর্মর বিড়ালের বিচরণ রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পর ৪৪ বছরে কোথাও এই প্রাণীটির জীবিত দেখা মিলেছে বলে জানা নেই। নিশাচর প্রাণীটি গাছে থাকতেই ভালোবাসে। খাবারের সন্ধানে মাটিতে নেমে আসে। বুনো ছোট পাখি, পাখির ডিম ও বাচ্চা, বুনো খরগোশ, বড় ইঁদুর, ব্যাঙ ইত্যাদি খেয়ে বেঁচে থাকে। একটি মা মর্মর বিড়াল একসঙ্গে এক থেকে চারটি বাচ্চা দিয়ে থাকে। ২১ মাসে পরিণত হয়ে ওঠে। পরিণত মর্মর বিড়াল নাকের ডগা থেকে লেজ পর্যন্ত তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট হয়ে থাকে। তবে লেজটাই প্রায় অর্ধেক। এদের গড় আয়ু প্রায় ১২ বছর। বাংলাদেশের বাইরে ভারতের ত্রিপুরা, আসাম, মণিপুর, মেঘালয়সহ পাহাড়ি অঞ্চলে এবং মিয়ানমার, নেপাল, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, চীন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ইত্যাদি দেশে মর্মর বিড়ালের বাস রয়েছে।
প্রাণী বিশেষজ্ঞ শরীফ খান বলেন, স্বাধীনতার পর দেশে মর্মর বিড়ালকে জীবিত পাওয়া যায়নি। কোথাও আছে, তা–ও জানা যায়নি। শুধু চামড়া পাওয়া গেছে। ফলে অনেকে মনে করতেন, এটি দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। গত ৪৪ বছরে দুর্লভ প্রাণীটিকে দেশে জীবিত পাওয়ার এটাই প্রথম ঘটনা।
প্রাণীটির নাম মর্মর বিড়াল বা Marbled Cat (বৈজ্ঞানিক নাম Pardofelis Marmorata)। ছোট পাখি খায় বলে সিলেট অঞ্চলে প্রাণীটিকে ‘ছোট পাখি খাওড়া’ নামেও ডাকা হয়।
শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে যত্ন-আত্তিতেই বেড়ে উঠছে প্রাণীটি। বছরাধিক কাল ধরেই এটি সেখানে রয়েছে। অথচ এত দিন কেউ জানতই না, এটি মর্মর বিড়াল। তার পরিচিতি ছিল সাধারণ বনবিড়াল হিসেবেই। বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ শরীফ খান শনাক্ত করলেন দুর্লভ মর্মর বিড়ালটি।
বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে আসার আগে প্রাণীটি ছিল ভারত সীমান্তঘেঁষা আদিবাসী খাসিয়াদের দুর্গম গ্রাম নিরালাপুঞ্জিতে। বছর খানেক আগে খোঁজ পেয়ে সেটিকে নিয়ে আসেন ফাউন্ডেশনেরই চেয়ারম্যান সীতেশ রঞ্জন দেব।
গত ৬ জুলাই কথা হয় সীতেশ রঞ্জনের সঙ্গে। তিনি জানান, নিরালাপুঞ্জিতে আদিবাসী খাসিয়াদের কাছ থেকে তিনি বিড়ালছানাটি পেয়েছিলেন। তখন এর বয়স চার কি পাঁচ দিন। চোখও ফোটেনি। ছানাটিকে বাঁচিয়ে রাখাই ছিল এক কঠিন বাস্তবতা। প্রথমে ড্রপার দিয়ে গরুর দুধ খাওয়ানো হয়। কিছুটা শক্তপোক্ত হলে দুধ খাওয়ানো হয় ফিডার দিয়ে। মানবশিশুর মতো তোয়ালে দিয়ে জড়িয়ে ঘুম পাড়ানো হয়। সেই ছানাটির বয়স এখন ১৪ মাস। এখন সে নিজেই নিজের খাবার খেতে পারে। পছন্দের খাবার কবুতর বা কোয়েল। ছোট পাখি খেতেই সে বেশি পছন্দ করে। দু-একবার মোরগও দেওয়া হয়েছে।
প্রাণিবিশেষজ্ঞ শরীফ খান এবং প্রাণিবিদ মনিরুল এইচ খান জানান, সিলেট, ময়মনসিংহ ও পার্বত্য চট্টগ্রামের গভীর বনে মর্মর বিড়ালের বিচরণ রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পর ৪৪ বছরে কোথাও এই প্রাণীটির জীবিত দেখা মিলেছে বলে জানা নেই। নিশাচর প্রাণীটি গাছে থাকতেই ভালোবাসে। খাবারের সন্ধানে মাটিতে নেমে আসে। বুনো ছোট পাখি, পাখির ডিম ও বাচ্চা, বুনো খরগোশ, বড় ইঁদুর, ব্যাঙ ইত্যাদি খেয়ে বেঁচে থাকে। একটি মা মর্মর বিড়াল একসঙ্গে এক থেকে চারটি বাচ্চা দিয়ে থাকে। ২১ মাসে পরিণত হয়ে ওঠে। পরিণত মর্মর বিড়াল নাকের ডগা থেকে লেজ পর্যন্ত তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট হয়ে থাকে। তবে লেজটাই প্রায় অর্ধেক। এদের গড় আয়ু প্রায় ১২ বছর। বাংলাদেশের বাইরে ভারতের ত্রিপুরা, আসাম, মণিপুর, মেঘালয়সহ পাহাড়ি অঞ্চলে এবং মিয়ানমার, নেপাল, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, চীন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ইত্যাদি দেশে মর্মর বিড়ালের বাস রয়েছে।
প্রাণী বিশেষজ্ঞ শরীফ খান বলেন, স্বাধীনতার পর দেশে মর্মর বিড়ালকে জীবিত পাওয়া যায়নি। কোথাও আছে, তা–ও জানা যায়নি। শুধু চামড়া পাওয়া গেছে। ফলে অনেকে মনে করতেন, এটি দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। গত ৪৪ বছরে দুর্লভ প্রাণীটিকে দেশে জীবিত পাওয়ার এটাই প্রথম ঘটনা।
No comments