'কথাটাই মতলববাজি কথা' -হাসানুল হক ইনু
‘নির্বাচনে
সকলের অংশগ্রহণ’ কথাটাই ‘মতলববাজির’ কথা বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী
হাসানুল হক ইনু। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তথ্য অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত সংবাদ
সম্মেলনে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা
বলা হয়েছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনের দাবি, মধ্যবর্তী বা আগাম নির্বাচন, নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সংবিধান সংশোধনসহ বিভিন্ন প্রস্তাব, রাজনৈতিক-সামাজিক চুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে গণমাধ্যমের খবরের বিষয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট অবস্থান তুলে ধরার জন্যই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহণ’—কথাটাই ‘মতলববাজি’ কথা। সংবিধান ও আইনে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা নির্ধারিত আছে। যারা অপরাধী, যুদ্ধাপরাধী, গণতন্ত্রের পিঠে ছোবল হানে, সেই জঙ্গিবাদী-সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী গণতন্ত্র ও নির্বাচনে হালাল না। তাই সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়ার আগে, অপরাধী-যুদ্ধাপরাধী-জঙ্গিবাদী-সন্ত্রাসবাদী-গণবিরোধী শক্তিকে গণতন্ত্র ও নির্বাচনের বাইরে রাখার ফর্মুলার বিষয়ে সবাইকে একমত হতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, এটা নির্বাচন বা সংবিধান নিয়ে আলোচনার মৌসুম নয়। দেশকে জঙ্গি-সাম্প্রদায়িকতা থেকে মুক্ত করার সময়। তিনি বলেন, স্বস্তি-শান্তি-উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখাই যখন জাতীয় জীবনে এই মুহূর্তে সব চেয়ে জরুরি কাজ তখন সংবিধান সংশোধনের দাবি কিছুটা বেমানান।
হাসানুল হক ইনু তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন এবং এর আগে-পরে দেশে অসংখ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘সকলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন’-এর কথা বলছে যে বিএনপি-জামায়াত, তারাও ৫ জানুয়ারির আগে-পরে নির্বাচনে তাদের ইচ্ছেমতো অংশগ্রহণ বা বর্জন করেছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও বিএনপিকে বলপ্রয়োগ করে নির্বাচনের বাইরে রাখেনি কেউ। বরং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানোর জন্য নিজেই উদ্যোগী হয়েছিলেন। দেশ-বিদেশের সকল মহল বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদন-নিবেদন-অনুরোধ করেছিল। কিন্তু নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচন ভন্ডুল করার জন্য সীমাহীন সন্ত্রাস ও রক্তারক্তি-খুনোখুনি-জ্বালাও-পোড়াও-অন্তর্ঘাত-নাশকতার পথে চলে যায়।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির নির্বাচনের দাবির পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। লাগাতার অন্তর্ঘাত-নাশকতা-আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর, জনগণের ঘৃণা ও প্রত্যাখ্যানের মুখে বিএনপি নতুন করে নির্বাচনের দাবি তুলে জলঘোলা করার নতুন ফন্দি খুঁজছে। দেশে আজ যে স্বস্তি-শান্তি-উন্নয়নের ধারা চলছে, খালেদা জিয়ার তা সহ্য হচ্ছে না। খালেদা জিয়া নিজেই গণতন্ত্র ও নির্বাচনের পথে কাঁটা বিছাচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে নতুন করে আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবির পেছনে কোনো যৌক্তিক ও বাস্তব কারণ বা প্রয়োজনীয়তাও নেই। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটার অন্যথা হওয়ার বা করার কোনো সুযোগও নেই।’
মন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের আলোকে পঞ্চদশ সংশোধনীর পর বিচার বিভাগকে সম্পৃক্ত করে পুরোনো ধাঁচের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা সম্ভব না। এটা জানার পরও পুরাতন ধাঁচের নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুন: বহালের দাবি, মুর্খতা ছাড়া আর কিছুই না। এ দাবি করার মধ্যেই ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিষয়টি স্পষ্ট।
সম্প্রতি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাঁদের পর্যবেক্ষণে নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে যে দুইটি ফর্মুলার কথা বলেছেন, তার প্রথমটির কাছাকাছি প্রস্তাব ২০১৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই দিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনের দাবি, মধ্যবর্তী বা আগাম নির্বাচন, নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সংবিধান সংশোধনসহ বিভিন্ন প্রস্তাব, রাজনৈতিক-সামাজিক চুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে গণমাধ্যমের খবরের বিষয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট অবস্থান তুলে ধরার জন্যই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহণ’—কথাটাই ‘মতলববাজি’ কথা। সংবিধান ও আইনে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা নির্ধারিত আছে। যারা অপরাধী, যুদ্ধাপরাধী, গণতন্ত্রের পিঠে ছোবল হানে, সেই জঙ্গিবাদী-সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী গণতন্ত্র ও নির্বাচনে হালাল না। তাই সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়ার আগে, অপরাধী-যুদ্ধাপরাধী-জঙ্গিবাদী-সন্ত্রাসবাদী-গণবিরোধী শক্তিকে গণতন্ত্র ও নির্বাচনের বাইরে রাখার ফর্মুলার বিষয়ে সবাইকে একমত হতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, এটা নির্বাচন বা সংবিধান নিয়ে আলোচনার মৌসুম নয়। দেশকে জঙ্গি-সাম্প্রদায়িকতা থেকে মুক্ত করার সময়। তিনি বলেন, স্বস্তি-শান্তি-উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখাই যখন জাতীয় জীবনে এই মুহূর্তে সব চেয়ে জরুরি কাজ তখন সংবিধান সংশোধনের দাবি কিছুটা বেমানান।
হাসানুল হক ইনু তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন এবং এর আগে-পরে দেশে অসংখ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘সকলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন’-এর কথা বলছে যে বিএনপি-জামায়াত, তারাও ৫ জানুয়ারির আগে-পরে নির্বাচনে তাদের ইচ্ছেমতো অংশগ্রহণ বা বর্জন করেছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও বিএনপিকে বলপ্রয়োগ করে নির্বাচনের বাইরে রাখেনি কেউ। বরং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানোর জন্য নিজেই উদ্যোগী হয়েছিলেন। দেশ-বিদেশের সকল মহল বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদন-নিবেদন-অনুরোধ করেছিল। কিন্তু নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচন ভন্ডুল করার জন্য সীমাহীন সন্ত্রাস ও রক্তারক্তি-খুনোখুনি-জ্বালাও-পোড়াও-অন্তর্ঘাত-নাশকতার পথে চলে যায়।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির নির্বাচনের দাবির পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। লাগাতার অন্তর্ঘাত-নাশকতা-আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর, জনগণের ঘৃণা ও প্রত্যাখ্যানের মুখে বিএনপি নতুন করে নির্বাচনের দাবি তুলে জলঘোলা করার নতুন ফন্দি খুঁজছে। দেশে আজ যে স্বস্তি-শান্তি-উন্নয়নের ধারা চলছে, খালেদা জিয়ার তা সহ্য হচ্ছে না। খালেদা জিয়া নিজেই গণতন্ত্র ও নির্বাচনের পথে কাঁটা বিছাচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে নতুন করে আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবির পেছনে কোনো যৌক্তিক ও বাস্তব কারণ বা প্রয়োজনীয়তাও নেই। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটার অন্যথা হওয়ার বা করার কোনো সুযোগও নেই।’
মন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের আলোকে পঞ্চদশ সংশোধনীর পর বিচার বিভাগকে সম্পৃক্ত করে পুরোনো ধাঁচের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা সম্ভব না। এটা জানার পরও পুরাতন ধাঁচের নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুন: বহালের দাবি, মুর্খতা ছাড়া আর কিছুই না। এ দাবি করার মধ্যেই ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিষয়টি স্পষ্ট।
সম্প্রতি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাঁদের পর্যবেক্ষণে নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে যে দুইটি ফর্মুলার কথা বলেছেন, তার প্রথমটির কাছাকাছি প্রস্তাব ২০১৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই দিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
No comments