অভিবাসী–সংকট ও মিয়ানমার, দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে হবে
গত শুক্রবার ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিয়ো মিন্ট থানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে বাংলাদেশ সরকার সমুচিত বক্তব্য পেশ করেছে। কারণ, বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সম্পর্কে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন অঞ্চলের রাখাইন-বিষয়ক মন্ত্রী উ জ আয়ে নং যে মন্তব্য করেছেন, তার পেছনে কাজ করেছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে সাগরে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয়ের পেছনে মিয়ানমারের দায় ঢাকার এবং তা বাংলাদেশের ওপর চাপানোর দুরভিসন্ধি।
গত ২৯ মে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বহুপক্ষীয় বৈঠকে মিয়ানমার সরকার মানব পাচার সমস্যার সমাধানে সমন্বিত পন্থার পক্ষে সায় দিয়েছিল, কিন্তু এ ব্যাপারে তাদের যে আন্তরিকতার অভাব রয়েছে, তাদের মন্ত্রীর মন্তব্যে তারই ইঙ্গিত মেলে। এই মন্ত্রীর আগে মিয়ানমার বলেছিল, মিয়ানমারের উপকূলে উদ্ধার হওয়া সব লোক বাংলাদেশি। জেনেশুনেই তারা মিথ্যাচার করে আসছে। মিয়ানমার সরকারকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া উচিত যে, সরকারি হিসাবে ২৬ হাজার এবং বেসরকারি হিসাবে তিন থেকে চার লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর বাংলাদেশ এখনো ভরণপোষণ করে চলেছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের ‘আর্থসামাজিক দুরবস্থা’র কথা না বলে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর জাতিগত নিধনযজ্ঞের দায় স্বীকার ও তা অবিলম্বে বন্ধ করার উদ্যোগ মিয়ানমার সরকারের নেওয়া উচিত। সে জন্য রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে নিতে হবে এবং নাগরিকদের সব অধিকার সুরক্ষার পদক্ষেপ নিতে হবে।
আর বর্তমানে সাগরে যেসব বিপন্ন মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে, তারা কে কোন দেশের, তা সঠিকভাবে চিহ্নিত করে নিজ নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে, এ ব্যাপারে মিয়ানমারের সততাপূর্ণ আচরণ নিশ্চিত করতে হবে। রোহিঙ্গারা যেহেতু মিয়ানমারের নাগরিক নয়, তাই উদ্ধার হওয়া সব লোক বাংলাদেশি—তাদের এ ধরনের চালাকিপূর্ণ কথাবার্তার সমুচিত জবাব দিতে হবে।
দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে সহযোগিতার ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে জোরালো কূটনৈতিক প্রয়াস চালানোর পাশাপাশি মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোর ওপরেও গুরুত্ব দিতে হবে।
গত ২৯ মে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বহুপক্ষীয় বৈঠকে মিয়ানমার সরকার মানব পাচার সমস্যার সমাধানে সমন্বিত পন্থার পক্ষে সায় দিয়েছিল, কিন্তু এ ব্যাপারে তাদের যে আন্তরিকতার অভাব রয়েছে, তাদের মন্ত্রীর মন্তব্যে তারই ইঙ্গিত মেলে। এই মন্ত্রীর আগে মিয়ানমার বলেছিল, মিয়ানমারের উপকূলে উদ্ধার হওয়া সব লোক বাংলাদেশি। জেনেশুনেই তারা মিথ্যাচার করে আসছে। মিয়ানমার সরকারকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া উচিত যে, সরকারি হিসাবে ২৬ হাজার এবং বেসরকারি হিসাবে তিন থেকে চার লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর বাংলাদেশ এখনো ভরণপোষণ করে চলেছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের ‘আর্থসামাজিক দুরবস্থা’র কথা না বলে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর জাতিগত নিধনযজ্ঞের দায় স্বীকার ও তা অবিলম্বে বন্ধ করার উদ্যোগ মিয়ানমার সরকারের নেওয়া উচিত। সে জন্য রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে নিতে হবে এবং নাগরিকদের সব অধিকার সুরক্ষার পদক্ষেপ নিতে হবে।
আর বর্তমানে সাগরে যেসব বিপন্ন মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে, তারা কে কোন দেশের, তা সঠিকভাবে চিহ্নিত করে নিজ নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে, এ ব্যাপারে মিয়ানমারের সততাপূর্ণ আচরণ নিশ্চিত করতে হবে। রোহিঙ্গারা যেহেতু মিয়ানমারের নাগরিক নয়, তাই উদ্ধার হওয়া সব লোক বাংলাদেশি—তাদের এ ধরনের চালাকিপূর্ণ কথাবার্তার সমুচিত জবাব দিতে হবে।
দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে সহযোগিতার ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে জোরালো কূটনৈতিক প্রয়াস চালানোর পাশাপাশি মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোর ওপরেও গুরুত্ব দিতে হবে।
No comments