গুলিতে দুই শিবিরকর্মী নিহত
শহীদুল ইসলাম ও আনিসুর রহমান |
সিরাজগঞ্জে
গুলিতে আহত এক শিবিরকর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে মারা গেছে।
রোববার মধ্যরাত সাড়ে ১২টার সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সিরাজগঞ্জ জেনারেল
হাসপাতালে ভর্তি করার পর সে মারা যায়। এদিকে, রাজশাহীতে শহিদুল ইসলাম (২৬)
নামে এক শিবির কর্মীর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে নগরীর শাহ মখদুম থানা
পুলিশ। সোমবার সকাল ৭টার দিকে নগরীর বড়বনগ্রাম সংলগ্ন কৃষ্টগঞ্জ এলাকা থেকে
মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সিরাজগঞ্জে নিহত আানিসুর রহমান আনিস (১৮) উল্লাপাড়া উপজেলার গয়হাট্টা-পারকোলা উত্তরপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে ও জেলা সদরের নবদ্বীপপুল সংলগ্ন ধানবান্ধি মহল্লার ভাইভাই মেসে থেকে মওলানা ভাসানী ডিগ্রী কলেজে একাদশ শ্রেনীতে পড়তো।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ফয়সাল আহম্মেদ ও অর্থোপেডিক বিভাগের মেডিকেল অফিসার নুরুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আনিস মারা গেছে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম জানান, কামারুজ্জামানের ফাঁসির পর জামায়াত-শিবিরের ডাকা সোমবার হরতাল সফল করার লক্ষ্যে রোববার সন্ধায় কতিপয় শিবির কর্মী আনিসের নেতৃত্বে রোববার সন্ধায় বৃষ্টির মধ্যে সদর থানার ওপর দু’টি ককটেল হামলা চালায়। এ সময় পুলিশও ধাওয়া করে আনিছকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্য অনুয়ায়ী শহরের নবদ্বীপ পুল সংলগ্ন ভাই-ভাই ও আশেপাশের দু’টি মেস থেকে ৫ জনকে আটকসহ ৩টি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী শহর রক্ষা বাঁধের পাশে একডালা ও গয়লায় অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করা হয়।
রাত সোয়া বারটার দিকে আনিসকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনার সময় শিবিরকর্মীরা শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় সহকর্মীদের ছোড়া গুলি আনিছের ডান পায়ে বিদ্ধ হয়। আনিছকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে সে মারা যায়।
তবে জেলা জামায়াতের আমির শাহিনুর আলম দাবি করেছেন, আনিস পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
রাজশাহীতে শিবির কর্মীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
রাজশাহীতে শহিদুল ইসলাম (২৬) নামে এক শিবির কর্মীর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে নগরীর শাহ মখদুম থানা পুলিশ। সোমবার সকাল ৭টার দিকে নগরীর বড়বনগ্রাম সংলগ্ন কৃষ্টগঞ্জ এলাকা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত শিবির কর্মী শহিদুল ইসলাম শাহ মখদুম থানার ভাড়ালিপাড়া এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি নগরীর নওদাপাড়াস্থ ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।
নগরীর শাহশখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান নয়া দিগন্তকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, গত রোববার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগর সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ জোবায়ের ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন দাবি করেন, শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে নগরীর নওদাপাড়াস্থ ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিবির কর্মী শহিদুল ইসলামকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরদিন রোববার তাকে আদালতে হাজির না করায় এবং পুলিশ তাকে আটকের অভিযোগ অস্বীকার করায় বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।
তবে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও মহানগর গোয়েন্দা শাখার সহকারী কমিশনার (এসি) ইফতে খায়ের আলম অভিযোগ অস্বীকার করে রোববার জানিয়েছিলেন, শহিদুল ইসলাম নামে কোনো শিবির কর্মীকে আটক করা হয়নি।
সিরাজগঞ্জে নিহত আানিসুর রহমান আনিস (১৮) উল্লাপাড়া উপজেলার গয়হাট্টা-পারকোলা উত্তরপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে ও জেলা সদরের নবদ্বীপপুল সংলগ্ন ধানবান্ধি মহল্লার ভাইভাই মেসে থেকে মওলানা ভাসানী ডিগ্রী কলেজে একাদশ শ্রেনীতে পড়তো।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ফয়সাল আহম্মেদ ও অর্থোপেডিক বিভাগের মেডিকেল অফিসার নুরুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আনিস মারা গেছে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম জানান, কামারুজ্জামানের ফাঁসির পর জামায়াত-শিবিরের ডাকা সোমবার হরতাল সফল করার লক্ষ্যে রোববার সন্ধায় কতিপয় শিবির কর্মী আনিসের নেতৃত্বে রোববার সন্ধায় বৃষ্টির মধ্যে সদর থানার ওপর দু’টি ককটেল হামলা চালায়। এ সময় পুলিশও ধাওয়া করে আনিছকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্য অনুয়ায়ী শহরের নবদ্বীপ পুল সংলগ্ন ভাই-ভাই ও আশেপাশের দু’টি মেস থেকে ৫ জনকে আটকসহ ৩টি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী শহর রক্ষা বাঁধের পাশে একডালা ও গয়লায় অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করা হয়।
রাত সোয়া বারটার দিকে আনিসকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনার সময় শিবিরকর্মীরা শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় সহকর্মীদের ছোড়া গুলি আনিছের ডান পায়ে বিদ্ধ হয়। আনিছকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে সে মারা যায়।
তবে জেলা জামায়াতের আমির শাহিনুর আলম দাবি করেছেন, আনিস পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
রাজশাহীতে শিবির কর্মীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
রাজশাহীতে শহিদুল ইসলাম (২৬) নামে এক শিবির কর্মীর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে নগরীর শাহ মখদুম থানা পুলিশ। সোমবার সকাল ৭টার দিকে নগরীর বড়বনগ্রাম সংলগ্ন কৃষ্টগঞ্জ এলাকা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত শিবির কর্মী শহিদুল ইসলাম শাহ মখদুম থানার ভাড়ালিপাড়া এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি নগরীর নওদাপাড়াস্থ ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।
নগরীর শাহশখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান নয়া দিগন্তকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, গত রোববার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগর সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ জোবায়ের ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন দাবি করেন, শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে নগরীর নওদাপাড়াস্থ ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিবির কর্মী শহিদুল ইসলামকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরদিন রোববার তাকে আদালতে হাজির না করায় এবং পুলিশ তাকে আটকের অভিযোগ অস্বীকার করায় বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।
তবে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও মহানগর গোয়েন্দা শাখার সহকারী কমিশনার (এসি) ইফতে খায়ের আলম অভিযোগ অস্বীকার করে রোববার জানিয়েছিলেন, শহিদুল ইসলাম নামে কোনো শিবির কর্মীকে আটক করা হয়নি।
No comments