‘আমার রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়ার সুযোগ নেই’ -প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ by আশরাফুল ইসলাম
প্রেসিডেন্ট
মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, হাওরে আমার জন্ম। পাশাপাশি এ কিশোরগঞ্জে আমি বড়
হয়েছি। এখানেই আমার রাজনীতির শুরু। ১৯৬১ সালে মেট্রিক পাস করে গুরুদয়াল
কলেজে ভর্তি হয়ে ছাত্র রাজনীতি শুরু করি। দলমত নির্বিশেষে সবার সঙ্গে আমার
ভাল সম্পর্ক। ২০১৩ সালের ১৩ই মার্চ পর্যন্ত রাজনৈতিক বক্তৃতা করার সুযোগ
ছিল। কিন্তু এখন আর রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়ার সুযোগ নেই। চারদিনের সফরে
কিশোরগঞ্জে এসে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ শনিবার সন্ধ্যার পর সার্কিট
হাউজ মিলনায়তনে সাংবাদিক, জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন সংগঠন ও
জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথকভাবে বেশ কয়েকটি মতবিনিময় সভায় মিলিত
হন। এসব মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট আক্ষেপ করে বলেন, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার আগে সবার সঙ্গে সবসময় অবাধে দেখা সাক্ষাৎ হয়েছে, কথা হয়েছে। জেলার সাধারণ মানুষের সঙ্গে ওঠাবসা হয়েছে। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ নেই। এই কারণে এলাকার লোকজনকে দেখতে আমি এসেছি। যদিও এসএসএফের কারণে লোকজন আমার কাছে যেতে পারে না। তারপরও এসব হাঙ্গামা পার হয়ে যারা আমার কাছে আসতে পেরেছেন, তাদের সঙ্গে মনের দু-একটি কথা বলে হালকা হয়েছি। এতে অনেক ভাল লাগছে। আমি এলাকার লোকজনকে না দেখে থাকতে পারি না।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বক্তারা, প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের কাছে জেলা সদরের রাস্তাঘাট, একটি সেতুসহ শহরের যানজট নিরসনে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান। জবাবে প্রেসিডেন্ট বলেন, আমার কোন ক্ষমতা নেই। আমার ক্ষমতা থাকলে আমি কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার ব্রিজ নির্মাণ করেই এখান থেকে ঢাকা যেতাম। তবে আমি কিশোরগঞ্জবাসীর দাবি-দাওয়াগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে পাঠিয়ে দিয়েছি। আশা করি প্রেসিডেন্টের অনুরোধ তারা রক্ষা করবেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কিশোরগঞ্জকে প্রস্তাবিত ময়মনসিংহ বিভাগে না রেখে ঢাকার সঙ্গে রাখার দাবি জানালে প্রেসিডেন্ট বলেন, কিশোরগঞ্জের একজন মানুষ হিসেবে ঢাকা বিভাগে আমিও থাকতে চাই। তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হলে আমি কিশোরগঞ্জবাসীর অনুভূতির কথা তুলে ধরবো।
এ সময় অন্যদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের এমপি মো. আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন, সংরক্ষিত আসনের এমপি দিলারা বেগম আসমা, জেলা প্রশাসক এস এম আলম, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান, জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, পৌর মেয়র মাজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমএ আফজল, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোস্তফা কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সফরের শেষ দিনে গতকাল দুপুরে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জে শতকোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে নরসুন্দা নদী পুনর্বাসনের মাধ্যমে শহর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ৫টি দৃষ্টিনন্দন সেতুর কয়েকটি ঘুরে দেখেন। পরে বিকালে হেলিকপ্টারযোগে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে কিশোরগঞ্জ ত্যাগ করেন। এর আগে সফরের প্রথম দিন গত বৃহস্পতিবার নিজের সংসদীয় এলাকার ইটনা উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা পরিদর্শন, দ্বিতীয় দিন শুক্রবার নিজ উপজেলা মিঠামইনের যোগাযোগ ব্যবস্থা পরিদর্শন ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং তৃতীয় দিন শনিবার বিকালে করিমগঞ্জের জাফরাবাদে তার নামে প্রতিষ্ঠিত আবদুল হামিদ মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন ও মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছান।
প্রেসিডেন্ট আক্ষেপ করে বলেন, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার আগে সবার সঙ্গে সবসময় অবাধে দেখা সাক্ষাৎ হয়েছে, কথা হয়েছে। জেলার সাধারণ মানুষের সঙ্গে ওঠাবসা হয়েছে। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ নেই। এই কারণে এলাকার লোকজনকে দেখতে আমি এসেছি। যদিও এসএসএফের কারণে লোকজন আমার কাছে যেতে পারে না। তারপরও এসব হাঙ্গামা পার হয়ে যারা আমার কাছে আসতে পেরেছেন, তাদের সঙ্গে মনের দু-একটি কথা বলে হালকা হয়েছি। এতে অনেক ভাল লাগছে। আমি এলাকার লোকজনকে না দেখে থাকতে পারি না।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বক্তারা, প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের কাছে জেলা সদরের রাস্তাঘাট, একটি সেতুসহ শহরের যানজট নিরসনে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান। জবাবে প্রেসিডেন্ট বলেন, আমার কোন ক্ষমতা নেই। আমার ক্ষমতা থাকলে আমি কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার ব্রিজ নির্মাণ করেই এখান থেকে ঢাকা যেতাম। তবে আমি কিশোরগঞ্জবাসীর দাবি-দাওয়াগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে পাঠিয়ে দিয়েছি। আশা করি প্রেসিডেন্টের অনুরোধ তারা রক্ষা করবেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কিশোরগঞ্জকে প্রস্তাবিত ময়মনসিংহ বিভাগে না রেখে ঢাকার সঙ্গে রাখার দাবি জানালে প্রেসিডেন্ট বলেন, কিশোরগঞ্জের একজন মানুষ হিসেবে ঢাকা বিভাগে আমিও থাকতে চাই। তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হলে আমি কিশোরগঞ্জবাসীর অনুভূতির কথা তুলে ধরবো।
এ সময় অন্যদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের এমপি মো. আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন, সংরক্ষিত আসনের এমপি দিলারা বেগম আসমা, জেলা প্রশাসক এস এম আলম, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান, জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, পৌর মেয়র মাজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমএ আফজল, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোস্তফা কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সফরের শেষ দিনে গতকাল দুপুরে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জে শতকোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে নরসুন্দা নদী পুনর্বাসনের মাধ্যমে শহর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ৫টি দৃষ্টিনন্দন সেতুর কয়েকটি ঘুরে দেখেন। পরে বিকালে হেলিকপ্টারযোগে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে কিশোরগঞ্জ ত্যাগ করেন। এর আগে সফরের প্রথম দিন গত বৃহস্পতিবার নিজের সংসদীয় এলাকার ইটনা উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা পরিদর্শন, দ্বিতীয় দিন শুক্রবার নিজ উপজেলা মিঠামইনের যোগাযোগ ব্যবস্থা পরিদর্শন ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং তৃতীয় দিন শনিবার বিকালে করিমগঞ্জের জাফরাবাদে তার নামে প্রতিষ্ঠিত আবদুল হামিদ মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন ও মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছান।
No comments