দুই নারীর ফাঁদ
ভারতের কেরালা রাজ্যজুড়ে আলোচনায় ফিরছে
দু’নারী। শুধু তা-ই নয়, ইন্টারনেট আর মিডিয়ার কল্যাণে তা এখন ছড়িয়ে পড়েছে
বিশ্বময়। এর কারণ, ওই দু’নারী উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিদের শারীরিক সম্পর্কে
প্রলুব্ধ করে সেই দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করেছে। এরপর ওই ভিডিও ব্যবহার করে
তারা পুরুষদের ব্লাকমেইল করার চেষ্টা করেছে। আলোচিত ওই দু’নারী হলো রুখসানা
ও বিন্দাস। অনলাইন গালফ নিউজ এ খবর দিয়েছে। এতে আরও বলা হয়, এই দু’নারী
ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের ফাঁদে ফেলতো। তারপর তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে
তুলতো। সেই দৃশ্য তারা আবার কৌশলে ক্যামেরায় বন্দি করতো। যখনই এ কাজ শেষ
হয়ে যেত তখনই তারা ওই ভিডিও ব্যবহার করে ব্যবসায়ীদের ব্লাকমেইল করতো। এ
নিয়ে মামলা হলে দু’জনকেই জামিনে মুক্তি দেয়া হয়। কিন্তু গত শুক্রবার থেকে
তারা উধাও। তাদের বাড়ি কেরালার কোচি’তে। সেখানে তাদেরকে আর খুঁজে পাওয়া
যাচ্ছে না। তারা যেসব ব্যবসায়ীকে টার্গেট করেছিল এরই মধ্যে তাদের একজন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। পুলিশ ওই দু’নারীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেও এখন
ব্যর্থ হচ্ছে। এ ঘটনাটি বেশি আলোচিত হয় যখন রিপোর্ট প্রকাশ হয় যে, ওই
দু’নারী শুধু ব্যবসায়ী নয়, শীর্ষ স্থানীয় রাজনীতিবিদদেরও ফাঁদে ফেলে শিকারে
পরিণত করেছে। যদি রাজনীতিবিদদের সঙ্গে তাদের শারীরিক মেলামেশার ভিডিও
প্রকাশ হয়ে পড়ে তাহলে অনেক রাজনীতিকের ভবিষ্যত শেষ হয়ে যেতে পারে। এই
ব্লাকমেইল নাটক সাজানোর মূল হোতা জয়াচন্দ্রন। ইতিমধ্যে তাকে আটক করে পুলিশ
হেফাজতে রাখা হয়েছে। রাজ্যের রাজধানীতে এমপিদের জন্য যে হোস্টেল আছে তিনি
তা ব্যবহার করেছেন এ কাজে। তিনি শিকার করেছেন বিরোধী দলীয় কিছু এমপিকেও। এ
কথা প্রকাশ হওয়ার পর রাজ্যসভার স্পিকার নির্দেশ দিয়েছেন হোস্টেলে যাওয়া
ভিডিটরদের ভালভাবে যাচাই-বাছাই করতে। এই ব্লাকমেইল নাটক আলোর মুখ দেখে যখন
ঘটনার শিকার হয়ে কোল্লামভিত্তিক ব্যবসায়ী রবীন্দ্রন মারা যান। ধারণা করা
হয়, ব্লাকমেইলের শিকার হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তার এক বন্ধু উইলসন
পেরেইরা বলেন, ব্লাকমেইলাররা রবীন্দ্রনকে একটি ভিডিওতে ধারণ করেছেন। এতে
রবীন্দ্রনের সঙ্গে রয়েছে ওই নারীদের একজন। তারা বরীন্দ্রনকে হুমকি দিয়েছিল
ভিডিওটি তার পরিবার ও বন্ধবান্ধবদের কাছে প্রকাশ করে দেয়ার। পেরেইরা আরও
বলেন, সাজি নামে আরেকজন ব্যবসায়ীকে ব্লাকমেইল করেছে ওই দু’নারী। তারা আরও
যাদেরকে ফাঁদে ফেলেছে তার মধ্যে রয়েছে ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, কোল্লামের এক কাঠ
ব্যবসায় ও কোচির অন্য এক ব্যবসায়ী। এদের সবাইকে ফাঁদে ফেলে তারা আর্থিক
সুবিধা নিয়েছে। এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে যে জয়াচন্দ্রন তাকে এ মামলার
তদন্তের জন্য নেয়া হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে যে,
ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সে লাখ লাখ রুপি হাতিয়ে নিয়েছে বা নেয়ার চেষ্টা
করেছে।
No comments