মহান শিশু
ভালো কাজকে কখনো খাটো করে দেখতে নেই। আর কাজটি যদি হয় মাত্র ১১ বছর বয়সী সেই চীনা ছেলেটির মতো, তাহলে তো কথাই নেই। দেশটির শেনঝেন প্রদেশের ওই ছেলের নাম লিয়াং ইয়াওয়ি। খবর এনডিটিভির। ক্যানসারে দীর্ঘদিন ভুগে মারা গেছে লিয়াং। মৃত্যুর আগে নিজের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল সে। লিয়াংয়ের মা পূরণ করেছেন সন্তানের সেই অনুরোধ। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করায় শিশুটির মা রেডক্রসের কাছ থেকে সনদও পেয়েছেন।
লিয়াংয়ের বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা জানান, পাঠ্যবইয়ে একটি গল্প পড়েই সম্ভবত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করার বিষয়ে ধারণা পেয়েছিল লিয়াং। বিষয়টি ভাবতে খুব সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু অনেক মানুষ আছে, যারা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করার গুরুত্ব সম্পর্কেই জানে না। অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত জীবন কাটিয়ে চলে গেলেও সে বেঁচে থাকবে সেসব মানুষের মধ্যে, যারা তার বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ব্যবহার করবেন। লিয়াংয়ের কাজে শ্রদ্ধায় মাথা নুইয়েছেন তার চিকিৎসকেরাও। মাত্র ১১ বছর বয়সী একটি ছেলে যদি এ রকম মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যেতে পারে, তবে অন্যরাও নিশ্চয় পারবে মানবতার সেবায় নিজেদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করে যেতে। সে বলেছিল, ‘পৃথিবীতে অনেক মহান মানুষ আছেন। তাঁরা সবার জন্য বড় বড় কাজ করছেন। আমিও একটি মহান শিশু হতে চাই।’ সত্যিকার অর্থে লিয়াং প্রমাণ করেছে, সে একজন মহান শিশু।
No comments