ক্ষমতার দম্ভে জনগণকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ by কাজী সুমন
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র সভাপতি
আসম আবদুর রব বলেছেন, এখন জোর যার ভোট তার, জোর যার কেন্দ্র তার। বিরোধী
দলে থাকলে ভোটের অধিকার, আর ক্ষমতায় থাকলে নয়- এই সংস্কৃতিই প্রতিষ্ঠিত
করেছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতার দম্ভে প্রতিনিয়ত জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে
বঞ্চিত করছে তারা। তবে দম্ভ দেখানোর দুঃসাহসকে জনগণ একদিন ধূলিসাৎ করে
দেবে।
মানবজমিনকে
দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার দেশের রাজনীতিকে
অবরুদ্ধ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। গণতান্ত্রিক চেতনার কফিনে পেরেক মেরে
রাষ্ট্র অকার্যকর করার সব ব্যবস্থা সুদৃঢ় করা হচ্ছে সুপরিকল্পিতভাবে।
জনগণকে উপেক্ষা করে তাদের সম্মতি ব্যতিরেকে সাংবিধানিক চেতনা লুণ্ঠিত করে
দেশকে স্বৈরতান্ত্রিক জালের আওতায় এনে দীর্ঘ সঙ্কটের বীজ আওয়ামী লীগ বপন
করে যাচ্ছে। এ জন্য জাতিকে বড় ধরনের মাশুল দিতে হবে। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোট
এবং ভোটের অধিকারের ওপর আওয়ামী লীগ সিলমোহর মেরে দিয়েছে। ‘জোর যার ভোট
তার-জোর যার কেন্দ্র তার’- এটা প্রতিষ্ঠিত করেছে সরকার। ভোটারবিহীন
নির্বাচন করার পরও বাগাড়দ্বর করে সরকারের বক্তব্য-বিবৃতিতে প্রমাণ হয়েছে
দেশটাকে তারা দলীয় সম্পত্তিতে রূপান্তর করেছে। ন্যায়-অন্যায় সব একাকার করে
দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ভাব-মানসে পুনর্গঠন
করার প্রচেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে
বিকৃত-বিক্রি করছে। যারা মুক্তিযুদ্ধের পরিকল্পনাকারী, জাতীয় পতাকা, জাতীয়
সংগীত, দেশের নামকরণ-নির্ধারণ করেছে ‘নিউক্লিয়াস’ সেই ‘স্বাধীন বাংলা ছাত্র
সংগ্রাম পরিষদ’কে উপেক্ষা করে পতাকা-জাতীয় সংগীতের অনুষ্ঠান হচ্ছে- একটি
নিমন্ত্রণ দেয়ারও প্রয়োজন মনে করেনি। আজ যখন দেখি লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত
হচ্ছে-পতাকা নিয়ে অনুষ্ঠান হচ্ছে নিশ্চয় ভাল লাগে। কিন্তু এই পতাকা-জাতীয়
সংগীত কারা নির্ধারণ করেছিল তাদের কথা একটিবারও উচ্চারিত হয় না। আক্ষেপ
প্রকাশ করে আসম রব বলেন, সংগ্রাম আর রক্ত দিয়ে রাষ্ট্র বিনির্মাণ করেছিলাম
সুশাসনের জন্য-প্রতারণার জন্য নয়। রাষ্ট্র আজ চূড়ান্ত নিপীড়নমূলক
প্রতিষ্ঠান। সরকারের নিষ্ঠুরতা-নির্মমতা, মানুষ হত্যার আগ্রহ দেখে মনে হয়,
আমরা বিজাতীয় সরকারের অধীনে কোন আশ্রিত রাষ্ট্রের বাসিন্দা। সরকার
শুধুমাত্র দলীয় ক্ষমতাকে সংহত করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস
করে দিয়েছে। জাতীয় সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়া অন্যের হাতে তুলে দিয়েছে। রাষ্ট্র
থেকে শুভ চেতনা নির্বাসিত করা হয়েছে। এখন রাষ্ট্র আর জনগণের মাঝে সম্পর্ক
হচ্ছে প্রতারণার। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে মুক্তিযুদ্ধের
‘আদর্শ’কে বাদ দিয়ে চরম আত্মঘাতী রাজনীতিতে আবর্তিত হচ্ছে দেশ।
বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড রাষ্ট্রের নৈতিক ভিত্তি ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণের
জীবন সম্পদ সুরক্ষা দেয়ার পরিবর্তে রাষ্ট্র জনগণের জীবন বিপন্ন করতেই বেশি
উৎসাহী। জনগণের টাকায় যে বেতনভোগী কর্মচারী সে জনগণের ওপর নির্বিচারে গুলি
করার ক্ষমতা অর্জন করেছে অপরাজনীতির কারণে। আসম রব বলেন, গণতন্ত্রবিহীন
স্বেচ্ছাচারী রাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ। রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক
শক্তির রাজনৈতিক দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ দিয়েছে সরকার।
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য দেশ-জনগণের যে অপরিণাম ক্ষতি
হচ্ছে তা যদি জনগণ প্রতিরোধ করতে না পারে তা জাতির কপালে বড় সঙ্কটের তিলক
লাগাবে।
জেএসডি’র ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে আসম রব বলেন, জেএসডি বর্তমান অধঃপতিত রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তন-দলতন্ত্রের অধীনে পিষ্ট রাজনীতিকে উদ্ধারে ‘তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি’র বিকাশে সর্বশক্তি নিয়োগ করবে। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার মুক্তিযুদ্ধের এই আদর্শভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করার উপযোগী রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা ও নীতি প্রবর্তন করবে।
তবে বিকল্পধারা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও জেএসডিকে নিয়ে গঠিত রাজনৈতিক জোটের কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, জোট গঠন করা হয়েছিল ১০ম সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। সরকার নির্বাচনবিহীন-জনগণের সম্মতিবিহীন রাষ্ট্র ক্ষমতায় আঁকড়ে আছে। এ প্রেক্ষিতে জোটের কার্যক্রমে ভিন্ন মাত্রার উপাদান যোগ হবে। আদর্শিক রাজনীতি বাস্তবায়নে নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
পাঁচ বছরের আগে নতুন নির্বাচন নয়- সরকারের মন্ত্রীদের এমন বক্তব্য সম্পর্কে আসম রব বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা যতবার বলেন সংসদ ৫ বছর চলবে- ততবারই তাদের অবৈধ সংসদের কথা জনগণকে স্মরণ করিয়ে দেন এবং জনগণ তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়। সরকার এতটাই অবৈধ এবং তাদের নিজেদের বৈধতার প্রতি আত্মবিশ্বাস এতই কম যে, তারা বারবার ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার মন্ত্র পড়ছেন। সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার উন্মত্ততায় সরকার উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হচ্ছে লাখ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত রাষ্ট্রে চরম অন্যায় এবং স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে জনগণ যে কোন মুহূর্তে ফুঁসে উঠবে। গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে জনগণই দেশকে রক্ষা করবে।
উপজেলা নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকলে বিশ্বাস করে, ক্ষমতায় থাকলে নয়। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার দম্ভে জনগণের ভোট দেয়ার অধিকারকে হরণ করছে আওয়ামী লীগ। জনগণ যখনই ভোট দেয়ার সুযোগ পাবে তখনই আওয়ামী লীগকে বর্জন করবে। জনগণকে দম্ভ দেখানোর দুঃসাহস তারা একদিন ধূলিসাৎ করবে।
দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট নিয়ে ওঠা বিতর্ক সম্পর্কে আসম রব বলেন, ইতিহাস বিকৃতির মহোৎসব চলছে। মুক্তিযুদ্ধকে দলীয় ইতিহাসবিদরা বিতর্কিত করছেন। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের এক উত্তাল জনসমুদ্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধুর এই তেজোদীপ্ত ঘোষণা ছিল সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে গঠিত ‘নিউক্লিয়াসে’র কৃতিত্ব। আর এই নিউক্লিয়াসের সিদ্ধান্তেই ২রা মার্চ স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন হয় এবং ৩রা মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহারে দেশের নাম নির্ধারণ, জাতীয় পতাকা নির্বারণ, জাতীয় সংগীত নির্ধারণ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীন ও সার্বভৌম ‘বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক’ ঘোষণা করা হয় এবং এসব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। সুতরাং বঙ্গবন্ধুই স্বাধীন দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট, অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা গভীর তাৎপর্যপূর্ণ। অহেতুক বিতর্কে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
জেএসডি’র ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে আসম রব বলেন, জেএসডি বর্তমান অধঃপতিত রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তন-দলতন্ত্রের অধীনে পিষ্ট রাজনীতিকে উদ্ধারে ‘তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি’র বিকাশে সর্বশক্তি নিয়োগ করবে। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার মুক্তিযুদ্ধের এই আদর্শভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করার উপযোগী রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা ও নীতি প্রবর্তন করবে।
তবে বিকল্পধারা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও জেএসডিকে নিয়ে গঠিত রাজনৈতিক জোটের কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, জোট গঠন করা হয়েছিল ১০ম সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। সরকার নির্বাচনবিহীন-জনগণের সম্মতিবিহীন রাষ্ট্র ক্ষমতায় আঁকড়ে আছে। এ প্রেক্ষিতে জোটের কার্যক্রমে ভিন্ন মাত্রার উপাদান যোগ হবে। আদর্শিক রাজনীতি বাস্তবায়নে নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
পাঁচ বছরের আগে নতুন নির্বাচন নয়- সরকারের মন্ত্রীদের এমন বক্তব্য সম্পর্কে আসম রব বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা যতবার বলেন সংসদ ৫ বছর চলবে- ততবারই তাদের অবৈধ সংসদের কথা জনগণকে স্মরণ করিয়ে দেন এবং জনগণ তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়। সরকার এতটাই অবৈধ এবং তাদের নিজেদের বৈধতার প্রতি আত্মবিশ্বাস এতই কম যে, তারা বারবার ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার মন্ত্র পড়ছেন। সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার উন্মত্ততায় সরকার উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হচ্ছে লাখ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত রাষ্ট্রে চরম অন্যায় এবং স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে জনগণ যে কোন মুহূর্তে ফুঁসে উঠবে। গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে জনগণই দেশকে রক্ষা করবে।
উপজেলা নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকলে বিশ্বাস করে, ক্ষমতায় থাকলে নয়। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার দম্ভে জনগণের ভোট দেয়ার অধিকারকে হরণ করছে আওয়ামী লীগ। জনগণ যখনই ভোট দেয়ার সুযোগ পাবে তখনই আওয়ামী লীগকে বর্জন করবে। জনগণকে দম্ভ দেখানোর দুঃসাহস তারা একদিন ধূলিসাৎ করবে।
দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট নিয়ে ওঠা বিতর্ক সম্পর্কে আসম রব বলেন, ইতিহাস বিকৃতির মহোৎসব চলছে। মুক্তিযুদ্ধকে দলীয় ইতিহাসবিদরা বিতর্কিত করছেন। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের এক উত্তাল জনসমুদ্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধুর এই তেজোদীপ্ত ঘোষণা ছিল সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে গঠিত ‘নিউক্লিয়াসে’র কৃতিত্ব। আর এই নিউক্লিয়াসের সিদ্ধান্তেই ২রা মার্চ স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন হয় এবং ৩রা মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহারে দেশের নাম নির্ধারণ, জাতীয় পতাকা নির্বারণ, জাতীয় সংগীত নির্ধারণ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীন ও সার্বভৌম ‘বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক’ ঘোষণা করা হয় এবং এসব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। সুতরাং বঙ্গবন্ধুই স্বাধীন দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট, অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা গভীর তাৎপর্যপূর্ণ। অহেতুক বিতর্কে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
No comments