চতুর্থ ফ্রন্টের তুরুপে প্রধানমন্ত্রী মমতা?
ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ছাড়াও আছে তৃতীয় ফ্রন্ট তথা বামপন্থী দলগুলোর জোট। নির্বাচনের আগে আগে এবার চতুর্থ ফ্রন্ট বা ফেডারেল ফ্রন্টে আভাস দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। এবারের লোকসভা নির্বাচনে কোনো একক দলের পক্ষে কেন্দ্রে সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সম্ভব হবে না। বিজেপি এবং কংগ্রেস যে কটা আসনই পাক না কেন তাতে তাদের কেন্দ্রে যাওয়ার কোনো নিশ্চয়তা দেয়া যায় না। তৃতীয় ফ্রন্টও তেমন ভালো কোনো অবস্থানে নেই। এমন অবস্থায় দেশের ভারতের তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে মমতা ব্যানার্জির দল তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জনমত জরিপের ফলাফল থেকে দেখা যাচ্ছে যে, মমতা ব্যানার্জির দল পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে কম করে হলেও প্রায় ৩০টি আসন পেতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মমতা ব্যানার্জি নির্বাচনের পর যে দলে যাবেন সে দলেরই কেন্দ্রে সরকার গঠন সুবিধাজনক হয়ে যাবে। তবে মমতা ব্যানার্জি নিজে চিন্তা করছেন ফেডারেল ফ্রন্ট বা চতুর্থ ফ্রন্টের। নির্বাচনী জুয়ায় চতুর্থ ফ্রন্টের তুরুপ দেগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মসনদ দখল করতে পারেন মমতা।
সেক্ষেত্রে তৃণমূল তার সমমনা আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে কেন্দ্রে ভালো অবস্থানে চলে যাবেন মমতা ব্যানার্জির পক্ষে তখন প্রধানমন্ত্রী হওয়া সম্ভব। এর মধ্যে জয়ললিতা মমতার সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন। এর মাধ্যমে তৃণমূলের সঙ্গে জয়ললিতার এআইএডিএমকের সখ্যতা গড়ে উঠতে পারে। মমতা ব্যানার্জি ইতিমধ্যে আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে কথা বলেছেন। তার সাম্প্রতিক আচরণ থেকে বোঝা যায় কংগ্রেস বা বিজেপির সঙ্গে সরাসরি কোনো চুক্তি বা প্রস্তাবে যাওয়ার ইচ্ছা আপাতত তার নেই। তাই একই মতের দলগুলোর সাহায্যে যদি মমতা ব্যানার্জি চতুর্থ ফ্রন্ট নিয়ে হাজির হন তাহলে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। তবে এ ধরনের একটি চতুর্থ ফ্রন্ট কিছু প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। যেমন এই চতুর্থ ফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? এ রকম ফ্রন্টের ধারণা দেশের জন্য কি কোনো স্থিতিশীল সরকার উপহার দিতে পারবে কিনা? দলগুলোকে একত্রিত করতে রাজনৈতিক বা আদর্শিক ভিত্তি কি হবে? এসব প্রশ্নের এখনও কোনো যথাযথ উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।
No comments