চট্টগ্রামে ১৬ জনের জামিন হলো কার গাফিলতিতে?- আসামি তবু ‘আসামি’ নয়!
প্রকাশ্যে শিশুসহ দুজন খুন হয়েছে,
ব্যবহূত হয়েছে বিদেশি অস্ত্র; অথচ আড়াই মাসেও অভিযোগপত্র দিতে পারেনি
পুলিশ। তদন্তে দুর্বলতা আর রাজনৈতিক প্রভাব যেখানে, সেখানে আসামিরা সহজেই
জামিন পেয়ে যাবে; এতে আর আশ্চর্য কী?
খুনের দায়ে
অভিযুক্ত চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা সরকারি দল করার সুবিধা
হাতেনাতে পাচ্ছেন, কিন্তু নিহত ব্যক্তিদের পরিবার সরকারের কাছ থেকে কী
পেল? ন্যায়বিচার হবে না, এমন আশঙ্কা তাঁদের শোককে আরও অসহনীয় করে তুলছে।
(ফান ছবি)
এক হাতে তালি বাজে না যেমন ঠিক, কিন্তু হাততালি দিতে পারে একই দেহের দুই হাত। প্রায় সবখানেই আওয়ামী লীগ ও তার সব অংশীদার সংগঠন দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে খুনোখুনি চালিয়ে যাচ্ছে। আড়াই মাস আগে চট্টগ্রামে রেলের দরপত্র নিয়ে এ রকমই এক খুনোখুনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের দুই গ্রুপ। নাইন এমএম পিস্তল, সিজেড ও পিয়েত্র ব্যারোটার মতো অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে গোলাগুলির লড়াই হয়। এরই শিকার হন শিশু আরমান ও যুবক সাজু পালিত। সবাই সবকিছু দেখেছে, তবু হত্যায় জড়িত বলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির বদলে বরং ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত অভিযোগপত্র দেওয়া হয়নি, তদন্তেও অগ্রগতি নেই। আসামি হিসেবে ৮৭ জনের নাম এলেও আড়াই মাসে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫৬ জন। তাঁদের ১৬ জন দুই দফায় জামিন পেয়েছেন।
সরকারি দলের সদস্য হলে খুন করেও মাফ পাওয়া যায়—এ রকম একটি ধারণা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ও দলীয় কলকাঠি দিয়ে আসামিদের ছাড়িয়ে নেওয়ার মাধ্যমে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছে। ওই ৮৭ আসামির অন্যতম আসামি রাজেশ বিশ্বাস এখনো গ্রেপ্তারই হননি। এসব থেকে কি মনে করে যায় না, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বাস্তবতা নষ্ট হচ্ছে সরকারেরই কর্মকাণ্ডে? পুলিশের ওপর যখন রাজনৈতিক প্রভাব থাকে, তারা যদি তদন্তে গাফিলতি করে, তখন আদালতের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করা যে অসম্ভব নয়, খুনের আসামিদের জামিনপ্রাপ্তি কি সেটাই প্রমাণ করছে?
এক হাতে তালি বাজে না যেমন ঠিক, কিন্তু হাততালি দিতে পারে একই দেহের দুই হাত। প্রায় সবখানেই আওয়ামী লীগ ও তার সব অংশীদার সংগঠন দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে খুনোখুনি চালিয়ে যাচ্ছে। আড়াই মাস আগে চট্টগ্রামে রেলের দরপত্র নিয়ে এ রকমই এক খুনোখুনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের দুই গ্রুপ। নাইন এমএম পিস্তল, সিজেড ও পিয়েত্র ব্যারোটার মতো অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে গোলাগুলির লড়াই হয়। এরই শিকার হন শিশু আরমান ও যুবক সাজু পালিত। সবাই সবকিছু দেখেছে, তবু হত্যায় জড়িত বলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির বদলে বরং ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত অভিযোগপত্র দেওয়া হয়নি, তদন্তেও অগ্রগতি নেই। আসামি হিসেবে ৮৭ জনের নাম এলেও আড়াই মাসে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫৬ জন। তাঁদের ১৬ জন দুই দফায় জামিন পেয়েছেন।
সরকারি দলের সদস্য হলে খুন করেও মাফ পাওয়া যায়—এ রকম একটি ধারণা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ও দলীয় কলকাঠি দিয়ে আসামিদের ছাড়িয়ে নেওয়ার মাধ্যমে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছে। ওই ৮৭ আসামির অন্যতম আসামি রাজেশ বিশ্বাস এখনো গ্রেপ্তারই হননি। এসব থেকে কি মনে করে যায় না, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বাস্তবতা নষ্ট হচ্ছে সরকারেরই কর্মকাণ্ডে? পুলিশের ওপর যখন রাজনৈতিক প্রভাব থাকে, তারা যদি তদন্তে গাফিলতি করে, তখন আদালতের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করা যে অসম্ভব নয়, খুনের আসামিদের জামিনপ্রাপ্তি কি সেটাই প্রমাণ করছে?
No comments