শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা
পোশাকশিল্পাঞ্চলে থেমে থেমে শ্রমিক বিক্ষোভ চলছেই। বেতন-ভাতা ও নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি তো ছিলই, নতুন ইন্ধন হয়েছে মালিকদের সিদ্ধান্তে নিয়মবহির্ভূতভাবে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা। একদিকে বঞ্চনা, অন্যদিকে কারখানা বন্ধের কারণে বেকারত্বের হুমকি শ্রমিকদের অসন্তুষ্ট করে তুলছে। এ অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না।
তাজরীনের আগুন আর রানা প্লাজা ধস মালিকদের প্রতি শ্রমিকদের আস্থাকেও ধসিয়ে দিয়েছে। এই যুগল বিপর্যয়ের পর থেকে শ্রমিকাঞ্চলগুলোতে বিক্ষোভের মাত্রাও বেড়ে গেছে। পরিস্থিতির চাপে অনেক কারখানাই বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে। বেতন নিতে এসে বা কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকেরা দেখছেন ফটকে তালা ঝুলছে। এতে তাঁরা আরও বিক্ষুব্ধ হন এবং প্ররোচিত হন ভাঙচুরে। আমরা কারখানাগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলুক যেমন চাই, তেমনি চাই শ্রমিকেরা নিরাপত্তা ও উপযুক্ত মজুরিও পাক। এই শিল্পের টিকে থাকার জন্য যে শৃঙ্খলা প্রয়োজন, তা মালিক-শ্রমিক উভয়কেই নিশ্চিত করতে হবে।
অতি মুনাফার উদগ্র বাসনায় অনিরাপদ ভবনে কারখানা বসানো, অগ্নিনির্বাপণ ও জরুরি নির্গমনব্যবস্থা না থাকা, মজুরি বঞ্চনার মতো ঘটনাও ঘটাচ্ছেন কোনো কোনো মালিক। মূল সমস্যার সমাধান না করে কেবল পুলিশ দিয়ে শ্রমিক বিক্ষোভ ঠেকানো যাবে না।
স্বীকার করি, পোশাকশিল্প নিয়ে মালিক-শ্রমিক উভয়েই সংকটে ভুগছে। শ্রমিকদের সংকট হলো, নিম্ন বেতনে অনিরাপত্তার মধ্যে তাঁরা কাজ করতে রাজি নন, আবার কারখানা বন্ধ হয়ে কর্মছাড়া হতেও তাঁরা রাজি নন। মালিকদের সংকট হলো, শ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে তাঁরা যেমন রাজি নন, তেমনি আগের মতো করে চালাতেও পারছেন না। উভয় পক্ষের এই সংকট কাটাতে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। মজুরি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দেওয়ার মাধ্যমে বিশৃঙ্খল প্রতিবাদকে নিয়মতান্ত্রিক দর-কষাকষিতে নিয়ে আসা সম্ভব।
পোশাকশিল্প আমাদের প্রয়োজন, এর জন্যই প্রয়োজন শ্রমিকদের কথা শোনা। পাশাপাশি যাঁরা বিনা নোটিশে বেতন-ভাতা না দিয়েই কারখানা বন্ধ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াও জরুরি। কতিপয় মালিক ও শ্রমিকের জন্য সমগ্র শিল্প ভুগতে পারে না।
তাজরীনের আগুন আর রানা প্লাজা ধস মালিকদের প্রতি শ্রমিকদের আস্থাকেও ধসিয়ে দিয়েছে। এই যুগল বিপর্যয়ের পর থেকে শ্রমিকাঞ্চলগুলোতে বিক্ষোভের মাত্রাও বেড়ে গেছে। পরিস্থিতির চাপে অনেক কারখানাই বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে। বেতন নিতে এসে বা কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকেরা দেখছেন ফটকে তালা ঝুলছে। এতে তাঁরা আরও বিক্ষুব্ধ হন এবং প্ররোচিত হন ভাঙচুরে। আমরা কারখানাগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলুক যেমন চাই, তেমনি চাই শ্রমিকেরা নিরাপত্তা ও উপযুক্ত মজুরিও পাক। এই শিল্পের টিকে থাকার জন্য যে শৃঙ্খলা প্রয়োজন, তা মালিক-শ্রমিক উভয়কেই নিশ্চিত করতে হবে।
অতি মুনাফার উদগ্র বাসনায় অনিরাপদ ভবনে কারখানা বসানো, অগ্নিনির্বাপণ ও জরুরি নির্গমনব্যবস্থা না থাকা, মজুরি বঞ্চনার মতো ঘটনাও ঘটাচ্ছেন কোনো কোনো মালিক। মূল সমস্যার সমাধান না করে কেবল পুলিশ দিয়ে শ্রমিক বিক্ষোভ ঠেকানো যাবে না।
স্বীকার করি, পোশাকশিল্প নিয়ে মালিক-শ্রমিক উভয়েই সংকটে ভুগছে। শ্রমিকদের সংকট হলো, নিম্ন বেতনে অনিরাপত্তার মধ্যে তাঁরা কাজ করতে রাজি নন, আবার কারখানা বন্ধ হয়ে কর্মছাড়া হতেও তাঁরা রাজি নন। মালিকদের সংকট হলো, শ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে তাঁরা যেমন রাজি নন, তেমনি আগের মতো করে চালাতেও পারছেন না। উভয় পক্ষের এই সংকট কাটাতে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। মজুরি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দেওয়ার মাধ্যমে বিশৃঙ্খল প্রতিবাদকে নিয়মতান্ত্রিক দর-কষাকষিতে নিয়ে আসা সম্ভব।
পোশাকশিল্প আমাদের প্রয়োজন, এর জন্যই প্রয়োজন শ্রমিকদের কথা শোনা। পাশাপাশি যাঁরা বিনা নোটিশে বেতন-ভাতা না দিয়েই কারখানা বন্ধ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াও জরুরি। কতিপয় মালিক ও শ্রমিকের জন্য সমগ্র শিল্প ভুগতে পারে না।
No comments