পেনশন মঞ্জুর না হওয়া by সবিতা রানী দাস
আমার স্বামী নারায়ণ চন্দ্র দাস নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার রাজগঞ্জ উপ-ডাকঘরে কর্মরত ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৪ অক্টোবর কর্মরত অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর চার বছর পরও আমি পারিবারিক পেনশন পাইনি। পেনশনের জন্য ডাক বিভাগের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও ১৯৮৯ সালের আইনি জটিলতা দেখিয়ে আমাকে পেনশন পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। নোয়াখালী বিভাগীয় পোস্ট অফিস ও নোয়াখালী প্রধান ডাকঘর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি, চট্টগ্রাম সার্কেল অফিস ও ঢাকা ডাক অধিদপ্তরের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ৮৯-এর জটিলতাযুক্ত অন্য পেনশনারদের নামের তালিকার সঙ্গে আমার স্বামীর নামও অন্তর্ভুক্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন অফিসে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো সেখান থেকে ফেরত আসেনি। এ অবস্থায় আমি পাঁচ সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। সংসারে উপার্জনক্ষম কোনো ব্যক্তি নেই। তাই ছেলেমেয়ে নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করছি। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে ডাক বিভাগের মহাপরিচালকের কাছে একটি আবেদন করেছি, কিন্তু আজও কোনো ফল পাইনি।
তাই আমার অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে পারিবারিক পেনশনের ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সবিতা রানী দাস
খোদেদাদপুর, বানদত্ত বাজার, নোয়াখালী।
তাই আমার অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে পারিবারিক পেনশনের ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সবিতা রানী দাস
খোদেদাদপুর, বানদত্ত বাজার, নোয়াখালী।
No comments