টাকা উড়ছে প্রিমিয়ার ক্রিকেটে!
জাতীয় দলের এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে কদিন আগেও আলোচনা চলছিল। তাঁর দাবি ২৫ লাখ টাকা। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব দিতে চায় লাখ পাঁচেক কম। বিদেশি খেলোয়াড় আনতে কত খরচ হবে, সেটাও নিশ্চিত নয় এখনো। অথচ খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বাবদ ক্লাবটি এর মধ্যেই খরচ করে ফেলেছে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা!
এই টাকা অগ্রিম দিয়ে তারা চুক্তিবদ্ধ করেছে ১৫ জন স্থানীয় ক্রিকেটারকে। বিদেশি খেলোয়াড়দের পেছনে আনুমানিক খরচ ধরলে তাঁদের পারিশ্রমিক বাবদ খরচ হতে পারে আড়াই কোটি টাকা। গতবার দেড় কোটি টাকায় দল করা গাজী ট্যাংকেরও খেলোয়াড়দের পেছনে খরচ এবার ছুঁতে পারে একই অঙ্ক। ক্লাবটির কর্মকর্তা কামরুজ্জামান হীরার ধারণা, ওপরের দিকের পাঁচ-ছয়টি দলের কেউই এবার দুই কোটি টাকার নিচে দল করতে পারবে না।
ক্রিকেটারদের উচ্চমূল্য হাঁকানো প্রিমিয়ার লিগ শুরুর ছয় মাস আগেই সরগরম করে দিয়েছে ঢাকার ক্লাবপাড়া। সিসিডিএমের প্রস্তাবিত পঞ্জিকা অনুযায়ী, আসন্ন মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের টি-টোয়েন্টি শুরু হওয়ার কথা আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে, ওয়ানডে ২ ফেব্রুয়ারি।
ধানমন্ডি ক্লাব সর্বশেষ প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ খেলেছে ২০০২-০৩ মৌসুমে। নাম বদলে ‘শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব’ হওয়ার পর প্রিমিয়ারে এবারই প্রথম। ফুটবলের মতো ক্রিকেটেও ভালো দল গড়তে দেদার টাকা ঢালছে ক্লাবটি। না ঢেলে উপায় নেই। ঢাকার ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের মূল্য যে এবার আকাশছোঁয়া!
বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা করে জানা গেছে, মূলত দুই ধরনের ক্রিকেটারদের উচ্চমূল্যের কারণেই পারিশ্রমিকের গ্রাফ এতটা ঊর্ধ্বমুখী—এক. ঘরোয়া ক্রিকেটে যাঁরা নিয়মিত পারফরমার। দুই. লিগের বেশির ভাগ ম্যাচে যাঁদের দলে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। শুরুতেই এসব ক্রিকেটারের দাম বেড়ে যাওয়ায় জাতীয় দল ও তার আশপাশে থাকা ক্রিকেটাররাও বাড়িয়ে দিয়েছেন পারিশ্রমিক। তবে অনেক ক্লাবের অভিযোগ, উঠতি ক্রিকেটারদের মাত্রাতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিয়ে গাজী ট্যাংক আর শেখ জামালই বাজার এমন চড়িয়ে দিয়েছে।
শুরুতে শেখ জামালের দল গঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা খালেদ মাহমুদ অবশ্য মানতে চাইলেন না, ‘শেখ জামাল মাঠে নামার আগেই মাঝারি মানের খেলোয়াড়দের বেশি দামে সই করিয়ে নিয়েছে অন্য একটা ক্লাব। বাজার চড়া হয়ে গিয়েছিল তখনই।’ ইঙ্গিতটা যাদের দিকে, সেই গাজী ট্যাংকের কর্মকর্তা কামরুজ্জামান হীরার ব্যাখ্যা, ‘এমন কিছু খেলোয়াড় আছে, ভারসাম্যপূর্ণ দল করতে যাঁদের রাখতেই হয়। ওই সব খেলোয়াড় যখন বলে, অমুক ক্লাব তো আমাকে অত টাকা দিতে চায়, তখন বাধ্য হয়েই তাঁকে বেশি টাকা দিতে হয়।’ শুধু গাজী ট্যাংক নয়, ক্রিকেটারদের এই কৌশলের ‘শিকার’ এবার কমবেশি সব ক্লাবই।
এবার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকে চুক্তিবদ্ধ হওয়া ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। ২৮ লাখ টাকা নিয়ে বিমান থেকে সই করেছেন শেখ জামালে। মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী ও শামসুর রহমানকে এ ক্লাব টেনেছে ২০ লাখ করে দিয়ে। মেহরাব হোসেন জুনিয়র পাচ্ছেন ১৮ লাখ, তুষার ইমরান ১২ লাখ। এ ছাড়া ডলার মাহমুদ, শুভাশীষ রায়, তাপস বৈশ্যরা ১০ লাখ করে। গতবার ৫ লাখেরও কম পাওয়া একাডেমির দুই ক্রিকেটার মাহমুদুল হাসান ও মাইশুকুর রহমানও নিচ্ছেন ১০ লাখ টাকা করে।
উচ্চমূল্যে খেলোয়াড় কেনার প্রতিযোগিতা মূলত শেখ জামাল আর গাজী ট্যাংকের মধ্যেই। নাসির হোসেনকেই ২২ লাখ টাকা দিচ্ছে গাজী ট্যাংক, মোহাম্মদ মিঠুনও নাকি পাবেন ২০ লাখের কাছাকাছি! শেখ জামালের কাছ থেকে ২৮ লাখ টাকার প্রস্তাব পাওয়া অলক কাপালিকে ধরে রাখা নিয়ে টেনশনে আছে ক্লাবটি। তারা চাচ্ছে ২৫-এর মধ্যে রফা করতে।
তবে চড়া বাজারেও আবাহনী সম্ভবত ধরে রাখতে পারছে ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহকে। গতবার ১৬ আর ১৮ লাখ টাকা করে নিলেও এবার দুজনই প্রায় ২৫ লাখ করে নিচ্ছেন পুরোনো ক্লাব থেকে।
অন্যদেরই যখন এই অবস্থা, ঘরোয়া ক্রিকেটে গত দুই মৌসুম থেকেই দাম বাড়িয়ে রাখা সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবালের দাম তো আরও চড়ে যাওয়ার কথা! মজার ব্যাপার হলো, সম্ভাব্য দামটা অনেক বেশি হবে ভেবে মোহামেডানের এই দুই ক্রিকেটারকে নাকি কোনো দল প্রস্তাবই দেয়নি!
এই টাকা অগ্রিম দিয়ে তারা চুক্তিবদ্ধ করেছে ১৫ জন স্থানীয় ক্রিকেটারকে। বিদেশি খেলোয়াড়দের পেছনে আনুমানিক খরচ ধরলে তাঁদের পারিশ্রমিক বাবদ খরচ হতে পারে আড়াই কোটি টাকা। গতবার দেড় কোটি টাকায় দল করা গাজী ট্যাংকেরও খেলোয়াড়দের পেছনে খরচ এবার ছুঁতে পারে একই অঙ্ক। ক্লাবটির কর্মকর্তা কামরুজ্জামান হীরার ধারণা, ওপরের দিকের পাঁচ-ছয়টি দলের কেউই এবার দুই কোটি টাকার নিচে দল করতে পারবে না।
ক্রিকেটারদের উচ্চমূল্য হাঁকানো প্রিমিয়ার লিগ শুরুর ছয় মাস আগেই সরগরম করে দিয়েছে ঢাকার ক্লাবপাড়া। সিসিডিএমের প্রস্তাবিত পঞ্জিকা অনুযায়ী, আসন্ন মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের টি-টোয়েন্টি শুরু হওয়ার কথা আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে, ওয়ানডে ২ ফেব্রুয়ারি।
ধানমন্ডি ক্লাব সর্বশেষ প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ খেলেছে ২০০২-০৩ মৌসুমে। নাম বদলে ‘শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব’ হওয়ার পর প্রিমিয়ারে এবারই প্রথম। ফুটবলের মতো ক্রিকেটেও ভালো দল গড়তে দেদার টাকা ঢালছে ক্লাবটি। না ঢেলে উপায় নেই। ঢাকার ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের মূল্য যে এবার আকাশছোঁয়া!
বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা করে জানা গেছে, মূলত দুই ধরনের ক্রিকেটারদের উচ্চমূল্যের কারণেই পারিশ্রমিকের গ্রাফ এতটা ঊর্ধ্বমুখী—এক. ঘরোয়া ক্রিকেটে যাঁরা নিয়মিত পারফরমার। দুই. লিগের বেশির ভাগ ম্যাচে যাঁদের দলে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। শুরুতেই এসব ক্রিকেটারের দাম বেড়ে যাওয়ায় জাতীয় দল ও তার আশপাশে থাকা ক্রিকেটাররাও বাড়িয়ে দিয়েছেন পারিশ্রমিক। তবে অনেক ক্লাবের অভিযোগ, উঠতি ক্রিকেটারদের মাত্রাতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিয়ে গাজী ট্যাংক আর শেখ জামালই বাজার এমন চড়িয়ে দিয়েছে।
শুরুতে শেখ জামালের দল গঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা খালেদ মাহমুদ অবশ্য মানতে চাইলেন না, ‘শেখ জামাল মাঠে নামার আগেই মাঝারি মানের খেলোয়াড়দের বেশি দামে সই করিয়ে নিয়েছে অন্য একটা ক্লাব। বাজার চড়া হয়ে গিয়েছিল তখনই।’ ইঙ্গিতটা যাদের দিকে, সেই গাজী ট্যাংকের কর্মকর্তা কামরুজ্জামান হীরার ব্যাখ্যা, ‘এমন কিছু খেলোয়াড় আছে, ভারসাম্যপূর্ণ দল করতে যাঁদের রাখতেই হয়। ওই সব খেলোয়াড় যখন বলে, অমুক ক্লাব তো আমাকে অত টাকা দিতে চায়, তখন বাধ্য হয়েই তাঁকে বেশি টাকা দিতে হয়।’ শুধু গাজী ট্যাংক নয়, ক্রিকেটারদের এই কৌশলের ‘শিকার’ এবার কমবেশি সব ক্লাবই।
এবার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকে চুক্তিবদ্ধ হওয়া ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। ২৮ লাখ টাকা নিয়ে বিমান থেকে সই করেছেন শেখ জামালে। মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী ও শামসুর রহমানকে এ ক্লাব টেনেছে ২০ লাখ করে দিয়ে। মেহরাব হোসেন জুনিয়র পাচ্ছেন ১৮ লাখ, তুষার ইমরান ১২ লাখ। এ ছাড়া ডলার মাহমুদ, শুভাশীষ রায়, তাপস বৈশ্যরা ১০ লাখ করে। গতবার ৫ লাখেরও কম পাওয়া একাডেমির দুই ক্রিকেটার মাহমুদুল হাসান ও মাইশুকুর রহমানও নিচ্ছেন ১০ লাখ টাকা করে।
উচ্চমূল্যে খেলোয়াড় কেনার প্রতিযোগিতা মূলত শেখ জামাল আর গাজী ট্যাংকের মধ্যেই। নাসির হোসেনকেই ২২ লাখ টাকা দিচ্ছে গাজী ট্যাংক, মোহাম্মদ মিঠুনও নাকি পাবেন ২০ লাখের কাছাকাছি! শেখ জামালের কাছ থেকে ২৮ লাখ টাকার প্রস্তাব পাওয়া অলক কাপালিকে ধরে রাখা নিয়ে টেনশনে আছে ক্লাবটি। তারা চাচ্ছে ২৫-এর মধ্যে রফা করতে।
তবে চড়া বাজারেও আবাহনী সম্ভবত ধরে রাখতে পারছে ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহকে। গতবার ১৬ আর ১৮ লাখ টাকা করে নিলেও এবার দুজনই প্রায় ২৫ লাখ করে নিচ্ছেন পুরোনো ক্লাব থেকে।
অন্যদেরই যখন এই অবস্থা, ঘরোয়া ক্রিকেটে গত দুই মৌসুম থেকেই দাম বাড়িয়ে রাখা সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবালের দাম তো আরও চড়ে যাওয়ার কথা! মজার ব্যাপার হলো, সম্ভাব্য দামটা অনেক বেশি হবে ভেবে মোহামেডানের এই দুই ক্রিকেটারকে নাকি কোনো দল প্রস্তাবই দেয়নি!
No comments