সু চিকে রাজনৈতিক তৎপরতা না চালাতে সতর্কতা
মিয়ানমারের সেনা-সমর্থিত সরকার দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে রাজনৈতিক তৎপরতা না চালাতে সতর্ক করেছে। একই সঙ্গে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার মিয়ানমারের নিউ লাইট অব মিয়ানমার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
গত মঙ্গলবার বিবিসিতে প্রচারিত বক্তব্যে সু চি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক আন্দোলন তাঁর দেশের মানুষের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী নেত্রী সু চিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক চিঠিতে হুঁশিয়ার করা হয়, তাঁর দল দলীয় কার্যালয় চালু রেখে, সভা-সমাবেশ করে এবং রাজনৈতিক বিবৃতি দিয়ে আইন ভঙ্গ করছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সত্যিই যদি তাঁরা কার্যকরভাবে গণতন্ত্র গ্রহণ ও চর্চা করতে চান, তাহলে তাঁদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে, যা শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষতি করতে পারে। এ ছাড়া তা আইনপরিপন্থী বলেও বিবেচিত হতে পারে। একই সঙ্গে তা ভিক্ষু সম্প্রদায়, সেনাবাহিনীসহ সাধারণ মানুষের ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারে।
একটানা সাত বছর গৃহবন্দী থাকার পর গত নভেম্বরে মুক্তি পান সু চি। ২০ বছরের মধ্যে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে সু চিকে মুক্তি দেওয়া হয়। সমালোচকেরা অবশ্য বর্তমান সরকারকে বেসামরিক প্রশাসনের আড়ালে থাকা সেনা শাসক বলে অভিহিত করে থাকেন। পক্ষপাতের দোহাই দিয়ে নির্বাচন বর্জন করায় গত বছর সরকার এনএলডিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
ইংরেজি ভাষার ওই পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়, সু চির দলটি চাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সামাজিক সংগঠনে রূপান্তরিত হতে পারে। একই সঙ্গে সতর্ক করে দেওয়া হয়, সু চির পরিকল্পিত রাজনৈতিক সফর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সু চির পরিকল্পিত সফর নিয়ে আমরা খুব উদ্বিগ্ন। কারণ এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। বাধতে পারে দাঙ্গাহাঙ্গামা। আগের ঘটনাগুলো এর প্রমাণ।’
প্রতিবেদন অনুযায়ী সরকার বলেছে, সু চি এখন দেশের সাধারণ একজন মানুষ। কাজেই আইন মেনে তিনি ভ্রমণসহ অন্য যা কিছু করুন না কেন, কোনো বাধা নেই। তবে আইনের ধারা সমুন্নত রাখতে আইনের প্রতি তাঁকে সম্মান দেখাতে হবে।
সু চি রাজনৈতিক সফরের পরিকল্পনা নিলেও এ ব্যাপারে এখনো কোনো সময়সূচি ঘোষণা করা হয়নি। এ ধরনের সফরে তাঁর নিরাপত্তা রক্ষা বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয়। ২০০৩ সালে সু চির গাড়িবহরে অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। তাঁর জনপ্রিয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী এই হামলার পেছনে ছিল বলে ধারণা করা হয়। তবে এখন এ ধরনের সফরের প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এতে নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে তাঁর জনপ্রিয়তার হাল-হকিকত জানা যাবে।
গত মঙ্গলবার বিবিসিতে প্রচারিত বক্তব্যে সু চি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক আন্দোলন তাঁর দেশের মানুষের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী নেত্রী সু চিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক চিঠিতে হুঁশিয়ার করা হয়, তাঁর দল দলীয় কার্যালয় চালু রেখে, সভা-সমাবেশ করে এবং রাজনৈতিক বিবৃতি দিয়ে আইন ভঙ্গ করছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সত্যিই যদি তাঁরা কার্যকরভাবে গণতন্ত্র গ্রহণ ও চর্চা করতে চান, তাহলে তাঁদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে, যা শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষতি করতে পারে। এ ছাড়া তা আইনপরিপন্থী বলেও বিবেচিত হতে পারে। একই সঙ্গে তা ভিক্ষু সম্প্রদায়, সেনাবাহিনীসহ সাধারণ মানুষের ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারে।
একটানা সাত বছর গৃহবন্দী থাকার পর গত নভেম্বরে মুক্তি পান সু চি। ২০ বছরের মধ্যে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে সু চিকে মুক্তি দেওয়া হয়। সমালোচকেরা অবশ্য বর্তমান সরকারকে বেসামরিক প্রশাসনের আড়ালে থাকা সেনা শাসক বলে অভিহিত করে থাকেন। পক্ষপাতের দোহাই দিয়ে নির্বাচন বর্জন করায় গত বছর সরকার এনএলডিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
ইংরেজি ভাষার ওই পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়, সু চির দলটি চাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সামাজিক সংগঠনে রূপান্তরিত হতে পারে। একই সঙ্গে সতর্ক করে দেওয়া হয়, সু চির পরিকল্পিত রাজনৈতিক সফর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সু চির পরিকল্পিত সফর নিয়ে আমরা খুব উদ্বিগ্ন। কারণ এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। বাধতে পারে দাঙ্গাহাঙ্গামা। আগের ঘটনাগুলো এর প্রমাণ।’
প্রতিবেদন অনুযায়ী সরকার বলেছে, সু চি এখন দেশের সাধারণ একজন মানুষ। কাজেই আইন মেনে তিনি ভ্রমণসহ অন্য যা কিছু করুন না কেন, কোনো বাধা নেই। তবে আইনের ধারা সমুন্নত রাখতে আইনের প্রতি তাঁকে সম্মান দেখাতে হবে।
সু চি রাজনৈতিক সফরের পরিকল্পনা নিলেও এ ব্যাপারে এখনো কোনো সময়সূচি ঘোষণা করা হয়নি। এ ধরনের সফরে তাঁর নিরাপত্তা রক্ষা বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয়। ২০০৩ সালে সু চির গাড়িবহরে অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। তাঁর জনপ্রিয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী এই হামলার পেছনে ছিল বলে ধারণা করা হয়। তবে এখন এ ধরনের সফরের প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এতে নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে তাঁর জনপ্রিয়তার হাল-হকিকত জানা যাবে।
No comments