আনন্দিত-বিস্মিত ইলিয়েভস্কি
মাথায় বাঁধা বাংলাদেশের পতাকা। হাতেও লাল-সবুজ। ভাঙা একটা ছাতা মাথায় নিয়ে মোহামেডান গ্যালারিতে কাকভেজা হয়ে খেলা দেখছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা যুবক লিটন। বৃষ্টিতে ভেজাটা বিফলে যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি-ইচ্ছুক এই যুবক প্রায় হাজার চার-পাঁচ দর্শকের সঙ্গী হয়ে দেখলেন বাংলাদেশের জয়।
বিশ্বকাপ প্রাক-বাছাইপর্বের এই ম্যাচের আগে পাকিস্তান দলের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার নাম ছিল বৃষ্টি। তা বৃষ্টি হলো বটে। ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা দুয়েক আগে থেকে শুরু করে প্রায় পুরো ম্যাচের সময়টা জুড়েই। পরাজয়ের অজুহাতও পেয়ে গেলেন পাকিস্তানি কোচ তারিক লুৎফি, ‘এই মাঠে ফুটবল খেলা মোটেও সম্ভব নয়। আমরা ফিফার কাছে লিখিত প্রতিবাদ জানাব। ম্যাচ বাতিল করতে বলব। আমাদের খেলোয়াড়েরা তো বারবারই বলেছে, এই মাঠে খেলা সম্ভব নয়।’
ঢাকায় এসেই ঘোষণা করেছিলেন, বাংলাদেশের কাছে হারলে পদত্যাগ করবেন। পদত্যাগ কি করছেন, নাকি বৃষ্টি-বর্মের আড়ালে আশ্রয়? প্রশ্নটা করার আগেই তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন কক্ষ ছেড়ে গেলেন লুৎফি। তবে তার আগে আশা না ছাড়ার কথাও জানিয়ে গেলেন, ‘আমার মনে হয় এখনো আমাদের ফেরার সম্ভাবনা আছে। আমি আশা করি লাহোরে আমরা ঠিকই ফিরে আসব।’
ঢাকায় এসে লুৎফির বড়-বড় কথার কারণেই তাঁর প্রতিক্রিয়াটা আগে এল। আসলে আসা উচিত বাংলাদেশের তরুণ তুর্কিদের কথা। ছয় মাস টানা লিগ খেলার ধকল, মাত্র দু-তিন দিনের প্রস্তুতি—সব বাধা কী দুর্দান্তভাবেই না উড়িয়ে দিলেন এমিলি-জাহিদরা। কোচ নিকোলা ইলিয়েভস্কি তো স্বীকারই করলেন, ‘এই জয়ে আমি কিছুটা বিস্মিত।’ আনন্দ উপচে পড়ছিল তাঁর কথায়, ‘পাকিস্তান খুব কঠিন প্রতিপক্ষ। ওদের বিপক্ষে এমন জয়ে আমি খুবই খুশি। ছেলেরা দেশের জন্য প্রাণ উজাড় করে খেলেছে।’ গোলরক্ষক বিপ্লবের আনন্দটা একটু বেশিই হওয়ার কথা। অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড পরে অভিষেক ম্যাচেই এমন দারুণ জয়! যে জয়ে বাড়তি তাৎপর্য যোগ করছে পাকিস্তানের সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাস, ‘স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসের কারণে এই ম্যাচে আমরা আরও বেশি উজ্জীবিত ছিলাম।’ তবে যোগ্য অধিনায়কের মতো উচ্ছ্বাসে লাগাম টেনে রাখলেন, ‘আমি আজই আনন্দে ভেসে যাচ্ছি না। ফিরতি ম্যাচটাও জিততে চাই।’ সেই ম্যাচ পাকিস্তানে, যেখানে পারতপক্ষে এখন কেউ পা রাখতে চায় না। বিপ্লব অবশ্য অকুতোভয়, ‘আমরা নিজেদের সৈনিক বলেই মনে করি। দেশের জন্য না হয় প্রাণই দিলাম।’
বিশ্বকাপ প্রাক-বাছাইপর্বের এই ম্যাচের আগে পাকিস্তান দলের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার নাম ছিল বৃষ্টি। তা বৃষ্টি হলো বটে। ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা দুয়েক আগে থেকে শুরু করে প্রায় পুরো ম্যাচের সময়টা জুড়েই। পরাজয়ের অজুহাতও পেয়ে গেলেন পাকিস্তানি কোচ তারিক লুৎফি, ‘এই মাঠে ফুটবল খেলা মোটেও সম্ভব নয়। আমরা ফিফার কাছে লিখিত প্রতিবাদ জানাব। ম্যাচ বাতিল করতে বলব। আমাদের খেলোয়াড়েরা তো বারবারই বলেছে, এই মাঠে খেলা সম্ভব নয়।’
ঢাকায় এসেই ঘোষণা করেছিলেন, বাংলাদেশের কাছে হারলে পদত্যাগ করবেন। পদত্যাগ কি করছেন, নাকি বৃষ্টি-বর্মের আড়ালে আশ্রয়? প্রশ্নটা করার আগেই তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন কক্ষ ছেড়ে গেলেন লুৎফি। তবে তার আগে আশা না ছাড়ার কথাও জানিয়ে গেলেন, ‘আমার মনে হয় এখনো আমাদের ফেরার সম্ভাবনা আছে। আমি আশা করি লাহোরে আমরা ঠিকই ফিরে আসব।’
ঢাকায় এসে লুৎফির বড়-বড় কথার কারণেই তাঁর প্রতিক্রিয়াটা আগে এল। আসলে আসা উচিত বাংলাদেশের তরুণ তুর্কিদের কথা। ছয় মাস টানা লিগ খেলার ধকল, মাত্র দু-তিন দিনের প্রস্তুতি—সব বাধা কী দুর্দান্তভাবেই না উড়িয়ে দিলেন এমিলি-জাহিদরা। কোচ নিকোলা ইলিয়েভস্কি তো স্বীকারই করলেন, ‘এই জয়ে আমি কিছুটা বিস্মিত।’ আনন্দ উপচে পড়ছিল তাঁর কথায়, ‘পাকিস্তান খুব কঠিন প্রতিপক্ষ। ওদের বিপক্ষে এমন জয়ে আমি খুবই খুশি। ছেলেরা দেশের জন্য প্রাণ উজাড় করে খেলেছে।’ গোলরক্ষক বিপ্লবের আনন্দটা একটু বেশিই হওয়ার কথা। অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড পরে অভিষেক ম্যাচেই এমন দারুণ জয়! যে জয়ে বাড়তি তাৎপর্য যোগ করছে পাকিস্তানের সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাস, ‘স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসের কারণে এই ম্যাচে আমরা আরও বেশি উজ্জীবিত ছিলাম।’ তবে যোগ্য অধিনায়কের মতো উচ্ছ্বাসে লাগাম টেনে রাখলেন, ‘আমি আজই আনন্দে ভেসে যাচ্ছি না। ফিরতি ম্যাচটাও জিততে চাই।’ সেই ম্যাচ পাকিস্তানে, যেখানে পারতপক্ষে এখন কেউ পা রাখতে চায় না। বিপ্লব অবশ্য অকুতোভয়, ‘আমরা নিজেদের সৈনিক বলেই মনে করি। দেশের জন্য না হয় প্রাণই দিলাম।’
No comments