দার্জিলিং সমস্যার সমাধানে চুক্তি সই, প্রতিবাদে বন্ধ্
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানে গতকাল সোমবার স্বাক্ষর করা হয়েছে ত্রিপক্ষীয় ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তি। এদিকে চুক্তির প্রতিবাদে ডুয়ার্স ও তরাই এলাকায় ৪৮ ঘণ্টার বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। বনধের কারণে
এসব এলাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে।
দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি মহকুমা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে কার্শিয়াংয়ের সুকনার বনবাংলো পিনটেল ভিলেজের একটি বিশেষ মঞ্চে এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের
মধ্যে এ চুক্তি হয়। পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব জ্ঞানদত্ত গৌতম, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র যুগ্ম সচিব কেশব পাঠক চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো বিমল গুরুংসহ অন্যরা।
মূলত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এবারের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে তাঁর দল ক্ষমতায় গেলে দার্জিলিং সমস্যার সমাধান করা হবে।
এ চুক্তির ফলে দার্জিলিংয়ে গড়া হবে একটি স্বশাসিত সংস্থা। সংস্থার নামকরণ করা হয়েছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) বা গোর্খাল্যান্ড আঞ্চলিক প্রশাসন। জানা যায়, জিটিএ হবে ৫০ আসনের। এর মধ্যে ৪৫ জন
নি বাচিত হবেন সরাসরি ভোটে; বাকি পাঁচজন থাকবেন মনোনীত।
১৯৮০ সালে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গড়ার জন্য আন্দোলন শুরু করেন সুভাস ঘিসিং। গড়ে তোলেন গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফোর্স বা জিএনএলএফ। একপর্যায়ে পৃথক গোর্খা স্বশাসিত পার্বত্য পরিষদ গঠনের মাধ্যমে ওই আন্দোলনের
ইতি টানা হয়। ওই পরিষদের চেয়ারম্যান করা হয় সুভাস ঘিসিংকে।
২০০৭ সালে সুভাস ঘিসিংয়ের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে জিএনএলএফ থেকে বেরিয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা গঠন করে গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গড়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন বিমল গুরুং।
এদিকে ডুয়ার্স ও শিলিগুড়ি বা তরাইর মানুষ এ চুক্তি মেনে নিতে পারেনি। চুক্তির প্রতিবাদে গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার ডুয়ার্স এবং তরাই এলাকায় ৪৮ ঘণ্টার বনধের ডাক দেয় বাংলা ও বাংলা ভাষা বাঁচাও কমিটি।
বনধে শিলিগুড়ির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়ে। রাস্তাঘাটে যানবাহন চলেনি। এমনকি শিলিগুড়ি-দার্জিলিং সড়কপথেও কোনো যানবাহন চলেনি। বনধের কারণে দার্জিলিংয়ের সঙ্গে শিলিগুড়ির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
বাংলা ও বাংলা ভাষা বাঁচাও কমিটির সভাপতি সুকুমার মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আর পশ্চিমবঙ্গকে ভাগ হতে দেব না। দার্জিলিং চুক্তি বাংলা ভাগের প্রথম পদক্ষেপ। আমরা ওই চুক্তি মানি না। আমরা বাংলা ভাগের এ চক্রান্তের
বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
এর আগে ১৫ জুলাই উত্তরবঙ্গে বন্ধ পালন করে ‘আমরা বাঙালি’ ও ‘বাংলা মোর্চা’ নামের সংগঠন। আদিবাসী বিকাশ পরিষদের ডাকে ১৬ ও ১৭ জুলাই তরাই ও ডুয়ার্সে ৪৮ ঘণ্টার বন্ধ পালিত হয়। সংগঠনগুলো বলছে, তারা জিটিএর সঙ্গে
অন্তর্ভুক্ত হবে না।
এদিকে আজ মঙ্গলবার পাহাড়জুড়ে বিজয় উ ৎ সব পালন করার ঘোষণা দিয়েছে জনমুক্তি মোর্চা।
বামফ্রন্টও চুক্তির বিরোধিতা করেছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা সিপিএম বিধায়ক সূর্যকান্ত মিশ্রকে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু বামফ্রন্ট সে আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে।
এসব এলাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে।
দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি মহকুমা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে কার্শিয়াংয়ের সুকনার বনবাংলো পিনটেল ভিলেজের একটি বিশেষ মঞ্চে এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের
মধ্যে এ চুক্তি হয়। পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব জ্ঞানদত্ত গৌতম, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র যুগ্ম সচিব কেশব পাঠক চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো বিমল গুরুংসহ অন্যরা।
মূলত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এবারের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে তাঁর দল ক্ষমতায় গেলে দার্জিলিং সমস্যার সমাধান করা হবে।
এ চুক্তির ফলে দার্জিলিংয়ে গড়া হবে একটি স্বশাসিত সংস্থা। সংস্থার নামকরণ করা হয়েছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) বা গোর্খাল্যান্ড আঞ্চলিক প্রশাসন। জানা যায়, জিটিএ হবে ৫০ আসনের। এর মধ্যে ৪৫ জন
নি বাচিত হবেন সরাসরি ভোটে; বাকি পাঁচজন থাকবেন মনোনীত।
১৯৮০ সালে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গড়ার জন্য আন্দোলন শুরু করেন সুভাস ঘিসিং। গড়ে তোলেন গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফোর্স বা জিএনএলএফ। একপর্যায়ে পৃথক গোর্খা স্বশাসিত পার্বত্য পরিষদ গঠনের মাধ্যমে ওই আন্দোলনের
ইতি টানা হয়। ওই পরিষদের চেয়ারম্যান করা হয় সুভাস ঘিসিংকে।
২০০৭ সালে সুভাস ঘিসিংয়ের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে জিএনএলএফ থেকে বেরিয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা গঠন করে গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গড়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন বিমল গুরুং।
এদিকে ডুয়ার্স ও শিলিগুড়ি বা তরাইর মানুষ এ চুক্তি মেনে নিতে পারেনি। চুক্তির প্রতিবাদে গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার ডুয়ার্স এবং তরাই এলাকায় ৪৮ ঘণ্টার বনধের ডাক দেয় বাংলা ও বাংলা ভাষা বাঁচাও কমিটি।
বনধে শিলিগুড়ির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়ে। রাস্তাঘাটে যানবাহন চলেনি। এমনকি শিলিগুড়ি-দার্জিলিং সড়কপথেও কোনো যানবাহন চলেনি। বনধের কারণে দার্জিলিংয়ের সঙ্গে শিলিগুড়ির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
বাংলা ও বাংলা ভাষা বাঁচাও কমিটির সভাপতি সুকুমার মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আর পশ্চিমবঙ্গকে ভাগ হতে দেব না। দার্জিলিং চুক্তি বাংলা ভাগের প্রথম পদক্ষেপ। আমরা ওই চুক্তি মানি না। আমরা বাংলা ভাগের এ চক্রান্তের
বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
এর আগে ১৫ জুলাই উত্তরবঙ্গে বন্ধ পালন করে ‘আমরা বাঙালি’ ও ‘বাংলা মোর্চা’ নামের সংগঠন। আদিবাসী বিকাশ পরিষদের ডাকে ১৬ ও ১৭ জুলাই তরাই ও ডুয়ার্সে ৪৮ ঘণ্টার বন্ধ পালিত হয়। সংগঠনগুলো বলছে, তারা জিটিএর সঙ্গে
অন্তর্ভুক্ত হবে না।
এদিকে আজ মঙ্গলবার পাহাড়জুড়ে বিজয় উ ৎ সব পালন করার ঘোষণা দিয়েছে জনমুক্তি মোর্চা।
বামফ্রন্টও চুক্তির বিরোধিতা করেছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা সিপিএম বিধায়ক সূর্যকান্ত মিশ্রকে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু বামফ্রন্ট সে আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে।
No comments