রাত হলেই যেখানে ভর করে আতঙ্ক
ফেব্রুয়ারি মাসের কনকনে শীত। সন্ধ্যা নামতেই চারদিকে নেমে এল ঘোর অন্ধকার। তরুণী সারিকা তাঁর বান্ধবী ছায়াকে নিয়ে বাড়ির বাইরে পুকুর থেকে হাতমুখ ধুয়ে ফিরছিলেন। কিন্তু ফেরার পথে দুর্বৃত্ত শিভাম ও তাঁর তিন সহযোগীর খপ্পরে পড়েন তিনি।
এ ব্যাপারে সারিকা বলেন, ‘শিভাম আমাকে বলে তাঁকে বিয়ে করতে। আমি বলি, এটা সম্ভব নয়, আমরা একই গ্রামে বাস করি। তা ছাড়া আপনি আমার ভাইয়ের মতো। একপর্যায়ে আমি তাঁকে লাথি মেরে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করি। কিন্তু পারিনি। শিভাম তাঁর সহযোগীদের নিয়ে আমাকে ধরে ফেলেন। একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে ছোরা ও কুড়াল দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। একপর্যায়ে আমি অচেতন হয়ে পড়ি। জ্ঞান ফেরার পর নিজেকে হাসপাতালে আবিষ্কার করি।’
এর পর থেকে সারিকা ও তাঁর ভীতসন্ত্রস্ত পরিবার ৪৫ কিলোমিটার দূরে ফাতেহপুর জেলার উদপাউলি গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বসবাস করছে। ভারতের উত্তর প্রদেশের ঘটনা এটি। সেখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে অহরহ। ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের।
নারীদের নিয়ে কাজ করে লক্ষৌভিত্তিক একটি সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা রূপ রেখা ভার্মা বলেন, এখানকার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। অনেক অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে এখানে। অপরাধ বাড়ছে। বাড়ছে লৈঙ্গিক বৈষম্য। কি গ্রাম কি শহর, সবখানে মেয়েরা হামলা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
ভারতের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ উত্তর প্রদেশ। প্রায় ২০ কোটি লোকের বাস এই প্রদেশে। জনসংখ্যার পাশাপাশি এখানে দারিদ্র্যও বেশি। সরকারি হিসাব অনুযায়ী দিনে ১ দশমিক ২৫ ডলারেরও কম আয় করে, সেখানে এমন লোকের সংখ্যা ছয় কোটিরও বেশি। দারিদ্র্যই সমাজে অপরাধ বাড়িয়েছে। বেড়েছে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা। অনেক বাড়িতে শৌচাগার না থাকায় তাদের মাঠে কাজ সারতে হয়। তখন অনেক মেয়ে ধর্ষণ বা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়।
রূপ রেখা ভার্মা বলেন, উত্তর প্রদেশে অপরাধ সংগঠনের হার সব সময়ই বেশি। কিন্তু সম্প্রতি যেসব ঘটনা ঘটছে, এর বীভ ৎ সতা উপন্যাস ও চলচ্চিত্রকেও হার মানায়। উত্তর প্রদেশভিত্তিক আরেক সমাজসেবামূলক সংগঠন পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজের (পিইউসিএল) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস আর দারাপুরি জানান, ২০০৭ সালে সংগঠিত ধর্ষণের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভুক্তভোগীদের ৯০ শতাংশ দলিত শ্রেণী এবং দলিত শ্রেণীর ভুক্তভোগীদের ৮৫ শতাংশ অপ্রাপ্ত বয়স্ক।
এ ব্যাপারে সারিকা বলেন, ‘শিভাম আমাকে বলে তাঁকে বিয়ে করতে। আমি বলি, এটা সম্ভব নয়, আমরা একই গ্রামে বাস করি। তা ছাড়া আপনি আমার ভাইয়ের মতো। একপর্যায়ে আমি তাঁকে লাথি মেরে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করি। কিন্তু পারিনি। শিভাম তাঁর সহযোগীদের নিয়ে আমাকে ধরে ফেলেন। একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে ছোরা ও কুড়াল দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। একপর্যায়ে আমি অচেতন হয়ে পড়ি। জ্ঞান ফেরার পর নিজেকে হাসপাতালে আবিষ্কার করি।’
এর পর থেকে সারিকা ও তাঁর ভীতসন্ত্রস্ত পরিবার ৪৫ কিলোমিটার দূরে ফাতেহপুর জেলার উদপাউলি গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বসবাস করছে। ভারতের উত্তর প্রদেশের ঘটনা এটি। সেখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে অহরহ। ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের।
নারীদের নিয়ে কাজ করে লক্ষৌভিত্তিক একটি সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা রূপ রেখা ভার্মা বলেন, এখানকার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। অনেক অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে এখানে। অপরাধ বাড়ছে। বাড়ছে লৈঙ্গিক বৈষম্য। কি গ্রাম কি শহর, সবখানে মেয়েরা হামলা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
ভারতের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ উত্তর প্রদেশ। প্রায় ২০ কোটি লোকের বাস এই প্রদেশে। জনসংখ্যার পাশাপাশি এখানে দারিদ্র্যও বেশি। সরকারি হিসাব অনুযায়ী দিনে ১ দশমিক ২৫ ডলারেরও কম আয় করে, সেখানে এমন লোকের সংখ্যা ছয় কোটিরও বেশি। দারিদ্র্যই সমাজে অপরাধ বাড়িয়েছে। বেড়েছে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা। অনেক বাড়িতে শৌচাগার না থাকায় তাদের মাঠে কাজ সারতে হয়। তখন অনেক মেয়ে ধর্ষণ বা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়।
রূপ রেখা ভার্মা বলেন, উত্তর প্রদেশে অপরাধ সংগঠনের হার সব সময়ই বেশি। কিন্তু সম্প্রতি যেসব ঘটনা ঘটছে, এর বীভ ৎ সতা উপন্যাস ও চলচ্চিত্রকেও হার মানায়। উত্তর প্রদেশভিত্তিক আরেক সমাজসেবামূলক সংগঠন পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজের (পিইউসিএল) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস আর দারাপুরি জানান, ২০০৭ সালে সংগঠিত ধর্ষণের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভুক্তভোগীদের ৯০ শতাংশ দলিত শ্রেণী এবং দলিত শ্রেণীর ভুক্তভোগীদের ৮৫ শতাংশ অপ্রাপ্ত বয়স্ক।
No comments