যুক্তরাজ্যে গণভোট অনুষ্ঠিত
যুক্তরাজ্যে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার প্রশ্নে গতকাল বৃহস্পতিবার গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার শেষ রাত নাগাদ ভোটের ফল পাওয়া যেতে পারে।
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন জোট এই গণভোট নিয়ে চাপের মধ্যে রয়েছে। জোটের প্রধান শরিক দল প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের কনজারভেটিভ পার্টি বর্তমান নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের বিপক্ষে। কিন্তু অন্য শরিক দল উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগের লিবারেল ডেমোক্র্যাটস সংস্কারের পক্ষে। গত বছরের মে মাসে সাধারণ নির্বাচনের পর কনজারভেটিভ পার্টিকে সমর্থন দেওয়ার জন্য লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দলের অন্যতম শর্ত ছিল নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার।
নির্বাচনের আগে এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘জনগণ নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষে ভোট দিলে যুক্তরাজ্যে বিপর্যয় নেমে আসবে। দেশের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান নির্বাচনব্যবস্থা দারুণ কার্যকর। তাই আমরা এর বিপক্ষে অবস্থান নিতে পারি না।’
এদিকে ভোটের আগের রাতে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন ও উপপ্রধানমন্ত্রী ক্লেগ বলেন, গণভোটের ফল যা-ই হোক না কেন, এর প্রভাব ক্ষমতাসীন জোটে পড়বে না। জোট অক্ষুণ্ন থাকবে।
যুক্তরাজ্যে বর্তমানে ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ (যে প্রার্থী বেশি ভোট পাবেন, তিনিই বিজয়ী) ভোটব্যবস্থা চালু রয়েছে।
গতকাল গ্রিনিচ মান সময় ০৬০০টা থেকে ২১০০টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। তবে ভোটের ফল জানতে আজ শুক্রবার শেষ রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ব্রিটিশ প্রভাবশালী দৈনিক গার্ডিয়ান-এ প্রকাশিত একটি জরিপে দেখা যায়, ৬৮ শতাংশ মানুষ ভোটব্যবস্থা পরিবর্তনের বিপক্ষে রয়েছে। এর পক্ষে রয়েছে ৩২ শতাংশ মানুষের সমর্থন। অন্যদিকে দ্য সান-এ প্রকাশিত জরিপ অনুযায়ী ভোটব্যবস্থা পরিবর্তনের বিপক্ষে মত দেয় ৬০ শতাংশ মানুষ, পক্ষে ৪০ শতাংশ।
যুক্তরাজ্যে ১৯৭৫ সালের ৬ জুনের পর এই প্রথম গণভোট অনুষ্ঠিত হলো। তবে এবারের গণভোটে কোনো পক্ষই তাদের বার্তা জনগণের কাছে সেভাবে পৌঁছে দিতে পারেনি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটনের বিয়ে এবং মার্কিন অভিযানে ওসামা বিন লাদেনের নিহত হওয়ার ঘটনায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
বর্তমান ভোটব্যবস্থার পক্ষে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন ও কনজারভেটিভ পার্টির অবস্থান নেওয়ার পক্ষে যুক্তি হলো—এটি সুষ্ঠু, সহজ ও কার্যকর একটি ব্যবস্থা। এতে ভোটাররা অজনপ্রিয় কোনো সরকারকে বিদায় করে দিতে পারে। অন্যদিকে উপপ্রধানমন্ত্রী ক্লেগ ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দলের মত হলো, বর্তমান পদ্ধতিতে তাদের মতো ছোট দলগুলোর প্রতি জনসমর্থনের সঠিক মূল্যায়ন হয় না। বর্তমান ব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষে তারা অনেক দিন ধরেই প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা এডওয়ার্ড মিলিব্যান্ড ব্যক্তিগতভাবে বর্তমান ভোটব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষে। তাঁর মতে, ভোটব্যবস্থা সংস্কার করা সম্ভব হলে ব্রিটিশ রাজনীতিতে পরিবর্তন আসবে। এই গণভোটকে একটি সুযোগ বলেও মনে করেন তিনি। এই ইস্যুতে তাঁর দল লেবার পার্টিতে অবশ্য বিভক্তি রয়েছে। তবে বড় অংশটিই লিবারেল ডেমোক্র্যাটসদের মতো ভোটব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষে।
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন জোট এই গণভোট নিয়ে চাপের মধ্যে রয়েছে। জোটের প্রধান শরিক দল প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের কনজারভেটিভ পার্টি বর্তমান নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের বিপক্ষে। কিন্তু অন্য শরিক দল উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগের লিবারেল ডেমোক্র্যাটস সংস্কারের পক্ষে। গত বছরের মে মাসে সাধারণ নির্বাচনের পর কনজারভেটিভ পার্টিকে সমর্থন দেওয়ার জন্য লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দলের অন্যতম শর্ত ছিল নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার।
নির্বাচনের আগে এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘জনগণ নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষে ভোট দিলে যুক্তরাজ্যে বিপর্যয় নেমে আসবে। দেশের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান নির্বাচনব্যবস্থা দারুণ কার্যকর। তাই আমরা এর বিপক্ষে অবস্থান নিতে পারি না।’
এদিকে ভোটের আগের রাতে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন ও উপপ্রধানমন্ত্রী ক্লেগ বলেন, গণভোটের ফল যা-ই হোক না কেন, এর প্রভাব ক্ষমতাসীন জোটে পড়বে না। জোট অক্ষুণ্ন থাকবে।
যুক্তরাজ্যে বর্তমানে ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ (যে প্রার্থী বেশি ভোট পাবেন, তিনিই বিজয়ী) ভোটব্যবস্থা চালু রয়েছে।
গতকাল গ্রিনিচ মান সময় ০৬০০টা থেকে ২১০০টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। তবে ভোটের ফল জানতে আজ শুক্রবার শেষ রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ব্রিটিশ প্রভাবশালী দৈনিক গার্ডিয়ান-এ প্রকাশিত একটি জরিপে দেখা যায়, ৬৮ শতাংশ মানুষ ভোটব্যবস্থা পরিবর্তনের বিপক্ষে রয়েছে। এর পক্ষে রয়েছে ৩২ শতাংশ মানুষের সমর্থন। অন্যদিকে দ্য সান-এ প্রকাশিত জরিপ অনুযায়ী ভোটব্যবস্থা পরিবর্তনের বিপক্ষে মত দেয় ৬০ শতাংশ মানুষ, পক্ষে ৪০ শতাংশ।
যুক্তরাজ্যে ১৯৭৫ সালের ৬ জুনের পর এই প্রথম গণভোট অনুষ্ঠিত হলো। তবে এবারের গণভোটে কোনো পক্ষই তাদের বার্তা জনগণের কাছে সেভাবে পৌঁছে দিতে পারেনি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটনের বিয়ে এবং মার্কিন অভিযানে ওসামা বিন লাদেনের নিহত হওয়ার ঘটনায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
বর্তমান ভোটব্যবস্থার পক্ষে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন ও কনজারভেটিভ পার্টির অবস্থান নেওয়ার পক্ষে যুক্তি হলো—এটি সুষ্ঠু, সহজ ও কার্যকর একটি ব্যবস্থা। এতে ভোটাররা অজনপ্রিয় কোনো সরকারকে বিদায় করে দিতে পারে। অন্যদিকে উপপ্রধানমন্ত্রী ক্লেগ ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দলের মত হলো, বর্তমান পদ্ধতিতে তাদের মতো ছোট দলগুলোর প্রতি জনসমর্থনের সঠিক মূল্যায়ন হয় না। বর্তমান ব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষে তারা অনেক দিন ধরেই প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা এডওয়ার্ড মিলিব্যান্ড ব্যক্তিগতভাবে বর্তমান ভোটব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষে। তাঁর মতে, ভোটব্যবস্থা সংস্কার করা সম্ভব হলে ব্রিটিশ রাজনীতিতে পরিবর্তন আসবে। এই গণভোটকে একটি সুযোগ বলেও মনে করেন তিনি। এই ইস্যুতে তাঁর দল লেবার পার্টিতে অবশ্য বিভক্তি রয়েছে। তবে বড় অংশটিই লিবারেল ডেমোক্র্যাটসদের মতো ভোটব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষে।
No comments