ইংল্যান্ডের এখন তিন অধিনায়ক
গুঞ্জন চলছিল বিশ্বকাপের পর থেকেই। ইংল্যান্ড ও ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ডের আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় কাল সত্যি হলো সেই গুঞ্জনটাই। ইংল্যান্ডের ওয়ানডে অধিনায়ক মনোনীত হয়েছেন অ্যালিস্টার কুক, অধিনায়ক হওয়ার আগ পর্যন্ত যিনি ছিলেন ওয়ানডে দলেরই বাইরে। অধিনায়কত্বের সঙ্গে ওয়ানডে ক্রিকেটও ছেড়েছেন অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। তবে টেস্টের নেতৃত্ব স্ট্রাউসের কাঁধেই থাকছে। অনুমিত এই পরিবর্তনটার সঙ্গে বিস্ময় হয়ে এসেছে আরেকটি ঘোষণা। পল কলিংউডকে সরিয়ে টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক করা হয়েছে স্টুয়ার্ট ব্রডকে। ক্রিকেটের জনকদের হাত ধরে জন্ম হলো আরেকটি ইতিহাস—তিন ধরনের ক্রিকেটে ভিন্ন তিন অধিনায়ক!
এমনিতে ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে খারাপ করছিলেন না স্ট্রাউস। বিশ্বকাপে জোনাথন ট্রটের পর ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানসংগ্রহকারী ছিলেন তিনিই (৪৭.৭১ গড়ে ৩৩৪)। তবে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হারার পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল স্ট্রাউস সরে দাঁড়াতে পারেন বা তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। সবচেয়ে বড় কারণ বয়স। ৩৪ বছর বয়সী স্ট্রাউস আগামী বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না নিশ্চিতভাবেই। ভবিষ্যতের কথা ভেবেই নেতৃত্বে এই পরিবর্তন।
কুককে ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসেবে ভাবা হচ্ছে জাতীয় দলে ঢোকার আগে থেকেই। স্ট্রাউসের বিশ্রামে গত বছর বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ সফরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কুকই। তবে বাঁহাতি ওপেনারের সবচেয়ে বড় বাধা ছিল ওয়ানডে খেলার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন। এই প্রশ্ন তাঁর সঙ্গী ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই। ওয়ানডে দলে এ জন্য কখনোই নিয়মিত ছিলেন না, আশেজে ৭৬৬ রান করার পরও ওয়ানডে দলে জায়গা হয়নি। অভিষেকের পর ইংল্যান্ডের খেলা ১১৮ ওয়ানডের কেবল ২৬টিতেই খেলেছেন। একটি সেঞ্চুরি আর ৫টি ফিফটি আছে, তবে সত্তরের সামান্য বেশি স্ট্রাইক রেট বড় একটা প্রশ্ন হয়ে ছিল। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখে ইংল্যান্ডের টিম ম্যানেজমেন্টের বিশ্বাস, কুকের ওয়ানডে খেলায় অনেক উন্নতি হয়েছে। গত বছর বাংলাদেশে এসেও তিন ওয়ানডেতে খারাপ করেননি, করেছিলেন ৬৪, ৬০ ও ৩২।
কুকের নিজেরও বিশ্বাস, আবার রঙিন জার্সি গায়ে তোলার জন্য তিনি প্রস্তুত, ‘সীমিত ওভার ক্রিকেটের খেলা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে আমি অনেক কাজ করেছি। নিজেকে কখনোই শুধু টেস্ট ব্যাটসম্যান ভাবিনি, জানি ওয়ানডেতে টপ-অর্ডারে অনেক কিছুই দেওয়ার আছে আমার। গত দুই বছরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দলকে সাফল্যের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্ট্রাউস, দলকে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত।’ শীর্ষ পর্যায়ে অধিনায়কত্বের কোনো অভিজ্ঞতা নেই, তবে কুকের মতোই রোমাঞ্চ ছিল স্টুয়ার্ট ব্রডের কণ্ঠেও। বয়স আর ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ—সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে অনুমিত এই দুই কারণই বললেন স্ট্রাউস। জানালেন নতুন দুই অধিনায়ককে নিয়ে ইংলিশ ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে চান।
তিন অধিনায়ক নিয়ে নেতিবাচক ভাবনাগুলোই প্রথমে আসে। তবে শিষ্যদের মতো রোমাঞ্চিত ইংল্যান্ড কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারও, ‘এ ধরনের কিছু এর আগে কখনো হয়নি, এ জন্যই সুযোগটা পেয়ে আমি রোমাঞ্চিত। আমরা ঠিক শতভাগ নিশ্চিত নই এটা কতটুকু সফল হবে বা হবে কিনা। কিন্তু চেষ্টা করতে তো দোষ নেই।’
কে জানে, হয়তো এই চেষ্টাই ইংলিশ ক্রিকেটে নিয়ে আসবে নতুন দিন!
এমনিতে ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে খারাপ করছিলেন না স্ট্রাউস। বিশ্বকাপে জোনাথন ট্রটের পর ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানসংগ্রহকারী ছিলেন তিনিই (৪৭.৭১ গড়ে ৩৩৪)। তবে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হারার পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল স্ট্রাউস সরে দাঁড়াতে পারেন বা তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। সবচেয়ে বড় কারণ বয়স। ৩৪ বছর বয়সী স্ট্রাউস আগামী বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না নিশ্চিতভাবেই। ভবিষ্যতের কথা ভেবেই নেতৃত্বে এই পরিবর্তন।
কুককে ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসেবে ভাবা হচ্ছে জাতীয় দলে ঢোকার আগে থেকেই। স্ট্রাউসের বিশ্রামে গত বছর বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ সফরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কুকই। তবে বাঁহাতি ওপেনারের সবচেয়ে বড় বাধা ছিল ওয়ানডে খেলার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন। এই প্রশ্ন তাঁর সঙ্গী ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই। ওয়ানডে দলে এ জন্য কখনোই নিয়মিত ছিলেন না, আশেজে ৭৬৬ রান করার পরও ওয়ানডে দলে জায়গা হয়নি। অভিষেকের পর ইংল্যান্ডের খেলা ১১৮ ওয়ানডের কেবল ২৬টিতেই খেলেছেন। একটি সেঞ্চুরি আর ৫টি ফিফটি আছে, তবে সত্তরের সামান্য বেশি স্ট্রাইক রেট বড় একটা প্রশ্ন হয়ে ছিল। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখে ইংল্যান্ডের টিম ম্যানেজমেন্টের বিশ্বাস, কুকের ওয়ানডে খেলায় অনেক উন্নতি হয়েছে। গত বছর বাংলাদেশে এসেও তিন ওয়ানডেতে খারাপ করেননি, করেছিলেন ৬৪, ৬০ ও ৩২।
কুকের নিজেরও বিশ্বাস, আবার রঙিন জার্সি গায়ে তোলার জন্য তিনি প্রস্তুত, ‘সীমিত ওভার ক্রিকেটের খেলা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে আমি অনেক কাজ করেছি। নিজেকে কখনোই শুধু টেস্ট ব্যাটসম্যান ভাবিনি, জানি ওয়ানডেতে টপ-অর্ডারে অনেক কিছুই দেওয়ার আছে আমার। গত দুই বছরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দলকে সাফল্যের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্ট্রাউস, দলকে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত।’ শীর্ষ পর্যায়ে অধিনায়কত্বের কোনো অভিজ্ঞতা নেই, তবে কুকের মতোই রোমাঞ্চ ছিল স্টুয়ার্ট ব্রডের কণ্ঠেও। বয়স আর ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ—সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে অনুমিত এই দুই কারণই বললেন স্ট্রাউস। জানালেন নতুন দুই অধিনায়ককে নিয়ে ইংলিশ ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে চান।
তিন অধিনায়ক নিয়ে নেতিবাচক ভাবনাগুলোই প্রথমে আসে। তবে শিষ্যদের মতো রোমাঞ্চিত ইংল্যান্ড কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারও, ‘এ ধরনের কিছু এর আগে কখনো হয়নি, এ জন্যই সুযোগটা পেয়ে আমি রোমাঞ্চিত। আমরা ঠিক শতভাগ নিশ্চিত নই এটা কতটুকু সফল হবে বা হবে কিনা। কিন্তু চেষ্টা করতে তো দোষ নেই।’
কে জানে, হয়তো এই চেষ্টাই ইংলিশ ক্রিকেটে নিয়ে আসবে নতুন দিন!
No comments