পাকিস্তানে আর কেউ অভিযান চালালে পরিণতি হবে ভয়াবহ
ওসামা বিন লাদেনকে হত্যায় যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে পাকিস্তান ভূখণ্ডে সশস্ত্র অভিযান চালিয়েছে, সেভাবে অন্য কেউ অভিযান চালানোর চেষ্টা করলে তার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলে ইসলামাবাদ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র গত বুধবার বলেছিল, প্রয়োজন পড়লে পাকিস্তানে আবারও একই ধরনের অভিযান চালানো হবে। এর পরদিন পাকিস্তান এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করল।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জে কারনি গত বুধবার বলেছেন, শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসীদের ধরতে বা তাঁদের হত্যা করতে প্রয়োজনে পাকিস্তানে আবারও অভিযান চালানো হবে
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব সালমান বশির গতকাল বৃহস্পতিবার এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে এ ধরনের ধৃষ্টতা ও ভুলের ফল হবে চরম বিপর্যয়মূলক। সামরিকভাবেই পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। এ ধরনের ঘটনা ফের ঘটলে তার পরিণতি যে ভয়াবহ হবে, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’
সালমান বশির মুখে না বললেও এ হুঁশিয়ারির মধ্য দিয়ে তিনি মূলত চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারতকেই সতর্ক করে দিয়েছেন। তা ছাড়া এর মধ্য দিয়ে নিজ দেশের জনগণের কাছেও একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, কোনো বিদেশি শক্তি হামলা চালালে তা মোকাবিলা করে দেশ রক্ষা করার মতো সামর্থ্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আছে।
পাকিস্তান কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই ওসামা বিন লাদেনকে হত্যায় গত রোববার ইসলামাবাদের অদূরে অ্যাবোটাবাদ শহরে হামলা চালায় মার্কিন সেনা কমান্ডোরা।
অ্যাবোটাবাদের মিলিটারি একাডেমির কাছে আল-কায়েদার প্রধান নেতা কীভাবে এতদিন আত্মগোপন করে ছিলেন, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েছে পাকিস্তান। পক্ষান্তরে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই সে দেশে হামলা চালানোয় যুক্তরাষ্ট্র সরকারও সমালোচনার মুখে পড়েছে।
বলা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সালমান বশির কোনো মন্তব্য করেননি। কিন্তু তিনি বলেছেন, লাদেনকে হত্যার ঘটনায় ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো ফাটল ধরেনি। বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের সম্পর্ক আগের মতোই আছে।
আল-কায়েদার সঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনী অথবা এর প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই জড়িত আছে বলে যে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে, তা উড়িয়ে দিয়েছেন সালমান বশির। তিনি বলেছেন, ‘এটা বলা সহজ যে আইএসআই ও সরকারের ভেতরকার কেউ আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু এই ধারণা ভুল। এটা মিথ্যা অভিযোগ।’ তিনি বলেন, ‘আইএসআইর সমালোচনা করা শুধু অন্যায়ই নয়, এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।’
ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পর প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বলেছিলেন, বিন লাদেনকে খুঁজে না পাওয়ার ব্যর্থতা পাকিস্তানের একার নয়। পররাষ্ট্রসচিব গিলানির সেই বক্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ‘এটা গোয়েন্দা-ব্যর্থতা হয়ে থাকলে তা সারা বিশ্বেরই গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা।’
এদিকে পাকিস্তানের মূল ধারার রাজনৈতিক দল জামায়াত-ই-ইসলামি মার্কিন অভিযানের নিন্দা জানিয়ে আজ শুক্রবার প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। অনুমতি ছাড়াই পাকিস্তানের মাটিতে হামলা চালানোয় সে দেশে লাদেনের আদর্শের অনুসারীরা এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে পারে বলে আগেই ধারণা করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে কিছুসংখ্যক গণমাধ্যমও তাদের পাশে দাঁড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র গত বুধবার বলেছিল, প্রয়োজন পড়লে পাকিস্তানে আবারও একই ধরনের অভিযান চালানো হবে। এর পরদিন পাকিস্তান এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করল।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জে কারনি গত বুধবার বলেছেন, শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসীদের ধরতে বা তাঁদের হত্যা করতে প্রয়োজনে পাকিস্তানে আবারও অভিযান চালানো হবে
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব সালমান বশির গতকাল বৃহস্পতিবার এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে এ ধরনের ধৃষ্টতা ও ভুলের ফল হবে চরম বিপর্যয়মূলক। সামরিকভাবেই পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। এ ধরনের ঘটনা ফের ঘটলে তার পরিণতি যে ভয়াবহ হবে, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’
সালমান বশির মুখে না বললেও এ হুঁশিয়ারির মধ্য দিয়ে তিনি মূলত চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারতকেই সতর্ক করে দিয়েছেন। তা ছাড়া এর মধ্য দিয়ে নিজ দেশের জনগণের কাছেও একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, কোনো বিদেশি শক্তি হামলা চালালে তা মোকাবিলা করে দেশ রক্ষা করার মতো সামর্থ্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আছে।
পাকিস্তান কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই ওসামা বিন লাদেনকে হত্যায় গত রোববার ইসলামাবাদের অদূরে অ্যাবোটাবাদ শহরে হামলা চালায় মার্কিন সেনা কমান্ডোরা।
অ্যাবোটাবাদের মিলিটারি একাডেমির কাছে আল-কায়েদার প্রধান নেতা কীভাবে এতদিন আত্মগোপন করে ছিলেন, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েছে পাকিস্তান। পক্ষান্তরে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই সে দেশে হামলা চালানোয় যুক্তরাষ্ট্র সরকারও সমালোচনার মুখে পড়েছে।
বলা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সালমান বশির কোনো মন্তব্য করেননি। কিন্তু তিনি বলেছেন, লাদেনকে হত্যার ঘটনায় ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো ফাটল ধরেনি। বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের সম্পর্ক আগের মতোই আছে।
আল-কায়েদার সঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনী অথবা এর প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই জড়িত আছে বলে যে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে, তা উড়িয়ে দিয়েছেন সালমান বশির। তিনি বলেছেন, ‘এটা বলা সহজ যে আইএসআই ও সরকারের ভেতরকার কেউ আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু এই ধারণা ভুল। এটা মিথ্যা অভিযোগ।’ তিনি বলেন, ‘আইএসআইর সমালোচনা করা শুধু অন্যায়ই নয়, এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।’
ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পর প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বলেছিলেন, বিন লাদেনকে খুঁজে না পাওয়ার ব্যর্থতা পাকিস্তানের একার নয়। পররাষ্ট্রসচিব গিলানির সেই বক্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ‘এটা গোয়েন্দা-ব্যর্থতা হয়ে থাকলে তা সারা বিশ্বেরই গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা।’
এদিকে পাকিস্তানের মূল ধারার রাজনৈতিক দল জামায়াত-ই-ইসলামি মার্কিন অভিযানের নিন্দা জানিয়ে আজ শুক্রবার প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। অনুমতি ছাড়াই পাকিস্তানের মাটিতে হামলা চালানোয় সে দেশে লাদেনের আদর্শের অনুসারীরা এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে পারে বলে আগেই ধারণা করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে কিছুসংখ্যক গণমাধ্যমও তাদের পাশে দাঁড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
No comments