হামলা বন্ধ হলে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন সম্ভব
লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল আতি আল ওবেইদি বলেছেন, ন্যাটো বিমান হামলা বন্ধ করলে লিবিয়ার জনগণই তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারবে। তিনি বলেন, হামলা বন্ধের পর ছয় মাসের মধ্যেই জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব।
লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিসরাতায় গাদ্দাফি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের জন্য সেনা পাঠাতে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিদ্রোহীরা। এদিকে গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল ইসলাম বলেছেন, ‘বিদ্রোহীরা অবশ্যই পরাজিত হবে। দিন দিন পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে আসছে।’
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, মার্কিন সহায়তা ছাড়াই ন্যাটো লিবিয়ায় সফল হবে।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে নিজের কার্যালয়ে বসে গার্ডিয়ান, বিবিসি, আইটিএন ও ওয়াশিংটন পোস্ট-এর সঙ্গে কথা বলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল ওবেইদি। তিনি বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে ছয় মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠনের কথা বিবেচনা করছে গাদ্দাফি সরকার। বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। সংস্কার প্রসঙ্গেও কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওবেইদি। তিনি বলেন, লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি কোথায় থাকবেন, তাঁর ভূমিকা কী হবে এবং তিনি কখন অবসরে যাবেন তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। যেকোনো বিষয় নিয়ে আলোচনার পথ খোলা রয়েছে। ওবেইদি আরও বলেন, ‘আমরা যেমনটা চাইছি তেমন হবে বা ওরা (বিদ্রোহীরা) যেমনটা চাইছে তেমন হবে—বিষয়টি এমন নয়। আমরা কীভাবে সবাই মিলে বসতে পারি সেটাই আসল কথা।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওবেইদি বলেন, ‘লিবিয়ার জনগণই লিবিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই বিষয়টি মেনে নেওয়া। কোনো কোনো সময় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স নিজেরাই নিজেদের মতের বিরোধিতা করে। তারা গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু লিবিয়ার প্রসঙ্গ এলে তারা গাদ্দাফিকে সরে যেতে বলে। গাদ্দাফির সরে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়টি লিবিয়ার জনগণের হাতেই ছেড়ে দেওয়া উচিত। অন্য দেশের নেতারা গাদ্দাফিকে সরে যেতে বলবেন—এটা উচিত নয়। আর এটা গণতন্ত্রের মূলনীতিরও বিরোধী।’ লিবিয়া সরকার পারস্পরিক সমঝোতা ও মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে যুদ্ধবিরতির পক্ষে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওবেইদি।
মিসরাতা গভর্নিং কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ সদস্য ও বিদ্রোহীদের নেতা নূরি আবদুল্লাহ আবদুল্লাতি বলেছেন, গাদ্দাফি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করতে ‘মানবিক’ কারণে বিদেশি সেনার সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এর আগে লিবিয়ায় বিদেশি সেনা উপস্থিতির বিরোধিতা করলেও গাদ্দাফি বাহিনীর নৃশংসতার কারণে বিদেশি সহায়তা চাওয়া হচ্ছে। কারণ, মিসরাতায় জনগণের এখন জীবনমরণ সমস্যা।
গাদ্দাফির ছেলে সাইফ একটি টেলিভিশন চ্যানেলে বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আশাবাদী, আমরাই জয়ী হব। পরিস্থিতি আমাদের পক্ষে আসছে।’ জয়ী হলেও বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিসরাতায় গাদ্দাফি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের জন্য সেনা পাঠাতে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিদ্রোহীরা। এদিকে গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল ইসলাম বলেছেন, ‘বিদ্রোহীরা অবশ্যই পরাজিত হবে। দিন দিন পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে আসছে।’
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, মার্কিন সহায়তা ছাড়াই ন্যাটো লিবিয়ায় সফল হবে।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে নিজের কার্যালয়ে বসে গার্ডিয়ান, বিবিসি, আইটিএন ও ওয়াশিংটন পোস্ট-এর সঙ্গে কথা বলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল ওবেইদি। তিনি বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে ছয় মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠনের কথা বিবেচনা করছে গাদ্দাফি সরকার। বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। সংস্কার প্রসঙ্গেও কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওবেইদি। তিনি বলেন, লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি কোথায় থাকবেন, তাঁর ভূমিকা কী হবে এবং তিনি কখন অবসরে যাবেন তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। যেকোনো বিষয় নিয়ে আলোচনার পথ খোলা রয়েছে। ওবেইদি আরও বলেন, ‘আমরা যেমনটা চাইছি তেমন হবে বা ওরা (বিদ্রোহীরা) যেমনটা চাইছে তেমন হবে—বিষয়টি এমন নয়। আমরা কীভাবে সবাই মিলে বসতে পারি সেটাই আসল কথা।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওবেইদি বলেন, ‘লিবিয়ার জনগণই লিবিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই বিষয়টি মেনে নেওয়া। কোনো কোনো সময় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স নিজেরাই নিজেদের মতের বিরোধিতা করে। তারা গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু লিবিয়ার প্রসঙ্গ এলে তারা গাদ্দাফিকে সরে যেতে বলে। গাদ্দাফির সরে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়টি লিবিয়ার জনগণের হাতেই ছেড়ে দেওয়া উচিত। অন্য দেশের নেতারা গাদ্দাফিকে সরে যেতে বলবেন—এটা উচিত নয়। আর এটা গণতন্ত্রের মূলনীতিরও বিরোধী।’ লিবিয়া সরকার পারস্পরিক সমঝোতা ও মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে যুদ্ধবিরতির পক্ষে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওবেইদি।
মিসরাতা গভর্নিং কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ সদস্য ও বিদ্রোহীদের নেতা নূরি আবদুল্লাহ আবদুল্লাতি বলেছেন, গাদ্দাফি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করতে ‘মানবিক’ কারণে বিদেশি সেনার সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এর আগে লিবিয়ায় বিদেশি সেনা উপস্থিতির বিরোধিতা করলেও গাদ্দাফি বাহিনীর নৃশংসতার কারণে বিদেশি সহায়তা চাওয়া হচ্ছে। কারণ, মিসরাতায় জনগণের এখন জীবনমরণ সমস্যা।
গাদ্দাফির ছেলে সাইফ একটি টেলিভিশন চ্যানেলে বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আশাবাদী, আমরাই জয়ী হব। পরিস্থিতি আমাদের পক্ষে আসছে।’ জয়ী হলেও বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
No comments