পরিবারের সম্মান রক্ষার নামে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ‘পরিবারের সম্মান রক্ষার’ নামে হত্যাকাণ্ড বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে রাজ্য সরকারগুলোর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। কোনো রাজ্য এজাতীয় হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারক মার্কান্দেয়া কাতজু ও জ্ঞান সুধা মিশ্র গতকাল মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেন।
সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ‘পরিবারের সম্মান রক্ষার’ নামে হত্যাকাণ্ড বাড়ছে। কোনো ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সামাজিক নিয়মের বাইরে গেলে তাকে সমাজচ্যুত করা হয় বা হত্যা করা হয়। বর্ণ বা জাতের ওপর নির্ভর করে গড়ে ওঠা গ্রামভিত্তিক পরিষদ প্রায়ই এই অপরাধগুলো অনুমোদন করে বা উৎসাহিত করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এর শিকার হয় তরুণ-তরুণী ও নবদম্পতিরা, যারা নিজ বর্ণ বা জাতের বাইরে প্রেম বা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়।
সুপ্রিম কোর্ট গ্রামভিত্তিক ওই পরিষদকে ‘ক্যাঙ্গারু আদালত’ বলে সমালোচনা করেন। ভারতের উত্তরাঞ্চলে এই পরিষদগুলো ‘খাপ পঞ্চায়েত’ ও দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুতে ‘কাট্টা পঞ্চায়েত’ বলে পরিচিত।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকেরা বলেন, ‘পরিবারের সম্মান রক্ষার নামে হত্যাকাণ্ড বা অন্য কোনো নৃশংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা জেনেছি, পঞ্চায়েত সম্মান রক্ষার নামে হত্যাকাণ্ড বা নৃশংসতার দায় যাদের হত্যা করা হয় তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়। সম্মান রক্ষার নামে হত্যাকাণ্ডের জন্য পঞ্চায়েত থেকে উৎসাহিতও করা হয়।’ বিচারকেরা আরও বলেন, ‘আমাদের মত হলো, এই বিষয়গুলো পুরোপুরি অবৈধ। এজাতীয় হত্যাকাণ্ড ও নৃশংসতা কঠোর হাতে দমন করতে হবে।’
কোনো রাজ্যে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটলে বা এমন পরিষদগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।
সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ‘পরিবারের সম্মান রক্ষার’ নামে হত্যাকাণ্ড বাড়ছে। কোনো ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সামাজিক নিয়মের বাইরে গেলে তাকে সমাজচ্যুত করা হয় বা হত্যা করা হয়। বর্ণ বা জাতের ওপর নির্ভর করে গড়ে ওঠা গ্রামভিত্তিক পরিষদ প্রায়ই এই অপরাধগুলো অনুমোদন করে বা উৎসাহিত করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এর শিকার হয় তরুণ-তরুণী ও নবদম্পতিরা, যারা নিজ বর্ণ বা জাতের বাইরে প্রেম বা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়।
সুপ্রিম কোর্ট গ্রামভিত্তিক ওই পরিষদকে ‘ক্যাঙ্গারু আদালত’ বলে সমালোচনা করেন। ভারতের উত্তরাঞ্চলে এই পরিষদগুলো ‘খাপ পঞ্চায়েত’ ও দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুতে ‘কাট্টা পঞ্চায়েত’ বলে পরিচিত।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকেরা বলেন, ‘পরিবারের সম্মান রক্ষার নামে হত্যাকাণ্ড বা অন্য কোনো নৃশংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা জেনেছি, পঞ্চায়েত সম্মান রক্ষার নামে হত্যাকাণ্ড বা নৃশংসতার দায় যাদের হত্যা করা হয় তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়। সম্মান রক্ষার নামে হত্যাকাণ্ডের জন্য পঞ্চায়েত থেকে উৎসাহিতও করা হয়।’ বিচারকেরা আরও বলেন, ‘আমাদের মত হলো, এই বিষয়গুলো পুরোপুরি অবৈধ। এজাতীয় হত্যাকাণ্ড ও নৃশংসতা কঠোর হাতে দমন করতে হবে।’
কোনো রাজ্যে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটলে বা এমন পরিষদগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।
No comments