বাজেট প্রণয়নে জনগণের সম্পৃক্ততা অনেক সীমিত
দেশের জাতীয় বাজেট মূলত প্রণয়ন করে থাকে নির্বাহী বিভাগ। এখানে সাংসদসহ জনগণের সম্পৃক্ততা অনেক সীমিত। অথচ সংবিধান অনুসারে জনপ্রতিনিধিদের অধিকতর সম্পৃক্ত থাকার কথা।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ও ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকস আয়োজিত বাজেট প্রণয়নবিষয়ক এক সেমিনারে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ফোরামের অংশ হিসেবে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সাংসদ মহীউদ্দীন খান আলমগীর এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান।
আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) মহাপরিচালক তৌফিক আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক প্রতিমা পাল মজুমদার, বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের (বিইউপি) চেয়ারম্যান এম এ লতিফ, পূবালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোরশেদ হোসেন প্রমুখ।
আতিউর রহমান বলেন, বর্তমানে সাংসদেরা শুধু বাজেট অনুমোদন করেন। বাজেট তদারক ও নিরীক্ষাও করতে পারেন তাঁরা। বিভিন্ন প্রকল্প তথা বাজেট বাস্তবায়ন নিয়েও সাংসদদের প্রশ্ন তোলার আহ্বান জানান তিনি।
সাংসদেরা তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় গণশুনানির আয়োজন করতে পারেন বলেও মন্তব্য করেন গভর্নর।
আতিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের সম্পদের ঘাটতি রয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় রাজস্ব আহরণের পরিমাণ কম। কর কাঠামোও দরিদ্রবান্ধব নয়। মূল্য সংযোজন করের (মূসক) মতো পরোক্ষ কর থেকে বেশির ভাগ কর আদায় হয়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে অধিকতর হারে বাজেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে বলে মনে করেন গভর্নর।
মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, বাজেট প্রণয়নের সাংবিধানিক দায়িত্ব সংসদের হলেও তা করে নির্বাহী বিভাগ। নির্বাহী বিভাগের তৈরি করা বাজেট সংসদে অনুমোদিত হয়। হওয়া উচিত ছিল, আগে সংসদে অনুমোদিত হবে, তারপর নির্বাহী বিভাগ তা বাস্তবায়ন করবে।
অর্থমন্ত্রীর জেলা ও একীভূত বাজেটের প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক পদক্ষেপ উল্লেখ করে মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, বৈষম্য দূর করতে হলে এ রকম বাজেট প্রণয়নের প্রত্যয় থেকে দূরে সরে আসতে হবে।
মহীউদ্দীন খান আলমগীর আরও বলেন, ব্যয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও আয়ের ওপর করা যায় না। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার জোর করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে অর্থ আদায় করেছে তা বেআইনি। তারা ডাকাতের কাজ করেছে, সরকারের কাজ নয়। বাজেট ঘোষণার পর এসআরও জারি করে করহার পরিবর্তনকেও অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সামরিক এলাকার উন্নয়নে ব্যাংকের পক্ষ থেকে ৩০ কোটি টাকা চাঁদা কোন আইনে ওঠানো হয়েছে—প্রশ্ন রাখেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর।
খাদ্য বাজেটে অস্পষ্টতা এবং কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের কার্যালয়ের নিরীক্ষা-সীমাবদ্ধতা দূর করার পরামর্শ দিয়ে মহীউদ্দীন খান আলমগীর সাধারণ বীমা করপোরেশন, রাজউক, বিটিসিএল, বিসিআইসি, চট্টগ্রাম বন্দরের বিপুল পরিমাণ অর্থের যথাযথ ব্যবহারের আহ্বান জানান।
এ ছাড়া মূল বাজেটের তুলনায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) প্রতিবছর বরাদ্দ কম রাখা হয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই সাংসদ।
বিইউপির চেয়ারম্যান এম এ লতিফ বলেন, পাকিস্তানে ২২ পরিবার থাকলেও বর্তমানে কত পরিবার রয়েছে, মানুষ জানতে চায়। তিনি আরও প্রশ্ন রাখেন, একটি জেলা ছাড়া অন্য কোনো জেলা থেকে কেন অর্থমন্ত্রী করা হয় না এবং কোনো অর্থমন্ত্রীই কেন দেশের উত্তরাঞ্চল পরিদর্শনে যান না।
প্রতিমা পাল মজুমদার বলেন, ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে কর্মসংস্থান হয় না, দরকার লাভজনক কর্মসংস্থানের। যা বাজেট প্রণয়নের সময় বিবেচনায় রাখা উচিত।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ও ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকস আয়োজিত বাজেট প্রণয়নবিষয়ক এক সেমিনারে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ফোরামের অংশ হিসেবে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সাংসদ মহীউদ্দীন খান আলমগীর এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান।
আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) মহাপরিচালক তৌফিক আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক প্রতিমা পাল মজুমদার, বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের (বিইউপি) চেয়ারম্যান এম এ লতিফ, পূবালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোরশেদ হোসেন প্রমুখ।
আতিউর রহমান বলেন, বর্তমানে সাংসদেরা শুধু বাজেট অনুমোদন করেন। বাজেট তদারক ও নিরীক্ষাও করতে পারেন তাঁরা। বিভিন্ন প্রকল্প তথা বাজেট বাস্তবায়ন নিয়েও সাংসদদের প্রশ্ন তোলার আহ্বান জানান তিনি।
সাংসদেরা তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় গণশুনানির আয়োজন করতে পারেন বলেও মন্তব্য করেন গভর্নর।
আতিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের সম্পদের ঘাটতি রয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় রাজস্ব আহরণের পরিমাণ কম। কর কাঠামোও দরিদ্রবান্ধব নয়। মূল্য সংযোজন করের (মূসক) মতো পরোক্ষ কর থেকে বেশির ভাগ কর আদায় হয়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে অধিকতর হারে বাজেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে বলে মনে করেন গভর্নর।
মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, বাজেট প্রণয়নের সাংবিধানিক দায়িত্ব সংসদের হলেও তা করে নির্বাহী বিভাগ। নির্বাহী বিভাগের তৈরি করা বাজেট সংসদে অনুমোদিত হয়। হওয়া উচিত ছিল, আগে সংসদে অনুমোদিত হবে, তারপর নির্বাহী বিভাগ তা বাস্তবায়ন করবে।
অর্থমন্ত্রীর জেলা ও একীভূত বাজেটের প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক পদক্ষেপ উল্লেখ করে মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, বৈষম্য দূর করতে হলে এ রকম বাজেট প্রণয়নের প্রত্যয় থেকে দূরে সরে আসতে হবে।
মহীউদ্দীন খান আলমগীর আরও বলেন, ব্যয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও আয়ের ওপর করা যায় না। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার জোর করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে অর্থ আদায় করেছে তা বেআইনি। তারা ডাকাতের কাজ করেছে, সরকারের কাজ নয়। বাজেট ঘোষণার পর এসআরও জারি করে করহার পরিবর্তনকেও অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সামরিক এলাকার উন্নয়নে ব্যাংকের পক্ষ থেকে ৩০ কোটি টাকা চাঁদা কোন আইনে ওঠানো হয়েছে—প্রশ্ন রাখেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর।
খাদ্য বাজেটে অস্পষ্টতা এবং কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের কার্যালয়ের নিরীক্ষা-সীমাবদ্ধতা দূর করার পরামর্শ দিয়ে মহীউদ্দীন খান আলমগীর সাধারণ বীমা করপোরেশন, রাজউক, বিটিসিএল, বিসিআইসি, চট্টগ্রাম বন্দরের বিপুল পরিমাণ অর্থের যথাযথ ব্যবহারের আহ্বান জানান।
এ ছাড়া মূল বাজেটের তুলনায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) প্রতিবছর বরাদ্দ কম রাখা হয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই সাংসদ।
বিইউপির চেয়ারম্যান এম এ লতিফ বলেন, পাকিস্তানে ২২ পরিবার থাকলেও বর্তমানে কত পরিবার রয়েছে, মানুষ জানতে চায়। তিনি আরও প্রশ্ন রাখেন, একটি জেলা ছাড়া অন্য কোনো জেলা থেকে কেন অর্থমন্ত্রী করা হয় না এবং কোনো অর্থমন্ত্রীই কেন দেশের উত্তরাঞ্চল পরিদর্শনে যান না।
প্রতিমা পাল মজুমদার বলেন, ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে কর্মসংস্থান হয় না, দরকার লাভজনক কর্মসংস্থানের। যা বাজেট প্রণয়নের সময় বিবেচনায় রাখা উচিত।
No comments