ফিলিস্তিনে ঐকমত্যের সরকার গঠনে রাজি হামাস ও ফাতাহ
ফিলিস্তিনের বিবদমান দুই গোষ্ঠী ফাতাহ ও হামাস অবশেষে একটি সমঝোতা চুক্তিতে পৌঁছাতে রাজি হয়েছে। প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী, মিসরের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষের অংশগ্রহণে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে এবং এ সরকারই এক বছরের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন সম্পন্ন করবে।
মিসরের রাজধানী কায়রোতে গত বুধবার এই চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছে। কায়রোর বৈঠকে ফাতাহ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন আজম আল-আহমদ আর হামাসের নেতৃত্ব দেন মাহমুদ জহর।
চার বছরেরও বেশি সময় ধরে গোষ্ঠী দুটির মধ্যে চরম বিরোধ চলে আসছে। হামাস ২০০৭ সাল থেকে দেশটির একাংশ গাজা ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। অপর অংশ পশ্চিম তীর নিয়ন্ত্রণ করছে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ।
হামাস ও ফাতাহর মধ্যে প্রস্তাবিত সমঝোতা চুক্তির খবরে ইসরায়েল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দেশটি বলেছে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ একই সঙ্গে হামাস ও ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি স্থাপন করতে পারে না। এ ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে হয় হামাস অথবা ইসরায়েলকে বেছে নিতে হবে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে বলেই আমি আশা করি। এবং সেটা হবে অবশ্যই ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি।’
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কয়েক বছর ধরে বোমা ও রকেট হামলা চালিয়ে আসছে হামাস। একই সঙ্গে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতেও নারাজ সশস্ত্র এই সংগঠনটি।
হামাস ও ফাতাহর মধ্যে সমঝোতার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বলেছে, ফিলিস্তিনে যে ঐকমত্যের সরকারই প্রতিষ্ঠা হোক না কেন, তাকে সহিংসতার পথ ছেড়ে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে হবে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র টমি ভায়েটর বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় গঠনমূলক ভূমিকা হিসেবে যেকোনো ফিলিস্তিনি সরকারকেই সহিংসতার পথ পরিত্যাগ করতে হবে। সেই সঙ্গে ইসরায়েলের টিকে থাকার অধিকারকেও স্বীকৃতি দিতে হবে।’
কায়রো বৈঠকের পর ফাতাহ প্রতিনিধিদলের প্রধান আজম আল-আহমদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘বিবদমান দুটি পক্ষই একটি স্বাধীন সরকার গঠনে রাজি হয়েছে। এক বছরের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টারি নির্বাচন সম্পন্ন করাই হবে এই সরকারের প্রধান কাজ।’
হামাসের প্রতিনিধিদলের প্রধান মাহমুদ জহর আল-জাজিরা টেলিভিশনকে বলেছেন, উভয় পক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে সম্মত হয়েছে। দুই পক্ষের নির্বাচিত ব্যক্তিদের নিয়েই এই সরকার গঠন করা হবে।
আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ এই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে হামাস ও ফাতাহ প্রতিনিধিদলকে আবারও কায়রো যেতে হবে। চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে উভয় পক্ষ পরস্পরের রাজনৈতিক বন্দীদেরও মুক্তি দেবে।
মাহমুদ জহর বলেছেন, প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য বিরোধ নিরসনে ১২ জন বিচারকের সমন্বয়ে একটি কমিশন গঠন করা হবে।
নেতানিয়াহু বলেছেন, এ ধরনের চুক্তির ফলে হামাস পশ্চিম তীরেও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সুযোগ পাবে। তবে মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদিনা ইসরায়েলি নেতার এই মন্তব্যকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘নেতানিয়াহুর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে চাই, সমঝোতা চুক্তি ফিলিস্তিনের একান্ত নিজস্ব বিষয়।’ তিনি আরও বলেন, নেতানিয়াহুকে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিতে হলে বসতি স্থাপন বন্ধ করতে হবে। আর বসতি স্থাপনের বিষয়ে অনড় থাকতে হলে শান্তি বিসর্জন দিতে হবে।
মিসরের রাজধানী কায়রোতে গত বুধবার এই চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছে। কায়রোর বৈঠকে ফাতাহ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন আজম আল-আহমদ আর হামাসের নেতৃত্ব দেন মাহমুদ জহর।
চার বছরেরও বেশি সময় ধরে গোষ্ঠী দুটির মধ্যে চরম বিরোধ চলে আসছে। হামাস ২০০৭ সাল থেকে দেশটির একাংশ গাজা ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। অপর অংশ পশ্চিম তীর নিয়ন্ত্রণ করছে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ।
হামাস ও ফাতাহর মধ্যে প্রস্তাবিত সমঝোতা চুক্তির খবরে ইসরায়েল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দেশটি বলেছে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ একই সঙ্গে হামাস ও ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি স্থাপন করতে পারে না। এ ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে হয় হামাস অথবা ইসরায়েলকে বেছে নিতে হবে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে বলেই আমি আশা করি। এবং সেটা হবে অবশ্যই ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি।’
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কয়েক বছর ধরে বোমা ও রকেট হামলা চালিয়ে আসছে হামাস। একই সঙ্গে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতেও নারাজ সশস্ত্র এই সংগঠনটি।
হামাস ও ফাতাহর মধ্যে সমঝোতার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বলেছে, ফিলিস্তিনে যে ঐকমত্যের সরকারই প্রতিষ্ঠা হোক না কেন, তাকে সহিংসতার পথ ছেড়ে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে হবে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র টমি ভায়েটর বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় গঠনমূলক ভূমিকা হিসেবে যেকোনো ফিলিস্তিনি সরকারকেই সহিংসতার পথ পরিত্যাগ করতে হবে। সেই সঙ্গে ইসরায়েলের টিকে থাকার অধিকারকেও স্বীকৃতি দিতে হবে।’
কায়রো বৈঠকের পর ফাতাহ প্রতিনিধিদলের প্রধান আজম আল-আহমদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘বিবদমান দুটি পক্ষই একটি স্বাধীন সরকার গঠনে রাজি হয়েছে। এক বছরের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টারি নির্বাচন সম্পন্ন করাই হবে এই সরকারের প্রধান কাজ।’
হামাসের প্রতিনিধিদলের প্রধান মাহমুদ জহর আল-জাজিরা টেলিভিশনকে বলেছেন, উভয় পক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে সম্মত হয়েছে। দুই পক্ষের নির্বাচিত ব্যক্তিদের নিয়েই এই সরকার গঠন করা হবে।
আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ এই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে হামাস ও ফাতাহ প্রতিনিধিদলকে আবারও কায়রো যেতে হবে। চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে উভয় পক্ষ পরস্পরের রাজনৈতিক বন্দীদেরও মুক্তি দেবে।
মাহমুদ জহর বলেছেন, প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য বিরোধ নিরসনে ১২ জন বিচারকের সমন্বয়ে একটি কমিশন গঠন করা হবে।
নেতানিয়াহু বলেছেন, এ ধরনের চুক্তির ফলে হামাস পশ্চিম তীরেও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সুযোগ পাবে। তবে মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদিনা ইসরায়েলি নেতার এই মন্তব্যকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘নেতানিয়াহুর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে চাই, সমঝোতা চুক্তি ফিলিস্তিনের একান্ত নিজস্ব বিষয়।’ তিনি আরও বলেন, নেতানিয়াহুকে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিতে হলে বসতি স্থাপন বন্ধ করতে হবে। আর বসতি স্থাপনের বিষয়ে অনড় থাকতে হলে শান্তি বিসর্জন দিতে হবে।
No comments