পরমাণু পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে উ. কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক পরীক্ষাকেন্দ্রে নতুন করে সুড়ঙ্গ খননের কাজ শুরু করেছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, দেশটি আবারও পরমাণু পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। দক্ষিণ কোরীয় বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ গতকাল রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সিউলের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংস্থাটি জানায়, উত্তর কোরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ উত্তর হ্যামগিয়ংয়ের পুনগাই-রি ঘাঁটিতে অন্তত দুটি সুড়ঙ্গ খননের কাজ চলছে। একই ঘাঁটিতে উত্তর কোরিয়া ২০০৬ সালের অক্টোবরে প্রথম পরমাণু পরীক্ষা চালায়। ২০০৯ সালের মে মাসে চালায় দ্বিতীয় পরীক্ষা। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে ছয় জাতির আলোচনা থেকে পিয়ংইয়ং বেরিয়ে যাওয়ার কয়েক মাস পরই এ পরীক্ষা চালানো হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং-বাক গতকাল রোববার পিয়ংইয়ংকে তাদের মনোভাব পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, উত্তর কোরিয়া তার অবস্থান পাল্টালে দিনশেষে তাদেরই মঙ্গল হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দক্ষিণ কোরীয় ওই কর্মকর্তা ইয়োনহাপকে জানান, পিয়ংইয়ংয়ের একাধিক সুড়ঙ্গ খননের কারণ হচ্ছে, পরীক্ষা চালানোর সময় যাতে সেরাটি বেছে নেওয়া যায়। তা ছাড়া পরীক্ষা চালানোর পর ব্যবহূত সুড়ঙ্গটি দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা যায় না। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার প্লুটোনিয়াম মজুদ থেকে সংগ্রহ করা উপকরণ ব্যবহার করে এ পরীক্ষা চালানো হতে পারে।
ওয়াশিংটন ও সিউল বলছে, ওই প্লুটোনিয়াম মজুদে যে পরিমাণ উপকরণ আছে, তা দিয়ে ছয় থেকে আটটি বোমা বানানো সম্ভব। তবে উত্তর কোরিয়ার দাবি, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে তারা পরমাণু কর্মসূচি চালাচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমারা বলছে, এসব উপকরণ দিয়ে সহজেই পরমাণবিক বোমা বানানোর মতো ইউরেনিয়াম উৎপাদন করা সম্ভব।
সম্প্রতি এক স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, উত্তর কোরিয়া এমন এক ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিভাগের সংগ্রহ করা ওই চিত্রে দেখা যায়, উত্তর কোরিয়ার পশ্চিম উপকূলের টংচাং-রি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের একটি টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস সতর্ক করে বলেছেন, পাঁচ বছরের মধ্যে উত্তর কোরিয়া এমন ক্ষেপণাস্ত্রের মালিক হবে, যা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আঘাত হানতে পারবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং-বাক আরও বলেছেন, কমিউনিস্ট রাষ্ট্রটির (উত্তর কোরিয়া) মনোভাব বদলাতে চাপ প্রয়োগে এ বছরই হলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য উপযুক্ত সময়। তিনি বলেন, ‘আমি এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাই যে পিয়ংইয়ংকে চাপে ফেলতে এ বছরই হলো ভালো সুযোগ। আমি মনে করি, পিয়ংইয়ং নিজেও বিষয়টি নিয়ে জোরালোভাবে চিন্তাভাবনা করছে।’
চলতি মাসের শুরুতে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-ইলের সঙ্গে সংলাপে বসার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন লি। কিন্তু গত ৯ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের মধ্যকার আন্তসীমান্ত বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর এ সম্ভাবনা অনেকটা শেষ হয়ে গেছে। প্রথম দফার বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়াকে দায়ী করে পিয়ংইয়ং বলেছে, আর আন্তসীমান্ত বৈঠক নয়।
সিউলের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংস্থাটি জানায়, উত্তর কোরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ উত্তর হ্যামগিয়ংয়ের পুনগাই-রি ঘাঁটিতে অন্তত দুটি সুড়ঙ্গ খননের কাজ চলছে। একই ঘাঁটিতে উত্তর কোরিয়া ২০০৬ সালের অক্টোবরে প্রথম পরমাণু পরীক্ষা চালায়। ২০০৯ সালের মে মাসে চালায় দ্বিতীয় পরীক্ষা। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে ছয় জাতির আলোচনা থেকে পিয়ংইয়ং বেরিয়ে যাওয়ার কয়েক মাস পরই এ পরীক্ষা চালানো হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং-বাক গতকাল রোববার পিয়ংইয়ংকে তাদের মনোভাব পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, উত্তর কোরিয়া তার অবস্থান পাল্টালে দিনশেষে তাদেরই মঙ্গল হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দক্ষিণ কোরীয় ওই কর্মকর্তা ইয়োনহাপকে জানান, পিয়ংইয়ংয়ের একাধিক সুড়ঙ্গ খননের কারণ হচ্ছে, পরীক্ষা চালানোর সময় যাতে সেরাটি বেছে নেওয়া যায়। তা ছাড়া পরীক্ষা চালানোর পর ব্যবহূত সুড়ঙ্গটি দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা যায় না। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার প্লুটোনিয়াম মজুদ থেকে সংগ্রহ করা উপকরণ ব্যবহার করে এ পরীক্ষা চালানো হতে পারে।
ওয়াশিংটন ও সিউল বলছে, ওই প্লুটোনিয়াম মজুদে যে পরিমাণ উপকরণ আছে, তা দিয়ে ছয় থেকে আটটি বোমা বানানো সম্ভব। তবে উত্তর কোরিয়ার দাবি, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে তারা পরমাণু কর্মসূচি চালাচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমারা বলছে, এসব উপকরণ দিয়ে সহজেই পরমাণবিক বোমা বানানোর মতো ইউরেনিয়াম উৎপাদন করা সম্ভব।
সম্প্রতি এক স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, উত্তর কোরিয়া এমন এক ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিভাগের সংগ্রহ করা ওই চিত্রে দেখা যায়, উত্তর কোরিয়ার পশ্চিম উপকূলের টংচাং-রি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের একটি টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস সতর্ক করে বলেছেন, পাঁচ বছরের মধ্যে উত্তর কোরিয়া এমন ক্ষেপণাস্ত্রের মালিক হবে, যা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আঘাত হানতে পারবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং-বাক আরও বলেছেন, কমিউনিস্ট রাষ্ট্রটির (উত্তর কোরিয়া) মনোভাব বদলাতে চাপ প্রয়োগে এ বছরই হলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য উপযুক্ত সময়। তিনি বলেন, ‘আমি এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাই যে পিয়ংইয়ংকে চাপে ফেলতে এ বছরই হলো ভালো সুযোগ। আমি মনে করি, পিয়ংইয়ং নিজেও বিষয়টি নিয়ে জোরালোভাবে চিন্তাভাবনা করছে।’
চলতি মাসের শুরুতে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-ইলের সঙ্গে সংলাপে বসার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন লি। কিন্তু গত ৯ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের মধ্যকার আন্তসীমান্ত বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর এ সম্ভাবনা অনেকটা শেষ হয়ে গেছে। প্রথম দফার বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়াকে দায়ী করে পিয়ংইয়ং বলেছে, আর আন্তসীমান্ত বৈঠক নয়।
No comments