বাহরাইনে পার্ল স্কয়ার আবার বিক্ষোভকারীদের দখলে
বাহরাইন ও ইয়েমেনে সরকারবিরোধী আন্দোলন আরও জোরদার হয়েছে। বাহরাইনে আন্দোলনের মুখে সেনাবাহিনী গত শনিবার রাজধানী মানামায় অবস্থিত পার্ল স্কয়ারের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে সরে গেছে। গতকাল রোববার সেখানে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছে। অন্যদিকে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সরকার-সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি গুলিতে কমপক্ষে এক ছাত্র নিহত ও বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাহরাইনকে বিক্ষোভকারীদের প্রতি নমনীয় আচরণ করার আহ্বান জানানোর পর গত শনিবার পার্ল স্কয়ার থেকে সেনাবাহিনী সরিয়ে আনা হয়। এর পরপরই হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সেখানে জড়ো হতে থাকে। গতকাল রোববার সেখানে তারা বিক্ষোভ করলেও কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। মূলত শিয়া গোষ্ঠীর লোকজন এ আন্দোলনে নেমেছে। তারা সব রাজবন্দীর মুক্তি, প্রধানমন্ত্রী শেখ খলিফা বিন সালমানের পদত্যাগ এবং সংবিধান সংশোধন করার দাবি জানাচ্ছে। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের দাবিগুলো সরকারের কাছে পেশ করার কথা।
পার্ল স্কয়ারে বিক্ষোভরত ছাত্র তাহার গতকাল এএফপিকে বলেন, কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই তাঁরা শনিবার রাত থেকে সেখানে অবস্থান করছেন। তাঁরা আশঙ্কা করছিলেন, রাতে তাঁদের ওপর পুলিশ গত বৃহস্পতিবারের মতো গুলি চালাতে পারে।
পার্ল স্কয়ারে সোমবার থেকে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের ওপর গত বৃহস্পতিবার ভোররাত তিনটার দিকে হামলা চালায় দাঙ্গা পুলিশ। ওই হামলায় চারজন নিহত ও ২৩১ জন আহত হয়। তখন থেকে সেখানে বিক্ষোভকারীদের সমাবেশ ঠেকাতে সেনা মোতায়েন করা হয়।
শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা পার্ল স্কয়ারে যাওয়ার চেষ্টা চালালে তাদের ওপর গুলি ছোড়ে সেনাবাহিনী। এতে ৬০ জনের বেশি আহত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা শুক্রবার বাদশা হামাদকে টেলিফোন করে এর নিন্দা জানান। তিনি জনগণের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে বাহরাইন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈদেশিক নীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাস্টোনও নিরাপত্তা বাহিনীর এ হামলার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বাহরাইনে সংসদীয় রাজতন্ত্র রয়েছে। মূলত অভিজাত সুন্নিদের হাতে শাসন ক্ষমতা রয়েছে। শিয়াদের অভিযোগ, তারা সুন্নিদের নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।
এদিকে, ইয়েমেনে প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভের নবম দিনে গত শনিবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকার-সমর্থকদের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। এর আগের দিন গত শুক্রবার বিক্ষোভে সহিংসতায় পাঁচজন নিহত হয়।
শনিবার সানা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় সরকার-সমর্থক ও বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুলি ছোড়াছুড়িতে পাঁচ বিক্ষোভকারী গুলিবিদ্ধ হয়। এদের একজন মারা গেছে বলে জানা গেছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাহরাইনকে বিক্ষোভকারীদের প্রতি নমনীয় আচরণ করার আহ্বান জানানোর পর গত শনিবার পার্ল স্কয়ার থেকে সেনাবাহিনী সরিয়ে আনা হয়। এর পরপরই হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সেখানে জড়ো হতে থাকে। গতকাল রোববার সেখানে তারা বিক্ষোভ করলেও কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। মূলত শিয়া গোষ্ঠীর লোকজন এ আন্দোলনে নেমেছে। তারা সব রাজবন্দীর মুক্তি, প্রধানমন্ত্রী শেখ খলিফা বিন সালমানের পদত্যাগ এবং সংবিধান সংশোধন করার দাবি জানাচ্ছে। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের দাবিগুলো সরকারের কাছে পেশ করার কথা।
পার্ল স্কয়ারে বিক্ষোভরত ছাত্র তাহার গতকাল এএফপিকে বলেন, কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই তাঁরা শনিবার রাত থেকে সেখানে অবস্থান করছেন। তাঁরা আশঙ্কা করছিলেন, রাতে তাঁদের ওপর পুলিশ গত বৃহস্পতিবারের মতো গুলি চালাতে পারে।
পার্ল স্কয়ারে সোমবার থেকে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের ওপর গত বৃহস্পতিবার ভোররাত তিনটার দিকে হামলা চালায় দাঙ্গা পুলিশ। ওই হামলায় চারজন নিহত ও ২৩১ জন আহত হয়। তখন থেকে সেখানে বিক্ষোভকারীদের সমাবেশ ঠেকাতে সেনা মোতায়েন করা হয়।
শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা পার্ল স্কয়ারে যাওয়ার চেষ্টা চালালে তাদের ওপর গুলি ছোড়ে সেনাবাহিনী। এতে ৬০ জনের বেশি আহত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা শুক্রবার বাদশা হামাদকে টেলিফোন করে এর নিন্দা জানান। তিনি জনগণের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে বাহরাইন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈদেশিক নীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাস্টোনও নিরাপত্তা বাহিনীর এ হামলার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বাহরাইনে সংসদীয় রাজতন্ত্র রয়েছে। মূলত অভিজাত সুন্নিদের হাতে শাসন ক্ষমতা রয়েছে। শিয়াদের অভিযোগ, তারা সুন্নিদের নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।
এদিকে, ইয়েমেনে প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভের নবম দিনে গত শনিবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকার-সমর্থকদের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। এর আগের দিন গত শুক্রবার বিক্ষোভে সহিংসতায় পাঁচজন নিহত হয়।
শনিবার সানা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় সরকার-সমর্থক ও বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুলি ছোড়াছুড়িতে পাঁচ বিক্ষোভকারী গুলিবিদ্ধ হয়। এদের একজন মারা গেছে বলে জানা গেছে।
No comments