১৩ কোম্পানির লেনদেন স্থগিত করেছে এসইসি
অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ার অভিযোগে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৩ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) নির্দেশে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ গতকাল মঙ্গলবার এসব কোম্পানির শেয়ার লেনদেন বন্ধ করে দেয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে।
কোম্পানিগুলো হলো: সোনালী আঁশ, মিথুন নিটিং, তাল্লু স্পিনিং, সাফকো স্পিনিং, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, আজিজ পাইপস, বাংলাদেশ অটোকারস, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, দেশ গার্মেন্টস, ঢাকা ডায়িং, এমবি ফার্মা ও সিএমসি কামাল। এর মধ্যে সোনালী আঁশ, বাংলাদেশ অটোকারস, দেশ গার্মেন্টস ও সিএমসি কামাল চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) তালিকাভুক্ত নয়। সেই হিসেবে স্টক এক্সচেঞ্জটি অপর নয়টি কোম্পানির লেনদেন স্থগিত করেছে।
জানা গেছে, গতকাল লেনদেন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে বাড়তে শুরু করে। এতে এসব শেয়ারের বিনিয়োগকারীরা বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন। তবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লেনদেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেন।
যোগাযোগ করা হলে এসইসির সদস্য মনসুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম কয়েক দিন ধরে যেভাবে বেড়েছে, তা এসইসির কাছে কিছুটা অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। তাই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতেই কোম্পানিগুলোর লেনদেন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
মনসুর আলম বলেন, কোম্পানিগুলোর লেনদেনে কোনো ধরনের কারসাজি হয়েছে কি না, এসইসির সার্ভিল্যান্স বিভাগ তা খতিয়ে দেখছে। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের কাছে এসব কোম্পানির লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সংগৃহীত তথ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোনো ধরনের অনিয়ম বা কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারের আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লেনদেন বন্ধ হওয়া কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তাদের তালিকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারাও রয়েছেন। সিএমসি কামালের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ও অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্র জানায়, সিএমসি কামাল ১৯৯৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এরপর কয়েক বছর লভ্যাংশ দিলেও ২০০৪ সালের পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। এর মধ্যে দুই বছর বার্ষিক সাধারণ সভাও (এজিএম) করতে পারেনি কোম্পানিটি। ফলে কোম্পানিটির ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার একপর্যায়ে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় নেমে আসে। তবে বর্তমান সরকার ক্ষমতার আসার পর থেকে শেয়ারটি আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করে। এক বছর আগেও শেয়ারটি ১৩০ টাকার মধ্যেই লেনদেন হতো। তবে সদ্য সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভাংশ দিলে শেয়ারের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে। পরবর্তীকালে একটি শেয়ারের বিপরীতে দুটি রাইট শেয়ার ঘোষণা এবং অভিহিত মূল্য ১০ টাকায় পরিবর্তন করার পর শেয়ারটি আরও দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। লেনদেন স্থগিত হওয়ার আগ পর্যন্ত শেয়ারটি সর্বোচ্চ ২৯৮ টাকায় লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ গত এক বছরে এ কোম্পানির শেয়ারের দাম প্রায় ২৩ গুণ বেড়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ারের আয় অনুপাতে দাম বা পিই ২৭৮ দশমিক ৪। এর মানে হলো, কোম্পানিটি যদি বর্তমান হারে আয় করে, তাহলে সর্বশেষ দামে যে বিনিয়োগকারী শেয়ারটি কিনেছেন, তাঁর বিনিয়োগের সমপরিমাণ অর্থ আয় করতে কোম্পানিটির ২৭৮ বছরেরও বেশি সময় লাগবে।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, কোম্পানিটির অন্যতম উদ্যোক্তা সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় এসইসি কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির বিষয়টি কখনো তেমনভাবে আমলে নেয়নি। আর এ সুযোগে কিছু বিনিয়োগকারী কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারটির দাম বাড়িয়েছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে আ হ ম মোস্তফা কামাল কোম্পানির উদ্যোক্তা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, বর্তমানে বাজার যে পরিস্থিতিতে গিয়েছে, তাতে এসইসির উচিত ‘প্রাইস ব্রেকার’ চালু করা।
নাম প্রকাশ করার শর্তে অপর একজন উদ্যোক্তা বলেন, ‘আমাদের কোম্পানির শেয়ারের দাম এত হওয়া উচিত নয় এটা যেমন ঠিক, তেমনি লেনদেন বন্ধ করাটাও কোনো সমাধান নয়।
ঢাকা ডায়িংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএনপির সাবেক সাংসদ গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী। কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার ৯০ টাকার ঘরে লেনদেন হচ্ছে। এ কোম্পানিটির পিই ১৪৩ দশমিক ২৪। মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোক্তা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। এ কোম্পানিটির আয় ঋণাত্মক বলে জানিয়েছে ডিএসই। এ ছাড়া তাল্লু স্পিনিং, সাফকো স্পিনিং, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকসেরও পিই ঋণাত্মক।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে এমবি ফার্মার পিই ২১২ দশমিক ৯৪, দেশ গার্মেন্টসের ৪২০ দশমিক ৩৯, সোনালী আঁশের ৮৬ দশমিক ৫৪, বিডি অটোকারসের ১১৫ দশমিক ৪৩, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ৩৩৫ দশমিক ৭, আজিজ পাইপের ১১০ দশমিক ৬১ এবং মিথুন নিটিংয়ের পিই ১৩০ দশমিক ৭। পুঁজিবাজারের নিয়মানুযায়ী এসব কোম্পানির কোনোটিই ঋণসুবিধা পাওয়ার কথা নয়।
তবে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মিথুন নিটিং জানিয়েছে, তাদের কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে লভ্যাংশ দিয়ে আসছে এবং কোম্পানিটি ঋণের আওতায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকালের প্রথম আলোতে ‘দাম বেড়ে ২৬ কোম্পানির শেয়ার বিক্রেতাশূন্য’ শিরোনামে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এর পরই অতিমূল্যায়িত শেয়ারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে একইভাবে দাম বাড়ার পরও সিনোবাংলা, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, সাভার রিফ্যাক্টরিজ, কে অ্যান্ড কিউ, মুন্নু সিরামিকস, ইমাম বাটন, এইচ আর টেক্সটাইল, সায়হাম টেক্সটাইল, অ্যাপেক্স স্পিনিং, রহিম টেক্সটাইল, ন্যাশনাল পলিমার, মুন্নু স্টাফলার, চিটাগাং ভেজিটেবল, মুন্নু জুটেক্স, আল-হাজ্ব টেক্সটাইল ও লিবরা ইনফিউশনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) নির্দেশে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ গতকাল মঙ্গলবার এসব কোম্পানির শেয়ার লেনদেন বন্ধ করে দেয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে।
কোম্পানিগুলো হলো: সোনালী আঁশ, মিথুন নিটিং, তাল্লু স্পিনিং, সাফকো স্পিনিং, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, আজিজ পাইপস, বাংলাদেশ অটোকারস, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, দেশ গার্মেন্টস, ঢাকা ডায়িং, এমবি ফার্মা ও সিএমসি কামাল। এর মধ্যে সোনালী আঁশ, বাংলাদেশ অটোকারস, দেশ গার্মেন্টস ও সিএমসি কামাল চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) তালিকাভুক্ত নয়। সেই হিসেবে স্টক এক্সচেঞ্জটি অপর নয়টি কোম্পানির লেনদেন স্থগিত করেছে।
জানা গেছে, গতকাল লেনদেন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে বাড়তে শুরু করে। এতে এসব শেয়ারের বিনিয়োগকারীরা বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন। তবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লেনদেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেন।
যোগাযোগ করা হলে এসইসির সদস্য মনসুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম কয়েক দিন ধরে যেভাবে বেড়েছে, তা এসইসির কাছে কিছুটা অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। তাই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতেই কোম্পানিগুলোর লেনদেন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
মনসুর আলম বলেন, কোম্পানিগুলোর লেনদেনে কোনো ধরনের কারসাজি হয়েছে কি না, এসইসির সার্ভিল্যান্স বিভাগ তা খতিয়ে দেখছে। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের কাছে এসব কোম্পানির লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সংগৃহীত তথ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোনো ধরনের অনিয়ম বা কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারের আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লেনদেন বন্ধ হওয়া কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তাদের তালিকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারাও রয়েছেন। সিএমসি কামালের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ও অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্র জানায়, সিএমসি কামাল ১৯৯৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এরপর কয়েক বছর লভ্যাংশ দিলেও ২০০৪ সালের পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। এর মধ্যে দুই বছর বার্ষিক সাধারণ সভাও (এজিএম) করতে পারেনি কোম্পানিটি। ফলে কোম্পানিটির ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার একপর্যায়ে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় নেমে আসে। তবে বর্তমান সরকার ক্ষমতার আসার পর থেকে শেয়ারটি আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করে। এক বছর আগেও শেয়ারটি ১৩০ টাকার মধ্যেই লেনদেন হতো। তবে সদ্য সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভাংশ দিলে শেয়ারের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে। পরবর্তীকালে একটি শেয়ারের বিপরীতে দুটি রাইট শেয়ার ঘোষণা এবং অভিহিত মূল্য ১০ টাকায় পরিবর্তন করার পর শেয়ারটি আরও দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। লেনদেন স্থগিত হওয়ার আগ পর্যন্ত শেয়ারটি সর্বোচ্চ ২৯৮ টাকায় লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ গত এক বছরে এ কোম্পানির শেয়ারের দাম প্রায় ২৩ গুণ বেড়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ারের আয় অনুপাতে দাম বা পিই ২৭৮ দশমিক ৪। এর মানে হলো, কোম্পানিটি যদি বর্তমান হারে আয় করে, তাহলে সর্বশেষ দামে যে বিনিয়োগকারী শেয়ারটি কিনেছেন, তাঁর বিনিয়োগের সমপরিমাণ অর্থ আয় করতে কোম্পানিটির ২৭৮ বছরেরও বেশি সময় লাগবে।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, কোম্পানিটির অন্যতম উদ্যোক্তা সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় এসইসি কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির বিষয়টি কখনো তেমনভাবে আমলে নেয়নি। আর এ সুযোগে কিছু বিনিয়োগকারী কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারটির দাম বাড়িয়েছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে আ হ ম মোস্তফা কামাল কোম্পানির উদ্যোক্তা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, বর্তমানে বাজার যে পরিস্থিতিতে গিয়েছে, তাতে এসইসির উচিত ‘প্রাইস ব্রেকার’ চালু করা।
নাম প্রকাশ করার শর্তে অপর একজন উদ্যোক্তা বলেন, ‘আমাদের কোম্পানির শেয়ারের দাম এত হওয়া উচিত নয় এটা যেমন ঠিক, তেমনি লেনদেন বন্ধ করাটাও কোনো সমাধান নয়।
ঢাকা ডায়িংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএনপির সাবেক সাংসদ গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী। কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার ৯০ টাকার ঘরে লেনদেন হচ্ছে। এ কোম্পানিটির পিই ১৪৩ দশমিক ২৪। মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোক্তা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। এ কোম্পানিটির আয় ঋণাত্মক বলে জানিয়েছে ডিএসই। এ ছাড়া তাল্লু স্পিনিং, সাফকো স্পিনিং, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকসেরও পিই ঋণাত্মক।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে এমবি ফার্মার পিই ২১২ দশমিক ৯৪, দেশ গার্মেন্টসের ৪২০ দশমিক ৩৯, সোনালী আঁশের ৮৬ দশমিক ৫৪, বিডি অটোকারসের ১১৫ দশমিক ৪৩, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ৩৩৫ দশমিক ৭, আজিজ পাইপের ১১০ দশমিক ৬১ এবং মিথুন নিটিংয়ের পিই ১৩০ দশমিক ৭। পুঁজিবাজারের নিয়মানুযায়ী এসব কোম্পানির কোনোটিই ঋণসুবিধা পাওয়ার কথা নয়।
তবে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মিথুন নিটিং জানিয়েছে, তাদের কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে লভ্যাংশ দিয়ে আসছে এবং কোম্পানিটি ঋণের আওতায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকালের প্রথম আলোতে ‘দাম বেড়ে ২৬ কোম্পানির শেয়ার বিক্রেতাশূন্য’ শিরোনামে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এর পরই অতিমূল্যায়িত শেয়ারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে একইভাবে দাম বাড়ার পরও সিনোবাংলা, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, সাভার রিফ্যাক্টরিজ, কে অ্যান্ড কিউ, মুন্নু সিরামিকস, ইমাম বাটন, এইচ আর টেক্সটাইল, সায়হাম টেক্সটাইল, অ্যাপেক্স স্পিনিং, রহিম টেক্সটাইল, ন্যাশনাল পলিমার, মুন্নু স্টাফলার, চিটাগাং ভেজিটেবল, মুন্নু জুটেক্স, আল-হাজ্ব টেক্সটাইল ও লিবরা ইনফিউশনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
No comments