শনাক্তকারী রোবটে ত্রুটি আরেকটি পাঠানো হচ্ছে
নিউজিল্যান্ডের খনি দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ২৯ শ্রমিকের অবস্থান শনাক্ত করতে গতকাল মঙ্গলবার নতুন একটি রোবট খনি এলাকায় পৌঁছেছে। এর আগে দূর-নিয়ন্ত্রিত একটি রোবট দুর্ঘটনাকবলিত খনির ভেতর পাঠানো হয়। ওই রোবটে শর্টসার্কিটের ঘটনা ঘটে।
প্রকৌশলীরা ওই খনিতে বায়ু চলাচলের জন্য একটি সুড়ঙ্গ খনন প্রায় শেষ করেছেন। এদিকে স্থানীয় পুলিশ বর্তমান পরিস্থিতিকে বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেছে। খনিতে আবারও বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন প্রকৌশলীরা। উদ্ধারকাজের তেমন অগ্রগতি না হওয়ায় নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনেরা হতাশা প্রকাশ করেন।
সাউথ আইল্যান্ডের গ্রে মাউথ এলাকার পাইক রিভার কয়লা খনিতে গত শুক্রবার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ওই ২৯ শ্রমিক নিখোঁজ হন। তাঁদের মধ্যে ২৪ জন্য নিউজিল্যান্ডের, দুই জন অস্ট্রেলিয়ার, দুই জন ব্রিটেনের ও একজন দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জন কি পার্লামেন্টে বলেন, ‘নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনদের মনের অবস্থা আমরা বুঝতে পারছি। তাঁদের মতো আমরাও কিছুটা হতাশ। শ্রমিকদের অনুসন্ধানে উদ্ধারকারী দল পাঠানোর চেষ্টা চলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, শ্রমিকেরা সবাই বেঁচে আছেন। তাঁদের জন্য প্রার্থনাও করছি আমরা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, গত চার দিনে আমরা কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি।’
স্থানীয় মেয়র টনি ককসর্ন বলেন, পরিস্থিতি বোঝার জন্য প্রথম রোবটটি খনির ভেতর পাঠানো হয়। কিন্তু ওই রোবটের ওপর পানি পড়ায় শর্টসার্কিটের ঘটনা ঘটে। ফলে এটি আর কোনো কাজ করতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘এটা খুব হতাশার বিষয়। এখনো আমাদের এমন কথা শুনতে হচ্ছে।’
খনির ভেতরের অবস্থা বুঝতে একটি সুড়ঙ্গ খননের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছেন প্রকৌশলীরা। বিস্ফোরণের ফলে খনির ভেতর বিষাক্ত গ্যাস নিঃসৃত হচ্ছে। এ কারণে উদ্ধারকারী দল খনির ভেতর যেতে পারছে না। বিষাক্ত গ্যাসের মাত্রা বুঝতেই ওই সুড়ঙ্গ খনন করা হচ্ছে।
উদ্ধার তৎপরতার সমন্বয়কারী পুলিশ সুপার গ্যারি নলেস বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক। খনির ভিতরে বিষাক্ত গ্যাসের উপস্থিতির কারণে শ্রমিকদের বেঁচে থাকার আশা ধীরে ধীরে কমে আসছে। আমাদের সবাইকে বাস্তববাদী হতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সব বিকল্প হাতে রেখে পরিকল্পনা করছি। নিখোঁজ ব্যক্তিরা বেঁচে না থাকলে আমাদের করণীয় কী হবে—তা-ও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।’
নলেস জানান, খনির ভেতর রোবট পাঠানো হয়েছে। সেখানে কোনো শব্দ বা নড়াচড়া হলে ওই রোবট সংকেত পাঠাবে। এ ছাড়া খনির ভেতরের বর্তমান অবস্থার ছবিও পাঠাবে।
ভিডিওচিত্র প্রকাশ: পাইক রিভার খনি বিস্ফোরণের সময় সিসি টিভিতে ধারণ করা ভিডিওচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বিস্ফোরণের কয়েক সেকেন্ড পর খনির সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে সাদা ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। একই ভিডিওচিত্রে ওই খনির প্রধান নির্বাহী পিটার হুইটল বলেন, বিস্ফোরণস্থলের আড়াই কিলোমিটার দূর থেকে এই দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, শ্রমিকেরা সবাই বেঁচে আছেন।
প্রকৌশলীরা ওই খনিতে বায়ু চলাচলের জন্য একটি সুড়ঙ্গ খনন প্রায় শেষ করেছেন। এদিকে স্থানীয় পুলিশ বর্তমান পরিস্থিতিকে বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেছে। খনিতে আবারও বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন প্রকৌশলীরা। উদ্ধারকাজের তেমন অগ্রগতি না হওয়ায় নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনেরা হতাশা প্রকাশ করেন।
সাউথ আইল্যান্ডের গ্রে মাউথ এলাকার পাইক রিভার কয়লা খনিতে গত শুক্রবার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ওই ২৯ শ্রমিক নিখোঁজ হন। তাঁদের মধ্যে ২৪ জন্য নিউজিল্যান্ডের, দুই জন অস্ট্রেলিয়ার, দুই জন ব্রিটেনের ও একজন দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জন কি পার্লামেন্টে বলেন, ‘নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনদের মনের অবস্থা আমরা বুঝতে পারছি। তাঁদের মতো আমরাও কিছুটা হতাশ। শ্রমিকদের অনুসন্ধানে উদ্ধারকারী দল পাঠানোর চেষ্টা চলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, শ্রমিকেরা সবাই বেঁচে আছেন। তাঁদের জন্য প্রার্থনাও করছি আমরা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, গত চার দিনে আমরা কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি।’
স্থানীয় মেয়র টনি ককসর্ন বলেন, পরিস্থিতি বোঝার জন্য প্রথম রোবটটি খনির ভেতর পাঠানো হয়। কিন্তু ওই রোবটের ওপর পানি পড়ায় শর্টসার্কিটের ঘটনা ঘটে। ফলে এটি আর কোনো কাজ করতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘এটা খুব হতাশার বিষয়। এখনো আমাদের এমন কথা শুনতে হচ্ছে।’
খনির ভেতরের অবস্থা বুঝতে একটি সুড়ঙ্গ খননের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছেন প্রকৌশলীরা। বিস্ফোরণের ফলে খনির ভেতর বিষাক্ত গ্যাস নিঃসৃত হচ্ছে। এ কারণে উদ্ধারকারী দল খনির ভেতর যেতে পারছে না। বিষাক্ত গ্যাসের মাত্রা বুঝতেই ওই সুড়ঙ্গ খনন করা হচ্ছে।
উদ্ধার তৎপরতার সমন্বয়কারী পুলিশ সুপার গ্যারি নলেস বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক। খনির ভিতরে বিষাক্ত গ্যাসের উপস্থিতির কারণে শ্রমিকদের বেঁচে থাকার আশা ধীরে ধীরে কমে আসছে। আমাদের সবাইকে বাস্তববাদী হতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সব বিকল্প হাতে রেখে পরিকল্পনা করছি। নিখোঁজ ব্যক্তিরা বেঁচে না থাকলে আমাদের করণীয় কী হবে—তা-ও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।’
নলেস জানান, খনির ভেতর রোবট পাঠানো হয়েছে। সেখানে কোনো শব্দ বা নড়াচড়া হলে ওই রোবট সংকেত পাঠাবে। এ ছাড়া খনির ভেতরের বর্তমান অবস্থার ছবিও পাঠাবে।
ভিডিওচিত্র প্রকাশ: পাইক রিভার খনি বিস্ফোরণের সময় সিসি টিভিতে ধারণ করা ভিডিওচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বিস্ফোরণের কয়েক সেকেন্ড পর খনির সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে সাদা ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। একই ভিডিওচিত্রে ওই খনির প্রধান নির্বাহী পিটার হুইটল বলেন, বিস্ফোরণস্থলের আড়াই কিলোমিটার দূর থেকে এই দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, শ্রমিকেরা সবাই বেঁচে আছেন।
No comments