সাহায্য না পেলে পাকিস্তানে অনেক লোক মারা যাবে
বিপুল পরিমাণ আন্তর্জাতিক সাহায্য না এলে পাকিস্তানের আরও অনেক বন্যাদুর্গত লোক মারা যেতে পারে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা। তারা বলেছে, বন্যার কারণে পাকিস্তানে এখন মহাদুর্যোগ চলছে। এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত বড় ধরনের সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসা। জাতিসংঘ গতকাল বুধবার নতুন করে পাকিস্তানের বন্যাদুর্গত এক কোটি ৪০ লাখ লোকের জন্য সাহায্য চেয়েছে।
আকস্মিক বন্যার আশঙ্কায় সিন্ধু ও পাঞ্জাব প্রদেশের কয়েকটি এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি দেশে ভয়াবহ বন্যার সময় তাঁর ইউরোপ সফরের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তিনি বলেছেন, বন্যার সময় বিদেশে অবস্থান করলেও বন্যাদুর্গতদের কল্যাণেই তিনি কাজ করেছেন। এদিকে পাকিস্তানি তালেবান পশ্চিমা সাহায্য প্রত্যাখ্যানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
পাকিস্তানের বিগত ৮০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় ইতিমধ্যেই এক হাজার ৬০০ জনের বেশি লোক মারা গেছে। ব্রিটিশ সাহায্য সংস্থা অক্সফামসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো বলেছে, বিশ্ব সম্প্রদায় বিপুল পরিমাণ সাহায্য না নিয়ে এগিয়ে এলে পাকিস্তানে আরও অনেক বন্যাদুর্গত লোক মারা যাবে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, পাকিস্তানে যত বড় দুর্যোগ দেখা দিয়েছে তাতে সহায়তার পরিমাণটা তেমনই হওয়া উচিত। অক্সফামের পক্ষ থেকে বলা হয়, সাম্প্রতিক বিভিন প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেমন সাড়া পাওয়া গেছে, পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তেমনটা পাওয়া যাচ্ছে না। পাকিস্তানে এ পর্যন্ত দুর্গতদের মাথাপ্রতি মাত্র তিন ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। অথচ ২০০৫ সালে পাকিস্তানে যে ভূমিকম্প হয় তাতে মাথাপ্রতি সাহায্য এসেছিল ৭০ ডলার। এ বছর হাইতিতে ভূমিকস্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জনপ্রতি সাহায্য পাওয়া যায় ৪৯৫ মার্কিন ডলার।
জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ সমন্বয়ক জন হোমস বলেছেন, পাকিস্তানের বন্যাদুর্গতদের জন্য তাঁরা প্রাথমিকভাবে ৫০ কোটি ডলার সংগ্রহ করতে পারবেন বলে আশা করছেন। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি গতকাল জানিয়েছে, তারা ১৫ কোটি ডলার ব্যয়ে পাকিস্তানের ৬০ লাখ লোককে খাদ্যসহায়তা দেবে।
প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলে ত্রাণকাজে সাহায্য করতে পাকিস্তানকে দুটি সামরিক বিমান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বন্যার সময় তিনি ইউরোপ সফর করলেও আসলে তিনি বন্যাদুর্গতদের কল্যাণেই কাজ করেছেন। তাঁর সঙ্গে বৈঠকের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানকে দুই কোটি ৪০ লাখ ডলার সাহয্যের প্রতিশ্রুতি দেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও তিনি ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখেছেন।
আকস্মিক বন্যার আশঙ্কায় সিন্ধু ও পাঞ্জাব প্রদেশের কয়েকটি এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি দেশে ভয়াবহ বন্যার সময় তাঁর ইউরোপ সফরের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তিনি বলেছেন, বন্যার সময় বিদেশে অবস্থান করলেও বন্যাদুর্গতদের কল্যাণেই তিনি কাজ করেছেন। এদিকে পাকিস্তানি তালেবান পশ্চিমা সাহায্য প্রত্যাখ্যানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
পাকিস্তানের বিগত ৮০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় ইতিমধ্যেই এক হাজার ৬০০ জনের বেশি লোক মারা গেছে। ব্রিটিশ সাহায্য সংস্থা অক্সফামসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো বলেছে, বিশ্ব সম্প্রদায় বিপুল পরিমাণ সাহায্য না নিয়ে এগিয়ে এলে পাকিস্তানে আরও অনেক বন্যাদুর্গত লোক মারা যাবে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, পাকিস্তানে যত বড় দুর্যোগ দেখা দিয়েছে তাতে সহায়তার পরিমাণটা তেমনই হওয়া উচিত। অক্সফামের পক্ষ থেকে বলা হয়, সাম্প্রতিক বিভিন প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেমন সাড়া পাওয়া গেছে, পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তেমনটা পাওয়া যাচ্ছে না। পাকিস্তানে এ পর্যন্ত দুর্গতদের মাথাপ্রতি মাত্র তিন ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। অথচ ২০০৫ সালে পাকিস্তানে যে ভূমিকম্প হয় তাতে মাথাপ্রতি সাহায্য এসেছিল ৭০ ডলার। এ বছর হাইতিতে ভূমিকস্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জনপ্রতি সাহায্য পাওয়া যায় ৪৯৫ মার্কিন ডলার।
জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ সমন্বয়ক জন হোমস বলেছেন, পাকিস্তানের বন্যাদুর্গতদের জন্য তাঁরা প্রাথমিকভাবে ৫০ কোটি ডলার সংগ্রহ করতে পারবেন বলে আশা করছেন। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি গতকাল জানিয়েছে, তারা ১৫ কোটি ডলার ব্যয়ে পাকিস্তানের ৬০ লাখ লোককে খাদ্যসহায়তা দেবে।
প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলে ত্রাণকাজে সাহায্য করতে পাকিস্তানকে দুটি সামরিক বিমান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বন্যার সময় তিনি ইউরোপ সফর করলেও আসলে তিনি বন্যাদুর্গতদের কল্যাণেই কাজ করেছেন। তাঁর সঙ্গে বৈঠকের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানকে দুই কোটি ৪০ লাখ ডলার সাহয্যের প্রতিশ্রুতি দেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও তিনি ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখেছেন।
No comments