রাশিয়ায় দাবানলে তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর আশঙ্কা
রাশিয়ার দাবানল নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় অর্ধেক এলাকার আগুন নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে। বিশাল এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ধোঁয়ার দুর্ভোগ ধীরে ধীরে কমে আসছে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। তবে দাবানলের প্রচণ্ড তাপে চেরনোবিল পরমাণু দুর্ঘটনার বিষাক্ত উপাদান নতুন করে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দাবানলকবলিত এলাকার আশপাশে জারি করা সতর্কাবস্থা এখনো বহাল আছে।
রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয় (ইমার্জেন্সি মিনিস্ট্রি) বলেছে, এ পর্যন্ত সেখানে এক লাখ ৭৪ হাজার হেক্টর এলাকা আগুনে পুড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশাল এলাকার আগুন তারা নিভিয়ে ফেলেছে। তবে এখনো ৯২ হাজার ৭০০ একর এলাকায় আগুন জ্বলছে। পশ্চিম ব্রিয়ানস্ক এলাকার দাবানল মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে এলেও দাবানলের তাপপ্রবাহ চেরনোবিল পরমাণু দুর্ঘটনার বিষাক্ত উপাদানকে নতুন করে উসকে দিতে পারে। সাবেক সোভিয়েত-শাসিত ইউক্রেনের চেরনোবিল পরমাণু স্থাপনায় ১৯৮৬ সালে দুর্ঘটনা ঘটলে তেজস্ত্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় চেরনোবিলসহ পশ্চিম ব্রিয়ানস্ক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তেজস্ক্রিয় ছাইমেঘ। সে ছাই সেখানকার মাটিতে মিশে আছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আগুনের তাপে মাটিতে সুপ্ত থাকা ওই তেজস্ক্রিয় উপাদান সক্রিয় হয়ে স্থানীয়দের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে।
অর্থনীতিবিদেরা আশঙ্কা করছেন, এই দাবানল ও তাপপ্রবাহের কারণে রাশিয়ার জাতীয় আয় দেড় হাজার কোটি ডলার কমে যাবে। কর্মকর্তারা বলেন, এখনো পাঁচ শতাধিক শহর ও গ্রামে জরুরি অবস্থা বহাল রাখা হয়েছে।
জরুরি মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, আগুন নেভাতে এক লাখ ৬৫ হাজার ৭০০ কর্মী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁরা ৩৯টি হেলিকপ্টারসহ মোট সাড়ে ২৬ হাজার অগ্নিনির্বাপণের যন্ত্র ব্যবহার করছেন। তাঁদের সাহায্য করতে ৫৫০ বিদেশি বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন।
কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেন, পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁরা একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবেন।
রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয় (ইমার্জেন্সি মিনিস্ট্রি) বলেছে, এ পর্যন্ত সেখানে এক লাখ ৭৪ হাজার হেক্টর এলাকা আগুনে পুড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশাল এলাকার আগুন তারা নিভিয়ে ফেলেছে। তবে এখনো ৯২ হাজার ৭০০ একর এলাকায় আগুন জ্বলছে। পশ্চিম ব্রিয়ানস্ক এলাকার দাবানল মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে এলেও দাবানলের তাপপ্রবাহ চেরনোবিল পরমাণু দুর্ঘটনার বিষাক্ত উপাদানকে নতুন করে উসকে দিতে পারে। সাবেক সোভিয়েত-শাসিত ইউক্রেনের চেরনোবিল পরমাণু স্থাপনায় ১৯৮৬ সালে দুর্ঘটনা ঘটলে তেজস্ত্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় চেরনোবিলসহ পশ্চিম ব্রিয়ানস্ক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তেজস্ক্রিয় ছাইমেঘ। সে ছাই সেখানকার মাটিতে মিশে আছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আগুনের তাপে মাটিতে সুপ্ত থাকা ওই তেজস্ক্রিয় উপাদান সক্রিয় হয়ে স্থানীয়দের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে।
অর্থনীতিবিদেরা আশঙ্কা করছেন, এই দাবানল ও তাপপ্রবাহের কারণে রাশিয়ার জাতীয় আয় দেড় হাজার কোটি ডলার কমে যাবে। কর্মকর্তারা বলেন, এখনো পাঁচ শতাধিক শহর ও গ্রামে জরুরি অবস্থা বহাল রাখা হয়েছে।
জরুরি মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, আগুন নেভাতে এক লাখ ৬৫ হাজার ৭০০ কর্মী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁরা ৩৯টি হেলিকপ্টারসহ মোট সাড়ে ২৬ হাজার অগ্নিনির্বাপণের যন্ত্র ব্যবহার করছেন। তাঁদের সাহায্য করতে ৫৫০ বিদেশি বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন।
কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেন, পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁরা একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবেন।
No comments