ব্যাটিং কোচের প্রয়োজন নেই বাটদের
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্টসহ চলতি ইংল্যান্ড সফরে খেলা চার টেস্টে পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানই তিন অঙ্কের দেখা পাননি।
দুই টেস্টে দুই ইংলিশ ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করেছেন। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই দুই টেস্টের চার ইনিংস মিলিয়েও ১০০ রান করতে পারেনননি কোনো পাকিস্তানি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টে তিন ফিফটি করা তিন ‘ব্যাটসম্যানই’ তাঁদের ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির দেখা পেয়েছেন এখানে। এর মধ্যে উমর গুল আবার পরের দুই টেস্টে খেলতে পারছেন না।
পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের সময় কতটা খারাপ যাচ্ছে, তা বুঝতে এসব পরিসংখ্যান জানার দরকার নেই। স্রেফ মাঠে তাঁদের ব্যাট করার ধরন দেখলেই চলে। কিন্তু যে পাকিস্তান একসময় হানিফ মোহাম্মদ, জাভেদ মিয়াঁদাদ, জহির আব্বাস থেকে শুরু করে সাঈদ আনোয়ারের মতো ব্যাটসম্যান উপহার দিয়েছে, তাদের অবস্থা এত খারাপ কেন?
অনেকে কারণ হিসেবে খুঁজে পেয়েছেন তরুণদের টেকনিকের ঘাটতি। তাঁদের সুপারিশ, দলের সঙ্গে যোগ করা হোক বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ। কিন্তু এই প্রস্তাব শুনে খুবই বিরক্ত সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম।
আকরাম মনে করেন না কোনো ব্যাটিং কোচই রাতারাতি খেলোয়াড়দের টেকনিক ভালো করে ফেলতে পারবেন। সবচেয়ে বড় কথা, দলের সঙ্গে ইজাজ আহমেদের মতো সাবেক ব্যাটসম্যান আছেন। ওয়াসিমের মতে, তাঁদের আলাদা ব্যাটিং কোচ দরকারই হয় না, ‘পিসিবি যদি ব্যাটিং কোচ নিয়োগ দেয়, তো যোগ্য লোকটা কে? পত্রিকায় পড়লাম ইনজি (ইনজামাম উল হক) নাকি কাজটা করতে আগ্রহী। ঠিক আছে, ইনজি পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এবং তার অভিজ্ঞতা কাজেও দেবে। কিন্তু দলের সঙ্গে তো ইজাজ আহমেদের মতো ব্যাটসম্যানও আছেন! তারপর আর কাউকে খোঁজার দরকার কী?’
ব্যাটিং নিয়ে যে বিপাকে পাকিস্তানিরা পড়েছেন, তা থেকে উত্তরণের পথ হিসেবে দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ‘অবসরপ্রেমী’ মোহাম্মদ ইউসুফকে। এই ফেরানোটাকে সমর্থন করতে পারছেন না আকরাম। যদিও এখন ইউসুফের দিকেই চেয়ে আছেন অধিনায়ক সালমান বাট।
বাট বলছেন, অনেক দিন ক্রিকেটে না থাকা ইউসুফ মাঠে নেমেই সবকিছু বদলে দেবেন—এমন প্রত্যাশার চাপ তিনি তৈরি করছেন না কিন্তু তাঁর অভিজ্ঞতা একটা পার্থক্য তো গড়ে দেবেই, ‘ওনাকে মাঠে নামিয়ে দিয়েই রানের আশা করাটা ঠিক হবে না। তার পরও আশা করি উনি রান পাবেন। আশা করি, ওনার অভিজ্ঞতা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে এবং এও আশা করি, তরুণেরা তার কাছ থেকে কিছু শিখবে।’
আশা ছাড়া বাটের এখন আর কোনো অবলম্বনও নেই। নিজেসহ ব্যাটসম্যানরা তো যাচ্ছেতাই করছেনই। তার মধ্যে জ্বলজ্বল করতে থাকা বোলারদের বাড়া ভাতে আবার ছাই দিচ্ছেন ফিল্ডাররা। ফিল্ডারদের এমন পিচ্ছিল হাত বড় হতাশ করছে বাটকে, ‘খেলোয়াড়েরা জানে, টেস্ট জিততে ২০ উইকেট নেওয়া লাগবে। কিন্তু আমরা এক ম্যাচে যদি ১৪টা ক্যাচ ফেলি, তাহলে তো কাজটা কঠিন হয়ে যায়।
দুই টেস্টে দুই ইংলিশ ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করেছেন। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই দুই টেস্টের চার ইনিংস মিলিয়েও ১০০ রান করতে পারেনননি কোনো পাকিস্তানি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টে তিন ফিফটি করা তিন ‘ব্যাটসম্যানই’ তাঁদের ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির দেখা পেয়েছেন এখানে। এর মধ্যে উমর গুল আবার পরের দুই টেস্টে খেলতে পারছেন না।
পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের সময় কতটা খারাপ যাচ্ছে, তা বুঝতে এসব পরিসংখ্যান জানার দরকার নেই। স্রেফ মাঠে তাঁদের ব্যাট করার ধরন দেখলেই চলে। কিন্তু যে পাকিস্তান একসময় হানিফ মোহাম্মদ, জাভেদ মিয়াঁদাদ, জহির আব্বাস থেকে শুরু করে সাঈদ আনোয়ারের মতো ব্যাটসম্যান উপহার দিয়েছে, তাদের অবস্থা এত খারাপ কেন?
অনেকে কারণ হিসেবে খুঁজে পেয়েছেন তরুণদের টেকনিকের ঘাটতি। তাঁদের সুপারিশ, দলের সঙ্গে যোগ করা হোক বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ। কিন্তু এই প্রস্তাব শুনে খুবই বিরক্ত সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম।
আকরাম মনে করেন না কোনো ব্যাটিং কোচই রাতারাতি খেলোয়াড়দের টেকনিক ভালো করে ফেলতে পারবেন। সবচেয়ে বড় কথা, দলের সঙ্গে ইজাজ আহমেদের মতো সাবেক ব্যাটসম্যান আছেন। ওয়াসিমের মতে, তাঁদের আলাদা ব্যাটিং কোচ দরকারই হয় না, ‘পিসিবি যদি ব্যাটিং কোচ নিয়োগ দেয়, তো যোগ্য লোকটা কে? পত্রিকায় পড়লাম ইনজি (ইনজামাম উল হক) নাকি কাজটা করতে আগ্রহী। ঠিক আছে, ইনজি পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এবং তার অভিজ্ঞতা কাজেও দেবে। কিন্তু দলের সঙ্গে তো ইজাজ আহমেদের মতো ব্যাটসম্যানও আছেন! তারপর আর কাউকে খোঁজার দরকার কী?’
ব্যাটিং নিয়ে যে বিপাকে পাকিস্তানিরা পড়েছেন, তা থেকে উত্তরণের পথ হিসেবে দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ‘অবসরপ্রেমী’ মোহাম্মদ ইউসুফকে। এই ফেরানোটাকে সমর্থন করতে পারছেন না আকরাম। যদিও এখন ইউসুফের দিকেই চেয়ে আছেন অধিনায়ক সালমান বাট।
বাট বলছেন, অনেক দিন ক্রিকেটে না থাকা ইউসুফ মাঠে নেমেই সবকিছু বদলে দেবেন—এমন প্রত্যাশার চাপ তিনি তৈরি করছেন না কিন্তু তাঁর অভিজ্ঞতা একটা পার্থক্য তো গড়ে দেবেই, ‘ওনাকে মাঠে নামিয়ে দিয়েই রানের আশা করাটা ঠিক হবে না। তার পরও আশা করি উনি রান পাবেন। আশা করি, ওনার অভিজ্ঞতা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে এবং এও আশা করি, তরুণেরা তার কাছ থেকে কিছু শিখবে।’
আশা ছাড়া বাটের এখন আর কোনো অবলম্বনও নেই। নিজেসহ ব্যাটসম্যানরা তো যাচ্ছেতাই করছেনই। তার মধ্যে জ্বলজ্বল করতে থাকা বোলারদের বাড়া ভাতে আবার ছাই দিচ্ছেন ফিল্ডাররা। ফিল্ডারদের এমন পিচ্ছিল হাত বড় হতাশ করছে বাটকে, ‘খেলোয়াড়েরা জানে, টেস্ট জিততে ২০ উইকেট নেওয়া লাগবে। কিন্তু আমরা এক ম্যাচে যদি ১৪টা ক্যাচ ফেলি, তাহলে তো কাজটা কঠিন হয়ে যায়।
No comments