বুকাননের মুরালি-স্তুতি
বোলিং অ্যাকশন শুদ্ধ নয় বলে ‘নো’ ডেকেছেন দুজন আম্পায়ার, রানআপ শুরু করলেই ‘নো, নো’, ‘চাকার’ বলে চিৎকার করেছে দর্শক, বোলিং অ্যাকশন মিডিয়ায় চলেছে সমানে কাটাছেঁড়া—এতসব বিতর্কই নাকি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে মুত্তিয়া মুরালিধরনের জ্বলে উঠতে না পারার কারণ। কোনো শ্রীলঙ্কান নয়, একজন অস্ট্রেলিয়ান বলেছেন এ কথা। সাবেক অস্ট্রেলিয়া কোচ জন বুকানন বলেছেন, বিতর্কের কারণেই অস্ট্রেলিয়ায় মুরালির সেরাটা দেখা যায়নি।
৫ টেস্টে ১২ উইকেট, সেরা ৫৫ রানে ৩ উইকেট—মুরালির বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে একমাত্র কালির দাগ বলা যায় অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পারফরম্যান্স। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সব মিলিয়ে ১৩ টেস্টে তাঁর ৫৯ উইকেট। পারফরম্যান্স খারাপ বলা যাবে না মোটেও। তবে অন্যান্য দেশের বিপক্ষে মুরালির রেকর্ড এতটাই সমৃদ্ধ যে এটিকেও বলতে হচ্ছে ‘বাজে’ পারফরম্যান্স। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেমন ১১২ উইকেট পেয়েছেন ১৬ টেস্টে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৫ টেস্টে ১০৪ উইকেট, ভারতের বিপক্ষে ২২ টেস্টে ১০৫ উইকেট।
‘ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে আম্পায়ার আর দর্শকের আচরণে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে মুরালিকে। এ জন্যই হয়তো অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে কখনো স্বস্তিতে বোলিং করতে পারেনি মুরালি’—দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফকে বলেছেন বুকানন। বুকাননের বক্তব্যের পক্ষে সাক্ষী হতে পারে পরিসংখ্যানও। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে সুবিধা করতে না পারলেও দেশের মাটিতে কিন্তু ঠিকই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো করেছেন মুরালি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কায় ৪৭ উইকেট নিয়েছেন ৮ টেস্টে। ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল শ্রীলঙ্কা, কিন্তু মুরালি ঠিকই পেয়েছিলেন ৩ টেস্টে ২৮ উইকেট।
ক্রিকেটার মুরালি তো বটেই, বুকানন প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ‘মানুষ’ মুরালিকে, ‘খুব কম খেলোয়াড়ই এমন রূপকথার মতো বিদায় নিতে পারে। ক্যারিয়ারজুড়ে এতসব অর্জনের পর এমন বিদায় মুরালির প্রাপ্য ছিল। ক্রিকেট ওকে দারুণভাবে মিস করবে। শেন ওয়ার্নের মতো মুরালিও বর্ণময়, বিশেষ কিছু স্কিল ওর আছে, স্পিন বোলিংয়ের জাদু ও রহস্য দেখিয়েছে খেলাটার সব সংস্করণে। প্রতিপক্ষ হিসেবে ও সব সময়ই লড়াকু, কিন্তু মানুষ হিসেবে ও খুবই অমায়িক ও সুহূদ।’
ইংল্যান্ড দলের উপদেষ্টা হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে কাজ করার জন্য বুকানন এখন আছেন ইংল্যান্ডেই। দ্য ডেইলি এক্সপ্রেস জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন ও ক্রিকেটারদের ভেতরের খবর ইংল্যান্ডকে জানাবেন বুকানন। অস্ট্রেলিয়ার কোচ হিসেবে আট বছরের মেয়াদে দুটি বিশ্বকাপ জিতেছেন, অ্যাশেজ জিতেছেন তিনটি। বুকাননের কোচিংয়েই ৮৬ বছর পর ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
৫ টেস্টে ১২ উইকেট, সেরা ৫৫ রানে ৩ উইকেট—মুরালির বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে একমাত্র কালির দাগ বলা যায় অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পারফরম্যান্স। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সব মিলিয়ে ১৩ টেস্টে তাঁর ৫৯ উইকেট। পারফরম্যান্স খারাপ বলা যাবে না মোটেও। তবে অন্যান্য দেশের বিপক্ষে মুরালির রেকর্ড এতটাই সমৃদ্ধ যে এটিকেও বলতে হচ্ছে ‘বাজে’ পারফরম্যান্স। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেমন ১১২ উইকেট পেয়েছেন ১৬ টেস্টে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৫ টেস্টে ১০৪ উইকেট, ভারতের বিপক্ষে ২২ টেস্টে ১০৫ উইকেট।
‘ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে আম্পায়ার আর দর্শকের আচরণে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে মুরালিকে। এ জন্যই হয়তো অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে কখনো স্বস্তিতে বোলিং করতে পারেনি মুরালি’—দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফকে বলেছেন বুকানন। বুকাননের বক্তব্যের পক্ষে সাক্ষী হতে পারে পরিসংখ্যানও। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে সুবিধা করতে না পারলেও দেশের মাটিতে কিন্তু ঠিকই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো করেছেন মুরালি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কায় ৪৭ উইকেট নিয়েছেন ৮ টেস্টে। ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল শ্রীলঙ্কা, কিন্তু মুরালি ঠিকই পেয়েছিলেন ৩ টেস্টে ২৮ উইকেট।
ক্রিকেটার মুরালি তো বটেই, বুকানন প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ‘মানুষ’ মুরালিকে, ‘খুব কম খেলোয়াড়ই এমন রূপকথার মতো বিদায় নিতে পারে। ক্যারিয়ারজুড়ে এতসব অর্জনের পর এমন বিদায় মুরালির প্রাপ্য ছিল। ক্রিকেট ওকে দারুণভাবে মিস করবে। শেন ওয়ার্নের মতো মুরালিও বর্ণময়, বিশেষ কিছু স্কিল ওর আছে, স্পিন বোলিংয়ের জাদু ও রহস্য দেখিয়েছে খেলাটার সব সংস্করণে। প্রতিপক্ষ হিসেবে ও সব সময়ই লড়াকু, কিন্তু মানুষ হিসেবে ও খুবই অমায়িক ও সুহূদ।’
ইংল্যান্ড দলের উপদেষ্টা হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে কাজ করার জন্য বুকানন এখন আছেন ইংল্যান্ডেই। দ্য ডেইলি এক্সপ্রেস জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন ও ক্রিকেটারদের ভেতরের খবর ইংল্যান্ডকে জানাবেন বুকানন। অস্ট্রেলিয়ার কোচ হিসেবে আট বছরের মেয়াদে দুটি বিশ্বকাপ জিতেছেন, অ্যাশেজ জিতেছেন তিনটি। বুকাননের কোচিংয়েই ৮৬ বছর পর ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
No comments