বাফুফের সেই ‘১০ দিন’ তত্ত্ব
দেশের ফুটবল উন্নয়ন নিয়ে কথার ফুলঝুরি ছোটে, অনেক পরিকল্পনা নিয়ে টিভি টকশোতে হাজির হন ফুটবল কর্তারা। কিন্তু নতুন মৌসুম দরজায় কড়া নাড়লেও বাফুফের বর্ষপঞ্জিই জানা গেল না এখনো!
বাফুফের জরুরি কমিটির সভা হলো কাল। এ সভার আধঘণ্টা আগে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন নিশ্চয়তার সুরেই বলেছিলেন, ‘আজই সব ফাইনাল হয়ে যাবে। সেই প্রস্তুতি নিয়েই আমি এসেছি। ঢাকার জুনিয়র ডিভিশনগুলোকে এক লিগ করার প্রস্তাব অনেক আগেই দিয়েছিলাম, সেটির ব্যাপারে আজ প্রয়োজনে রুলিং দেব।’ কিন্তু কোথায় কী! আবার সেই একই কথা—‘১০ দিনের মধ্যে সব পরিকল্পনা জানানো হবে (বাফুফের জরুরি কমিটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে)!
এই ‘১০ দিনের মধ্যে সব জানানো হবে’ বাক্যটা বছরের শুরু থেকেই শোনা যাচ্ছে। কিন্তু সেই ১০ দিন আর ফুরোয় না। ওদিকে জুনে বাংলাদেশ লিগ শেষ হওয়ার পর জুলাই মাস গেল। এখন যাচ্ছে আগস্ট। তার পরও বাফুফে বর্ষপঞ্জির খবর নেই। ওটা যেন ‘আকাশের চাঁদ’।
এখন গোটা ফুটবল অঙ্গনেই নানা প্রশ্ন—সুপার কাপ কি হবে? বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সংস্কারকাজ চলতে থাকায় বাংলাদেশ লিগ এবার কোথায় হবে? এই লিগের দ্বিতীয় স্তর চালু করার বাস্তবতা কর্তারা আদৌ বুঝবেন? ঢাকার জুনিয়র ডিভিশনগুলোর ভবিষ্যৎ কী?
কালকের ওই জরুরি সভার পর সালাউদ্দিন বললেন, ‘১০ দিনের মধ্যে সব দিয়ে দেব। ২০ আগস্টের মধ্যে অবশ্যই সব হয়ে যাবে।’ এত দিনেও না হওয়ার কারণটা বললেন এভাবে, ‘মুখে বলে দিলেই তো হবে না। এর সঙ্গে পৃষ্ঠপোষণার ব্যাপারটা জড়িত আছে। ওটাও তো দেখতে হবে।’ সুপার কাপ হবে কি না—জানতে চাইলে বাফুফে সভাপতি হ্যাঁ-সূচক উত্তরই দিয়েছেন, ‘সব হবে। কোনোটি বাদ যাবে না। কিন্তু কখন হবে, কীভাবে হবে, এটা নিয়ে কিছুই বলতে রাজি হলেন না।’
বাফুফের জরুরি সভার আগে দাবি ওঠে দলবদল পেছানোর জন্য। ৭টি ক্লাবের প্রতিনিধির স্বাক্ষর করা একটা চিঠি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আসেন বাফুফে ভবনে। ক্লাবগুলো হলো ব্রাদার্স, আরামবাগ, রহমতগঞ্জ, ফরাশগঞ্জ, চট্টগ্রাম মোহামেডান ও চট্টগ্রাম আবাহনী। এই দলের অন্যতম নেতা ব্রাদার্সের আমের খান বললেন, ‘বাফুফে কী করতে চায়, সেটাই তো আমরা জানি না। অব্যবস্থাপনার এই লিগ শুরু করে ১০ মাসে শেষ করলে তো হবে না!’
৭ ক্লাবের ১২ দাবি—দলবদলের আগে বর্ষপঞ্জি ঘোষণা, ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা করে নভেম্বরে দলবদল শুরু করা, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে পেশাদার লিগের খেলা আয়োজন নিশ্চিত করা, দলবদল শেষে প্রস্তুতির জন্য ৬ সপ্তাহ সময় দেওয়া, বিদেশি খেলোয়াড় কোটা বৃদ্ধি এবং খেলার আগের দিন পর্যন্ত নাম নিবন্ধনের সুযোগ, জুনিয়র ডিভিশন থেকে নেওয়া খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে বাইন্ডিংস প্রথা না রাখা, ক্লাবগুলোকে দেওয়া বাফুফের আর্থিক অনুদান লিগের আগেই দিয়ে দেওয়া, ঢাকার বাইরের দলকে বাফুফের পক্ষ থেকে ঢাকায় থাকার ব্যবস্থা করা, ঢাকার বাইরে ভেন্যুর অব্যবস্থাপনা দূর করা, মাঠ খেলার উপযোগী করা, খেলোয়াড়দের আচরণবিধি ও বাইলজ বাংলায় লেখা, বর্তমান বাংলাদেশ লিগ কমিটি বিলুপ্ত করে সব ক্লাবের প্রতিনিধি নিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা।
১ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর দলবদল হওয়ার কথা। কিন্তু কোন টুর্নামেন্ট দিয়ে মৌসুম শুরু হবে, জানে না তা কেউ! এই অবস্থায় ক্লাবগুলো বিভ্রান্ত। রহমতগঞ্জের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন কালা বাফুফে ভবনে বললেন, ‘বাফুফের গোছানো কোনো ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাই দেখছি না!’ ওদিকে সালাউদ্দিনের কথা, ‘দলবদল পেছানোর প্রশ্নই আসে না। কেউ না খেললে বিদায় নেবে।’
বিশ্বকাপ শেষে যখন দেশে দেশে ঘরোয়া লিগ মাঠে নামছে, বাংলাদেশে তখন চলছে কথার খেলা আর কালক্ষেপণ!
বাফুফের জরুরি কমিটির সভা হলো কাল। এ সভার আধঘণ্টা আগে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন নিশ্চয়তার সুরেই বলেছিলেন, ‘আজই সব ফাইনাল হয়ে যাবে। সেই প্রস্তুতি নিয়েই আমি এসেছি। ঢাকার জুনিয়র ডিভিশনগুলোকে এক লিগ করার প্রস্তাব অনেক আগেই দিয়েছিলাম, সেটির ব্যাপারে আজ প্রয়োজনে রুলিং দেব।’ কিন্তু কোথায় কী! আবার সেই একই কথা—‘১০ দিনের মধ্যে সব পরিকল্পনা জানানো হবে (বাফুফের জরুরি কমিটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে)!
এই ‘১০ দিনের মধ্যে সব জানানো হবে’ বাক্যটা বছরের শুরু থেকেই শোনা যাচ্ছে। কিন্তু সেই ১০ দিন আর ফুরোয় না। ওদিকে জুনে বাংলাদেশ লিগ শেষ হওয়ার পর জুলাই মাস গেল। এখন যাচ্ছে আগস্ট। তার পরও বাফুফে বর্ষপঞ্জির খবর নেই। ওটা যেন ‘আকাশের চাঁদ’।
এখন গোটা ফুটবল অঙ্গনেই নানা প্রশ্ন—সুপার কাপ কি হবে? বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সংস্কারকাজ চলতে থাকায় বাংলাদেশ লিগ এবার কোথায় হবে? এই লিগের দ্বিতীয় স্তর চালু করার বাস্তবতা কর্তারা আদৌ বুঝবেন? ঢাকার জুনিয়র ডিভিশনগুলোর ভবিষ্যৎ কী?
কালকের ওই জরুরি সভার পর সালাউদ্দিন বললেন, ‘১০ দিনের মধ্যে সব দিয়ে দেব। ২০ আগস্টের মধ্যে অবশ্যই সব হয়ে যাবে।’ এত দিনেও না হওয়ার কারণটা বললেন এভাবে, ‘মুখে বলে দিলেই তো হবে না। এর সঙ্গে পৃষ্ঠপোষণার ব্যাপারটা জড়িত আছে। ওটাও তো দেখতে হবে।’ সুপার কাপ হবে কি না—জানতে চাইলে বাফুফে সভাপতি হ্যাঁ-সূচক উত্তরই দিয়েছেন, ‘সব হবে। কোনোটি বাদ যাবে না। কিন্তু কখন হবে, কীভাবে হবে, এটা নিয়ে কিছুই বলতে রাজি হলেন না।’
বাফুফের জরুরি সভার আগে দাবি ওঠে দলবদল পেছানোর জন্য। ৭টি ক্লাবের প্রতিনিধির স্বাক্ষর করা একটা চিঠি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আসেন বাফুফে ভবনে। ক্লাবগুলো হলো ব্রাদার্স, আরামবাগ, রহমতগঞ্জ, ফরাশগঞ্জ, চট্টগ্রাম মোহামেডান ও চট্টগ্রাম আবাহনী। এই দলের অন্যতম নেতা ব্রাদার্সের আমের খান বললেন, ‘বাফুফে কী করতে চায়, সেটাই তো আমরা জানি না। অব্যবস্থাপনার এই লিগ শুরু করে ১০ মাসে শেষ করলে তো হবে না!’
৭ ক্লাবের ১২ দাবি—দলবদলের আগে বর্ষপঞ্জি ঘোষণা, ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা করে নভেম্বরে দলবদল শুরু করা, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে পেশাদার লিগের খেলা আয়োজন নিশ্চিত করা, দলবদল শেষে প্রস্তুতির জন্য ৬ সপ্তাহ সময় দেওয়া, বিদেশি খেলোয়াড় কোটা বৃদ্ধি এবং খেলার আগের দিন পর্যন্ত নাম নিবন্ধনের সুযোগ, জুনিয়র ডিভিশন থেকে নেওয়া খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে বাইন্ডিংস প্রথা না রাখা, ক্লাবগুলোকে দেওয়া বাফুফের আর্থিক অনুদান লিগের আগেই দিয়ে দেওয়া, ঢাকার বাইরের দলকে বাফুফের পক্ষ থেকে ঢাকায় থাকার ব্যবস্থা করা, ঢাকার বাইরে ভেন্যুর অব্যবস্থাপনা দূর করা, মাঠ খেলার উপযোগী করা, খেলোয়াড়দের আচরণবিধি ও বাইলজ বাংলায় লেখা, বর্তমান বাংলাদেশ লিগ কমিটি বিলুপ্ত করে সব ক্লাবের প্রতিনিধি নিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা।
১ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর দলবদল হওয়ার কথা। কিন্তু কোন টুর্নামেন্ট দিয়ে মৌসুম শুরু হবে, জানে না তা কেউ! এই অবস্থায় ক্লাবগুলো বিভ্রান্ত। রহমতগঞ্জের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন কালা বাফুফে ভবনে বললেন, ‘বাফুফের গোছানো কোনো ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাই দেখছি না!’ ওদিকে সালাউদ্দিনের কথা, ‘দলবদল পেছানোর প্রশ্নই আসে না। কেউ না খেললে বিদায় নেবে।’
বিশ্বকাপ শেষে যখন দেশে দেশে ঘরোয়া লিগ মাঠে নামছে, বাংলাদেশে তখন চলছে কথার খেলা আর কালক্ষেপণ!
No comments