ইউসুফ-ইস্যুতে বাট যেন কূটনীতিক
১০২, ৮, ৬৩, ৯২ এবং ৪৫, ১৩, ১, ৮। কী এসব? টেস্টে সালমান বাটের গত আটটি ইনিংস। মাঝখানের ‘এবং’-কে ধরে নিতে পারেন একটা সীমানা। সীমানার ওপারের চারটি ইনিংস অধিনায়ক হওয়ার আগের। যে চার ইনিংস একটি সেঞ্চুরি, একটি ষাট এবং একটি প্রায়-সেঞ্চুরির ইনিংস ছিল তাঁর। অধিনায়ক হওয়ার পরের চারটি ইনিংসের মধ্যে সর্বোচ্চটি ৪৫ রানের। ১৬.৭৫ গড়। তবে কি পাকিস্তানের তপ্ত সিংহাসনে বসার জ্বালাটা টের পেতে শুরু করেছেন বাট?
এসব ক্ষেত্রে যা হয়, বাটও এর ব্যতিক্রম নন। ২৫ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ওপেনার জানালেন, অধিনায়কত্ব তাঁর কাছে মোটেও চাপের নয়। ‘আমি মনে করি না আমার ব্যাটিং ফর্মে কোনো প্রভাব ফেলেছে অধিনায়কত্ব। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মতোই আমি এই সিরিজেও একই রকম অনুভব করছি’—বলেছেন তিনি।
ইতিহাস তো আছেই, একই সঙ্গে পরিসংখ্যানও কিন্তু বলছে, পাকিস্তানের অধিনায়ক হওয়ার যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে পাকিস্তানের মাত্র পাঁচ ব্যাটসম্যান এক হাজার রানের ফলক পেরিয়ে গেছেন।
পাকিস্তান অধিনায়কের আরেকটি বড় সমস্যা পুরো কর্তৃত্ব না পাওয়া। অনেক সময়ই ক্রিকেট বোর্ডের স্রেফ পুতুল হয়ে যেতে হয়। বাটও এ রকম পুতুল অধিনায়ক হবেন কি না সময়ই তা বলে দেবে। তবে শুরুর দিকেই যে আলামত পাওয়া যাচ্ছে তার কোনোটাই শুভ ইঙ্গিতবাহক নয়। মোহাম্মদ ইউসুফকে দলে ফেরানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি নেওয়ার আগে বোর্ড নাকি তাঁর সঙ্গে আলোচনাই করেনি!
আকারে-ইঙ্গিতে এ নিয়ে নিজের অসন্তোষের কথাই যেন বুঝিয়ে দিলেন বাট, ‘আমি একটা জরুরি পরিস্থিতিতে দলের দায়িত্ব নিয়েছি। ইউসুফকে ডাকার সিদ্ধান্তটি আসলে পুরোপুরি নির্বাচক আর টিম ম্যানেজমেন্টের। এ নিয়ে আমার সরাসরি কোনো বক্তব্য ছিল না। তবে অধিনায়ক হিসেবে ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোয় আমি আমার মত দেব।’
তবে কি ইউসুফকে দলে স্বাগত জানাচ্ছেন না তিনি! মনে যা-ই থাক, মুখে কিন্তু অন্যরকমই বক্তব্য বাটের, ‘আমি কোনো বিতর্কে জড়াতে চাই না। বাস্তবতা হলো, ইউসুফ হোক কিংবা ইউনুস, দলে সিনিয়র ক্রিকেটার ফিরলে তারা অবশ্যই ভূমিকা রাখতে পারবে। কারণ তাদের সেই অভিজ্ঞতা আছে।’ ভিসা-জটিলতা থেকে মুক্ত হয়ে ইউসুফের আজ ইংল্যান্ডে পৌঁছে যাওয়ার কথা। আগামীকাল শুরু টেস্টেই তাঁকে নামিয়ে দিতে চায় পাকিস্তান।
সিরিজের প্রথম টেস্টে বিশাল পরাজয় দিয়ে শুরু করলেও তাঁর দল শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াবে বলেও আশাবাদী বাট, ‘মানছি, আমরা আমাদের সেরাটা খেলতে পারিনি। আমাদের সবকিছু ভালোমতো করে বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। আশা করি, এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগেই আমরা ভুলত্রুটিগুলো সামলে নিতে পারব।’ আগামীকাল শুরু দ্বিতীয় টেস্টের আগে তিনি দলকে অনুপ্রেরণা খোঁজার পরামর্শ দিলেন আগের সিরিজ থেকে, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমরা কী করেছি? লর্ডসে প্রথম টেস্টে বড় পরাজয়ের পরই তো দ্বিতীয় টেস্টে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতলাম।’
এসব ক্ষেত্রে যা হয়, বাটও এর ব্যতিক্রম নন। ২৫ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ওপেনার জানালেন, অধিনায়কত্ব তাঁর কাছে মোটেও চাপের নয়। ‘আমি মনে করি না আমার ব্যাটিং ফর্মে কোনো প্রভাব ফেলেছে অধিনায়কত্ব। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মতোই আমি এই সিরিজেও একই রকম অনুভব করছি’—বলেছেন তিনি।
ইতিহাস তো আছেই, একই সঙ্গে পরিসংখ্যানও কিন্তু বলছে, পাকিস্তানের অধিনায়ক হওয়ার যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে পাকিস্তানের মাত্র পাঁচ ব্যাটসম্যান এক হাজার রানের ফলক পেরিয়ে গেছেন।
পাকিস্তান অধিনায়কের আরেকটি বড় সমস্যা পুরো কর্তৃত্ব না পাওয়া। অনেক সময়ই ক্রিকেট বোর্ডের স্রেফ পুতুল হয়ে যেতে হয়। বাটও এ রকম পুতুল অধিনায়ক হবেন কি না সময়ই তা বলে দেবে। তবে শুরুর দিকেই যে আলামত পাওয়া যাচ্ছে তার কোনোটাই শুভ ইঙ্গিতবাহক নয়। মোহাম্মদ ইউসুফকে দলে ফেরানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি নেওয়ার আগে বোর্ড নাকি তাঁর সঙ্গে আলোচনাই করেনি!
আকারে-ইঙ্গিতে এ নিয়ে নিজের অসন্তোষের কথাই যেন বুঝিয়ে দিলেন বাট, ‘আমি একটা জরুরি পরিস্থিতিতে দলের দায়িত্ব নিয়েছি। ইউসুফকে ডাকার সিদ্ধান্তটি আসলে পুরোপুরি নির্বাচক আর টিম ম্যানেজমেন্টের। এ নিয়ে আমার সরাসরি কোনো বক্তব্য ছিল না। তবে অধিনায়ক হিসেবে ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোয় আমি আমার মত দেব।’
তবে কি ইউসুফকে দলে স্বাগত জানাচ্ছেন না তিনি! মনে যা-ই থাক, মুখে কিন্তু অন্যরকমই বক্তব্য বাটের, ‘আমি কোনো বিতর্কে জড়াতে চাই না। বাস্তবতা হলো, ইউসুফ হোক কিংবা ইউনুস, দলে সিনিয়র ক্রিকেটার ফিরলে তারা অবশ্যই ভূমিকা রাখতে পারবে। কারণ তাদের সেই অভিজ্ঞতা আছে।’ ভিসা-জটিলতা থেকে মুক্ত হয়ে ইউসুফের আজ ইংল্যান্ডে পৌঁছে যাওয়ার কথা। আগামীকাল শুরু টেস্টেই তাঁকে নামিয়ে দিতে চায় পাকিস্তান।
সিরিজের প্রথম টেস্টে বিশাল পরাজয় দিয়ে শুরু করলেও তাঁর দল শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াবে বলেও আশাবাদী বাট, ‘মানছি, আমরা আমাদের সেরাটা খেলতে পারিনি। আমাদের সবকিছু ভালোমতো করে বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। আশা করি, এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগেই আমরা ভুলত্রুটিগুলো সামলে নিতে পারব।’ আগামীকাল শুরু দ্বিতীয় টেস্টের আগে তিনি দলকে অনুপ্রেরণা খোঁজার পরামর্শ দিলেন আগের সিরিজ থেকে, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমরা কী করেছি? লর্ডসে প্রথম টেস্টে বড় পরাজয়ের পরই তো দ্বিতীয় টেস্টে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতলাম।’
No comments