অবরোধের ফলে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ আরোপের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, অবরোধের ফলে গাজার জনগণের অগ্রহণযোগ্য দুর্ভোগ হচ্ছে। গতকাল রোববার হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকার দক্ষিণের শহর খান ইউনিসে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল বলেছেন, পূর্ব জেরুজালেমে বসতি নির্মাণ প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার শান্তি আলোচনা আবার শুরু করার ব্যাপারে দুই দেশের নেতাদের উৎসাহিত করতে শনিবার দুই দিনের সফরে মধ্যপ্রাচ্যে যান জাতিসংঘ মহাসচিব।
বান কি মুন বলেন, ‘আমি আবারও ইসরায়েলের নেতাদের স্পষ্ট করে বলছি যে অবরোধ নিয়ে ইসরায়েলের নীতি টেকসই নয়, এটা ভুল। এতে গাজার জনগণকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ইসরায়েলের নীতির ফলে বৈধ বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং উৎসাহিত করা হচ্ছে পাচারকাজ। এতে উদারপন্থীদের কোনো লাভ না হলেও চরমপন্থীদের ক্ষমতায়িত করা হয়েছে।
বান কি মুন গতকাল সকালে গাজার দারিদ্র্যকবলিত এলাকা সফর শেষে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। কঠোর অবরোধ তুলে নিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
গত বছরের জানুয়ারিতে ইসরায়েলের গাজা হামলার পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো গাজা সফর করলেন জাতিসংঘের মহাসচিব। গতকাল তিনি গাজার বেশ কিছু ভয়াবহ দুর্গত এলাকায় যান। এরপর তিনি নতুন ১৫০টি বাড়ি, একটি আটার কারখানা ও একটি পয়োনিষ্কাশন পরিশোধন কারখানা প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। মহাসচিব জানান, সম্প্রতি ওই প্রকল্পগুলো অনুমোদন করেছে ইসরায়েল। এগুলো খুবই সামান্য। আরও পুনর্গঠন কাজ প্রয়োজন। বান কি মুন বলেন, ‘অনেক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি দেখেছি আমি। এটা প্রচণ্ড যন্ত্রণাদায়ক।’
গত শনিবার ইসরায়েলের দখলে থাকা পশ্চিম তীরে গিয়ে বান কি মুন বলেন, গাজায় তাঁর সফর প্রমাণ করে যে ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাঁর সমর্থন আছে।
গত শনিবার ইসরায়েলে প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজের সঙ্গে বৈঠকের সময় বান কি মুন জোর দিয়ে বলেন, অবরোধের ফলে বেসামরিক নাগরিকেরা ব্যাপক দুর্ভোগের কবলে পড়েছে।
২০০৮ সালের ডিসেম্বর থেকে পরের বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাসের লড়াইয়ের পর গাজা সীমান্ত বন্ধ হয়ে যায়। ওই যুদ্ধে প্রায় এক হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি ও ১৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়। অবরোধের ফলে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বা বিধ্বস্ত হওয়া বাড়িঘর পুনর্নির্মাণ করতে পারছে না ফিলিস্তিনিরা। এদিকে গত তিন দিন ইসরায়েলে বেশ কয়েকটি রকেট হামলা চালানো হয়। এতে থাইল্যান্ডের এক শ্রমিক নিহত হন।
যুক্তরাষ্ট্রে কূটনৈতিক মধ্যস্থতায় এ মাসের শুরুতে ইসরায়েলের সঙ্গে পরোক্ষ শান্তি আলোচনা শুরু করতে রাজি হয় ফিলিস্তিন। কিন্তু এর দুই দিন পর ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেমে এক হাজার ৬০০ বাড়ি নির্মাণের ঘোষণা দিলে আলোচনা প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।
এর আগে গত শনিবার মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার মধ্যস্থতাকারী জোট (কোয়াট্রেট) ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের প্রচেষ্টাকে ‘দৃঢ়ভাবে সমর্থন’ করে।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা আবার শুরু করতে গতকাল ইসরায়েল সফরে যান যুক্তরাষ্ট্রের দূত জর্জ মিশেল। ফিলিস্তিন সূত্র জানায়, আজ সোমবার জর্ডানে গিয়ে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করবেন মিশেল।
মিশেলের সঙ্গে বৈঠকের আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেন, পূর্ব জেরুজালেমে বসতি নির্মাণ প্রশ্নে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, বসতি নির্মাণ নিয়ে ইসরায়েল সরকারের গত ৪২ বছরের নীতি পরিবর্তন করা হবে। জেরুজালেম ও তেলআবিব নিয়ে অতীতের সরকারের নীতি বহাল থাকবে।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা আরও স্পষ্ট করে দিতে চাই যে দুই পক্ষের আলোচনায় বিতর্কিত যেকোনো বিষয় উত্থাপন করা যেতে পারে। কিন্তু আমাদের ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার মূল সমস্যা সমাধান করতে পারে শুধু প্রত্যক্ষ আলোচনা ও শান্তি সমঝোতাই। আমরা যদি একসঙ্গে বসতে পারি, তবে যৌথ সমাধানে পৌঁছাতে পারব। সত্যিকারের শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে এটাই একমাত্র উপায়।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার শান্তি আলোচনা আবার শুরু করার ব্যাপারে দুই দেশের নেতাদের উৎসাহিত করতে শনিবার দুই দিনের সফরে মধ্যপ্রাচ্যে যান জাতিসংঘ মহাসচিব।
বান কি মুন বলেন, ‘আমি আবারও ইসরায়েলের নেতাদের স্পষ্ট করে বলছি যে অবরোধ নিয়ে ইসরায়েলের নীতি টেকসই নয়, এটা ভুল। এতে গাজার জনগণকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ইসরায়েলের নীতির ফলে বৈধ বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং উৎসাহিত করা হচ্ছে পাচারকাজ। এতে উদারপন্থীদের কোনো লাভ না হলেও চরমপন্থীদের ক্ষমতায়িত করা হয়েছে।
বান কি মুন গতকাল সকালে গাজার দারিদ্র্যকবলিত এলাকা সফর শেষে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। কঠোর অবরোধ তুলে নিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
গত বছরের জানুয়ারিতে ইসরায়েলের গাজা হামলার পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো গাজা সফর করলেন জাতিসংঘের মহাসচিব। গতকাল তিনি গাজার বেশ কিছু ভয়াবহ দুর্গত এলাকায় যান। এরপর তিনি নতুন ১৫০টি বাড়ি, একটি আটার কারখানা ও একটি পয়োনিষ্কাশন পরিশোধন কারখানা প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। মহাসচিব জানান, সম্প্রতি ওই প্রকল্পগুলো অনুমোদন করেছে ইসরায়েল। এগুলো খুবই সামান্য। আরও পুনর্গঠন কাজ প্রয়োজন। বান কি মুন বলেন, ‘অনেক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি দেখেছি আমি। এটা প্রচণ্ড যন্ত্রণাদায়ক।’
গত শনিবার ইসরায়েলের দখলে থাকা পশ্চিম তীরে গিয়ে বান কি মুন বলেন, গাজায় তাঁর সফর প্রমাণ করে যে ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাঁর সমর্থন আছে।
গত শনিবার ইসরায়েলে প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজের সঙ্গে বৈঠকের সময় বান কি মুন জোর দিয়ে বলেন, অবরোধের ফলে বেসামরিক নাগরিকেরা ব্যাপক দুর্ভোগের কবলে পড়েছে।
২০০৮ সালের ডিসেম্বর থেকে পরের বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাসের লড়াইয়ের পর গাজা সীমান্ত বন্ধ হয়ে যায়। ওই যুদ্ধে প্রায় এক হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি ও ১৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়। অবরোধের ফলে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বা বিধ্বস্ত হওয়া বাড়িঘর পুনর্নির্মাণ করতে পারছে না ফিলিস্তিনিরা। এদিকে গত তিন দিন ইসরায়েলে বেশ কয়েকটি রকেট হামলা চালানো হয়। এতে থাইল্যান্ডের এক শ্রমিক নিহত হন।
যুক্তরাষ্ট্রে কূটনৈতিক মধ্যস্থতায় এ মাসের শুরুতে ইসরায়েলের সঙ্গে পরোক্ষ শান্তি আলোচনা শুরু করতে রাজি হয় ফিলিস্তিন। কিন্তু এর দুই দিন পর ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেমে এক হাজার ৬০০ বাড়ি নির্মাণের ঘোষণা দিলে আলোচনা প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।
এর আগে গত শনিবার মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার মধ্যস্থতাকারী জোট (কোয়াট্রেট) ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের প্রচেষ্টাকে ‘দৃঢ়ভাবে সমর্থন’ করে।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা আবার শুরু করতে গতকাল ইসরায়েল সফরে যান যুক্তরাষ্ট্রের দূত জর্জ মিশেল। ফিলিস্তিন সূত্র জানায়, আজ সোমবার জর্ডানে গিয়ে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করবেন মিশেল।
মিশেলের সঙ্গে বৈঠকের আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেন, পূর্ব জেরুজালেমে বসতি নির্মাণ প্রশ্নে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, বসতি নির্মাণ নিয়ে ইসরায়েল সরকারের গত ৪২ বছরের নীতি পরিবর্তন করা হবে। জেরুজালেম ও তেলআবিব নিয়ে অতীতের সরকারের নীতি বহাল থাকবে।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা আরও স্পষ্ট করে দিতে চাই যে দুই পক্ষের আলোচনায় বিতর্কিত যেকোনো বিষয় উত্থাপন করা যেতে পারে। কিন্তু আমাদের ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার মূল সমস্যা সমাধান করতে পারে শুধু প্রত্যক্ষ আলোচনা ও শান্তি সমঝোতাই। আমরা যদি একসঙ্গে বসতে পারি, তবে যৌথ সমাধানে পৌঁছাতে পারব। সত্যিকারের শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে এটাই একমাত্র উপায়।
No comments