বেশির ভাগ ব্যাংকের শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি
দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের অধিকাংশ কোম্পানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে গতকাল মঙ্গলবার বড় পতন ঘটেনি। তবে দিন শেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক কমেছে ১৯ পয়েন্ট। আগের দিন সোমবার ডিএসইর সাধারণ সূচক সাড়ে ৩ শতাংশ বা ১৩৪ পয়েন্ট বেড়েছিল।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ৫৫ পয়েন্ট কমেছে। আগের দিন সেই বাজারের সার্বিক সূচক প্রায় ৩ শতাংশ বা ৩৪৭ পয়েন্ট বেড়েছিল।
দুই বাজারে মূল্যসূচকের তথা সার্বিকভাবে তেমন দরপতন না ঘটলেও লেনদেন কমে গেছে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা গতকালের দরপতনের জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধনীর খবরটিকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁরা বলছেন, আইনের এই সংশোধনী নিয়ে বাজারে নানা বিভ্রান্তি রয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও এ নিয়ে বিভিন্ন রকম খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদন পাওয়া ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধনী নিয়ে বাজারে ব্যাপক বিভ্রান্তি রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের একটি অংশের ধারণা, এতে বাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়বে। অপর একটি অংশের ধারণা, ব্যাংকের বিনিয়োগ কমে যাবে। এর একটি প্রভাব বাজারে পড়েছে।’
বাজারের লেনদেন কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বাজারের সূচক যখনই চার হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যায়, তখন প্রান্তিক ঋণধারী (মার্জিন লোন) অনেক হিসাব ইক্যুইটি ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। এর ফলে ওই সব হিসাব লেনদেনে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। এর প্রভাবই পড়ে লেনদেনে।’
মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বগতি দিয়ে গতকাল ঢাকার বাজারে লেনদেন শুরু হয়। প্রথম ৩০ মিনিটে ডিএসইর সাধারণ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে চার হাজারের ওপরে উঠে আসে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি স্থায়ী হয়নি। দিন শেষে সূচক কমে চার হাজার পয়েন্টের মনস্তাত্ত্বিক সীমার নিচেই থেকে যায়। এদিন ডিএসইর সাধারণ সূচকের অবস্থান নেমে আসে তিন হাজার ৯৬৩ পয়েন্টে।
নতুন চালু হওয়া সূচক ডিএসইএক্স ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৮৮৫ পয়েন্টে।
কসমোপলিটন ফিন্যান্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকার বাজারে এদিন লেনদেনের শীর্ষে ছিল ব্যাংকিং খাত। এ খাতের ৩০টি কোম্পানির সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৩ কোটি টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের প্রায় ১৬ শতাংশ। এ খাতের ৩০ কোম্পানির মধ্যে ১৮টিরই দাম বেড়েছে, কমেছে আটটির আর অপরিবর্তিত ছিল চারটির দাম।
ব্যাংকিং খাতের মধ্যে মূল্যবৃদ্ধিতে শীর্ষে ছিল প্রাইম ব্যাংক। দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম প্রায় ৬ শতাংশ বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্প্রতি কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের জন্য নগদ ও বোনাস মিলিয়ে ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারের দামে।
এদিকে চলতি সপ্তাহে লেনদেন শুরু হওয়া দুটি কোম্পানিরই শেয়ারের দাম গতকাল কমে গেছে। এর মধ্যে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি গোল্ডেন হারভেস্টের প্রতিটি শেয়ারের দাম এক দিনে প্রায় ১৫ ও প্রিমিয়ার সিমেন্টের দাম প্রায় ৬ শতাংশ কমে গেছে।
দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২০৩ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৭০ কোটি টাকা কম। চট্টগ্রামের বাজারে এদিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৯ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ১৩ কোটি টাকা কম।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ৫৫ পয়েন্ট কমেছে। আগের দিন সেই বাজারের সার্বিক সূচক প্রায় ৩ শতাংশ বা ৩৪৭ পয়েন্ট বেড়েছিল।
দুই বাজারে মূল্যসূচকের তথা সার্বিকভাবে তেমন দরপতন না ঘটলেও লেনদেন কমে গেছে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা গতকালের দরপতনের জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধনীর খবরটিকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁরা বলছেন, আইনের এই সংশোধনী নিয়ে বাজারে নানা বিভ্রান্তি রয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও এ নিয়ে বিভিন্ন রকম খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদন পাওয়া ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধনী নিয়ে বাজারে ব্যাপক বিভ্রান্তি রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের একটি অংশের ধারণা, এতে বাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়বে। অপর একটি অংশের ধারণা, ব্যাংকের বিনিয়োগ কমে যাবে। এর একটি প্রভাব বাজারে পড়েছে।’
বাজারের লেনদেন কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বাজারের সূচক যখনই চার হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যায়, তখন প্রান্তিক ঋণধারী (মার্জিন লোন) অনেক হিসাব ইক্যুইটি ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। এর ফলে ওই সব হিসাব লেনদেনে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। এর প্রভাবই পড়ে লেনদেনে।’
মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বগতি দিয়ে গতকাল ঢাকার বাজারে লেনদেন শুরু হয়। প্রথম ৩০ মিনিটে ডিএসইর সাধারণ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে চার হাজারের ওপরে উঠে আসে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি স্থায়ী হয়নি। দিন শেষে সূচক কমে চার হাজার পয়েন্টের মনস্তাত্ত্বিক সীমার নিচেই থেকে যায়। এদিন ডিএসইর সাধারণ সূচকের অবস্থান নেমে আসে তিন হাজার ৯৬৩ পয়েন্টে।
নতুন চালু হওয়া সূচক ডিএসইএক্স ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৮৮৫ পয়েন্টে।
কসমোপলিটন ফিন্যান্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকার বাজারে এদিন লেনদেনের শীর্ষে ছিল ব্যাংকিং খাত। এ খাতের ৩০টি কোম্পানির সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৩ কোটি টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের প্রায় ১৬ শতাংশ। এ খাতের ৩০ কোম্পানির মধ্যে ১৮টিরই দাম বেড়েছে, কমেছে আটটির আর অপরিবর্তিত ছিল চারটির দাম।
ব্যাংকিং খাতের মধ্যে মূল্যবৃদ্ধিতে শীর্ষে ছিল প্রাইম ব্যাংক। দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম প্রায় ৬ শতাংশ বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্প্রতি কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের জন্য নগদ ও বোনাস মিলিয়ে ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারের দামে।
এদিকে চলতি সপ্তাহে লেনদেন শুরু হওয়া দুটি কোম্পানিরই শেয়ারের দাম গতকাল কমে গেছে। এর মধ্যে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি গোল্ডেন হারভেস্টের প্রতিটি শেয়ারের দাম এক দিনে প্রায় ১৫ ও প্রিমিয়ার সিমেন্টের দাম প্রায় ৬ শতাংশ কমে গেছে।
দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২০৩ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৭০ কোটি টাকা কম। চট্টগ্রামের বাজারে এদিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৯ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ১৩ কোটি টাকা কম।
No comments