ইরাকে পার্লামেন্ট নির্বাচন আজ
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে আজ রোববার সাধারণ নির্বাচন। ২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এটা হলো ইরাকের দ্বিতীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন। আগামী আগস্টে মার্কিন সেনারা ইরাক ছাড়ার মাত্র কয়েক মাস আগে এ নির্বাচন নিয়ে ইরাকের ভেতরে ও বাইরে চরম উত্কণ্ঠা বিরাজ করছে। ইরাকের শিয়া ও সুন্নি নেতারা তাঁদের নিজ নিজ অনুসারীদের নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তবে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদা ইরাকিদের ভোটদান থেকে বিরত থাকার জন্য হুমকি দিয়েছে। সংগঠনটি আজকের নির্বাচনে যে ভোট দেবে, তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে আজ ইরাকজুড়ে কারফিউ জারি করেছে আল-কায়েদা।
দেশের বাইরে অবস্থান নেওয়া ইরাকিরা গত শুক্রবার থেকেই ভোট দেওয়া শুরু করেছেন। ১৬টি দেশের ৮০টি শহরের অবস্থানকারী ১৪ লাখ ইরাকি ভোট দিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে ছয় হাজার ২০০ প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেলের মাধ্যমে তাঁরা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। জঙ্গি হামলার ভয়ে তাঁরা কোনো জনসমাবেশ বা পথসভায় অংশ নেননি।
প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ইরাকের শিয়া সম্প্রদায়ের প্রধান এ নেতা বলেছেন, ‘তিনি নির্বাচনের জয়ের ব্যাপারে ‘‘নিশ্চিত’’।’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইয়াদ আলাবির সঙ্গে নুরি মালিকির মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
ইরাকের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চরম বিভাজনের কারণে কোনো দলের পক্ষে আপাতদৃষ্টিতে নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন সম্ভব নয়। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১৬৩টি আসন পেতে কোনো দল সমর্থ না হলে সে ক্ষেত্রে জোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে।
শিয়া ও সুন্নি ধর্মীয় নেতারা গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় তাঁদের অনুসারীদের ভোট দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেন। বাকুবার আল-হাই মসজিদের সুন্নি ইমাম শেখ আবদুল রহমান আল-জোরানি বলেন, ‘আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন। এটা আমাদের দায়িত্ব।’ গত বুধবার বাকুবায় তিনটি আত্মঘাতী হামলায় ৩৩ ব্যক্তি মারা যায়। আল-জোরানি বলেন, ‘যদি আপনারা ভোট দিতে নাই চান, তাহলে অন্তত ভোটকেন্দ্রে যান। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ব্যালট পেপারটি নষ্ট করে দিন, যাতে করে অন্য কেউ ভোট কারচুপির সুযোগ না পায়।’
ইরাকের শীর্ষ শিয়া ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি হুসেইনি আল-সিস্তানির প্রতিনিধি আহমেদ আল-সাফি বলেন, ‘ইরাকিরা নিজেরাই যে তাদের ভাগ্য গড়তে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আজকের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ পবিত্র নগরী কারবালায় একটি মসজিদে বসে আল-সাফি বলেন, ‘আপনারা যদি ভোট না দেন অথবা কোনো কারণে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হয়, তাহলে এ সুযোগে একটি গোষ্ঠী তাদের অবৈধ স্বার্থ হাসিলের সুযোগ পাবে।’
আল-কায়েদার ইরাকি সংগঠন দি ইসলামিক স্টেট অব ইরাক (আইএসআই) বলেছে, আজ যারা কারফিউ লঙ্ঘন করবে, তারা ‘আল্লাহর রোষের শিকার হবে এবং মুজাহিদদের সব ধরনের অস্ত্রের মুখে পড়বে।’ শুক্রবার সংগঠনটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনের দিন ইরাকজুড়ে বিশেষ করে সুন্নি-অধ্যুষিত এলাকায় সকাল ছয়টা থেকে বিকেল ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ বলবত্ থাকবে। আমাদের জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে আপনারা যাঁরা এ খবর জানবেন, তাঁরা এটা সবাইকে জানিয়ে দিন।’
আইএসআই নেতা আবু ওমর আল-বাগদাদি গত মাসে ‘সহিংসতার মাধ্যমে’ নির্বাচন বানচালের হুমকি দিয়েছিলেন।
দেশের বাইরে অবস্থান নেওয়া ইরাকিরা গত শুক্রবার থেকেই ভোট দেওয়া শুরু করেছেন। ১৬টি দেশের ৮০টি শহরের অবস্থানকারী ১৪ লাখ ইরাকি ভোট দিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে ছয় হাজার ২০০ প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেলের মাধ্যমে তাঁরা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। জঙ্গি হামলার ভয়ে তাঁরা কোনো জনসমাবেশ বা পথসভায় অংশ নেননি।
প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ইরাকের শিয়া সম্প্রদায়ের প্রধান এ নেতা বলেছেন, ‘তিনি নির্বাচনের জয়ের ব্যাপারে ‘‘নিশ্চিত’’।’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইয়াদ আলাবির সঙ্গে নুরি মালিকির মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
ইরাকের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চরম বিভাজনের কারণে কোনো দলের পক্ষে আপাতদৃষ্টিতে নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন সম্ভব নয়। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১৬৩টি আসন পেতে কোনো দল সমর্থ না হলে সে ক্ষেত্রে জোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে।
শিয়া ও সুন্নি ধর্মীয় নেতারা গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় তাঁদের অনুসারীদের ভোট দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেন। বাকুবার আল-হাই মসজিদের সুন্নি ইমাম শেখ আবদুল রহমান আল-জোরানি বলেন, ‘আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন। এটা আমাদের দায়িত্ব।’ গত বুধবার বাকুবায় তিনটি আত্মঘাতী হামলায় ৩৩ ব্যক্তি মারা যায়। আল-জোরানি বলেন, ‘যদি আপনারা ভোট দিতে নাই চান, তাহলে অন্তত ভোটকেন্দ্রে যান। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ব্যালট পেপারটি নষ্ট করে দিন, যাতে করে অন্য কেউ ভোট কারচুপির সুযোগ না পায়।’
ইরাকের শীর্ষ শিয়া ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি হুসেইনি আল-সিস্তানির প্রতিনিধি আহমেদ আল-সাফি বলেন, ‘ইরাকিরা নিজেরাই যে তাদের ভাগ্য গড়তে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আজকের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ পবিত্র নগরী কারবালায় একটি মসজিদে বসে আল-সাফি বলেন, ‘আপনারা যদি ভোট না দেন অথবা কোনো কারণে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হয়, তাহলে এ সুযোগে একটি গোষ্ঠী তাদের অবৈধ স্বার্থ হাসিলের সুযোগ পাবে।’
আল-কায়েদার ইরাকি সংগঠন দি ইসলামিক স্টেট অব ইরাক (আইএসআই) বলেছে, আজ যারা কারফিউ লঙ্ঘন করবে, তারা ‘আল্লাহর রোষের শিকার হবে এবং মুজাহিদদের সব ধরনের অস্ত্রের মুখে পড়বে।’ শুক্রবার সংগঠনটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনের দিন ইরাকজুড়ে বিশেষ করে সুন্নি-অধ্যুষিত এলাকায় সকাল ছয়টা থেকে বিকেল ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ বলবত্ থাকবে। আমাদের জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে আপনারা যাঁরা এ খবর জানবেন, তাঁরা এটা সবাইকে জানিয়ে দিন।’
আইএসআই নেতা আবু ওমর আল-বাগদাদি গত মাসে ‘সহিংসতার মাধ্যমে’ নির্বাচন বানচালের হুমকি দিয়েছিলেন।
No comments