ক্রুইফে আচ্ছন্ন সবাই
মাত্রই এসেছেন। এরই মধ্যে বাংলাদেশ দলে এনেছেন বড় পরিবর্তন। মাঠে শতভাগের চেয়েও বেশি আদায় করছেন খেলোয়াড়দের কাছ থেকে। লোডভিক ডি ক্রুইফের মনোজগতে বাংলাদেশ দলের উন্নয়নই শেষ কথা।
ভিন্ন মানসিকতার এই ডাচ অনায়াসে খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন। কী চান, সেটি ভালোভাবে বোঝাতে পেরেছেন খেলোয়াড়দের। তাঁর ট্যাকটিকসও আলাদা। ম্যাচের কৌশল ভালো বোঝেন। অনুশীলনটা আর দশজন কোচের চেয়ে ব্যতিক্রম। কাঠমান্ডুর এই এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে এসে খেলোয়াড়দের প্রতিদিন ম্যাচ ভিডিও নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন। কাগজে এঁকে ট্যাকটিকস বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
ফল এল হাতেনাতে। ফিলিস্তিনের মতো শারীরিকভাবে অনেক এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছে মাত্র ১-০ গোলে। ম্যাচটা বাংলাদেশ না-ও হারতে পারত। নেপালের বিপক্ষে তো বাজিমাতই করেছেন ক্রুইফ।
স্থানীয় ২২-২৩ হাজার দর্শকের চাপ সামলে কোচের নির্দেশনা মেনে খেলোয়াড়েরা ২-০ জয় নিয়ে পরশু মাঠ ছেড়েছেন। এদিন দশরথের ক্ষুব্ধ এক দর্শক বাংলাদেশ ডাগআউটে তালা ছুড়ে মারেন। বাংলাদেশ দলের অতিরিক্ত খেলোয়াড় মামুন খানের মাথার পাশ দিয়ে যায় এটা। ভাগ্য ভালো, মাথায় লাগেনি, নইলে গুরুতর আহত হতে পারতেন মামুন।
এসব নিয়েই কাল দিনভর বাংলাদেশ দলে আলোচনা। একই সঙ্গে বাংলাদেশ দল তাই এখন ভুগছে তীব্র ক্রুইফ-ম্যানিয়ায়। কোচের প্রশংসা বাংলাদেশ দলের সবার মুখে। ডিফেন্ডার ওয়ালি যেমন বলছেন, ‘বাংলাদেশ দলটাকে তিনি বদলে দিয়েছেন। মাঠে কোচের নির্দেশনা অনুযায়ী খেলতে পারছি, এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।’
বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বেশ ফুরফুরে। কাল সন্ধ্যায় কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় ফেরার আগে দুপুরে দলের অনুশীলনে এসে বলে গেলেন, ‘ভালো একজন কোচ পেয়েছি আমরা। পেশাদারি কাকে বলে ক্রুইফ এর বড় উদাহরণ।’
পরশু নেপালকে হারানোর পর শেখ জামাল সভাপতি মনজুর কাদের খেলোয়াড়দের ডিনারে আমন্ত্রণ জানান। কোচ বলেছেন, ‘আমার কাজ তো শেষ হয়নি।’ কাজেই বাইরে কোথাও ডিনারে যাওয়া হয়নি বাংলাদেশ দলের।
নেপালকে হারাতে পারলে, পরদিন, মানে গতকাল কাঠমান্ডুর আশপাশে খেলোয়াড়দের ঘুরিয়ে আনার চিন্তাভাবনা করে রেখেছিলেন ম্যানেজার ইকবাল হোসেন। বাদ সেধে ‘না’ বলে দিয়েছেন কোচ।
ক্রুইফের মাথায় এখন বাংলাদেশ দল নিয়ে সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন। একজন বিদেশি পুষ্টি বিশেষজ্ঞ, ট্রেনারের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে একটা আধুনিক প্রজেক্টর চেয়েছেন। ঘরোয়া ম্যাচে ওটা প্রতিস্থাপন করলে খেলোয়াড়েরা কে কতক্ষণ দৌড়ালেন, কার পারফরম্যান্স কী, সবই প্রযুক্তির মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। খেলোয়াড়দের একটা খাদ্য তালিকা দিয়ে যাবেন। কোনো খেলোয়াড় সেটি না মানলে বাদ পড়ে যাবেন।
বাফুফে একটা প্রজেক্টর পাঠিয়েছে দলের সঙ্গে। কাঠমান্ডুতে এসে হোটেল থেকে একটি এবং ভাড়া নেওয়া হয়েছে আরও একটি। বাংলাদেশ দলে টেকনিক্যাল সরঞ্জাম আগের চেয়ে এই মুহূর্তে অনেক বেশি।
জাতীয় দল কমিটির প্রধান কাজী নাবিল আহমেদ, সদস্য তাবিথ আউয়ালরা কাঠমান্ডুতে একটা কথাই বলেছেন, কোচের চাহিদা পূরণে আরও বেশি চেষ্টা থাকবে তাঁদের।
কাল অনুশীলনে এসে মনজুর কাদের ১০ হাজার ডলার বোনাস দিয়ে যান খেলোয়াড়দের হাতে। এটা খেলোয়াড়দের ভালো খেলার পুরস্কার। সহকারী রেনে কোস্টারকে সঙ্গে নিয়ে নেপথ্যে ‘খেলছেন’ তো আসলে ক্রুইফ!
ভিন্ন মানসিকতার এই ডাচ অনায়াসে খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন। কী চান, সেটি ভালোভাবে বোঝাতে পেরেছেন খেলোয়াড়দের। তাঁর ট্যাকটিকসও আলাদা। ম্যাচের কৌশল ভালো বোঝেন। অনুশীলনটা আর দশজন কোচের চেয়ে ব্যতিক্রম। কাঠমান্ডুর এই এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে এসে খেলোয়াড়দের প্রতিদিন ম্যাচ ভিডিও নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন। কাগজে এঁকে ট্যাকটিকস বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
ফল এল হাতেনাতে। ফিলিস্তিনের মতো শারীরিকভাবে অনেক এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছে মাত্র ১-০ গোলে। ম্যাচটা বাংলাদেশ না-ও হারতে পারত। নেপালের বিপক্ষে তো বাজিমাতই করেছেন ক্রুইফ।
স্থানীয় ২২-২৩ হাজার দর্শকের চাপ সামলে কোচের নির্দেশনা মেনে খেলোয়াড়েরা ২-০ জয় নিয়ে পরশু মাঠ ছেড়েছেন। এদিন দশরথের ক্ষুব্ধ এক দর্শক বাংলাদেশ ডাগআউটে তালা ছুড়ে মারেন। বাংলাদেশ দলের অতিরিক্ত খেলোয়াড় মামুন খানের মাথার পাশ দিয়ে যায় এটা। ভাগ্য ভালো, মাথায় লাগেনি, নইলে গুরুতর আহত হতে পারতেন মামুন।
এসব নিয়েই কাল দিনভর বাংলাদেশ দলে আলোচনা। একই সঙ্গে বাংলাদেশ দল তাই এখন ভুগছে তীব্র ক্রুইফ-ম্যানিয়ায়। কোচের প্রশংসা বাংলাদেশ দলের সবার মুখে। ডিফেন্ডার ওয়ালি যেমন বলছেন, ‘বাংলাদেশ দলটাকে তিনি বদলে দিয়েছেন। মাঠে কোচের নির্দেশনা অনুযায়ী খেলতে পারছি, এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।’
বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বেশ ফুরফুরে। কাল সন্ধ্যায় কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় ফেরার আগে দুপুরে দলের অনুশীলনে এসে বলে গেলেন, ‘ভালো একজন কোচ পেয়েছি আমরা। পেশাদারি কাকে বলে ক্রুইফ এর বড় উদাহরণ।’
পরশু নেপালকে হারানোর পর শেখ জামাল সভাপতি মনজুর কাদের খেলোয়াড়দের ডিনারে আমন্ত্রণ জানান। কোচ বলেছেন, ‘আমার কাজ তো শেষ হয়নি।’ কাজেই বাইরে কোথাও ডিনারে যাওয়া হয়নি বাংলাদেশ দলের।
নেপালকে হারাতে পারলে, পরদিন, মানে গতকাল কাঠমান্ডুর আশপাশে খেলোয়াড়দের ঘুরিয়ে আনার চিন্তাভাবনা করে রেখেছিলেন ম্যানেজার ইকবাল হোসেন। বাদ সেধে ‘না’ বলে দিয়েছেন কোচ।
ক্রুইফের মাথায় এখন বাংলাদেশ দল নিয়ে সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন। একজন বিদেশি পুষ্টি বিশেষজ্ঞ, ট্রেনারের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে একটা আধুনিক প্রজেক্টর চেয়েছেন। ঘরোয়া ম্যাচে ওটা প্রতিস্থাপন করলে খেলোয়াড়েরা কে কতক্ষণ দৌড়ালেন, কার পারফরম্যান্স কী, সবই প্রযুক্তির মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। খেলোয়াড়দের একটা খাদ্য তালিকা দিয়ে যাবেন। কোনো খেলোয়াড় সেটি না মানলে বাদ পড়ে যাবেন।
বাফুফে একটা প্রজেক্টর পাঠিয়েছে দলের সঙ্গে। কাঠমান্ডুতে এসে হোটেল থেকে একটি এবং ভাড়া নেওয়া হয়েছে আরও একটি। বাংলাদেশ দলে টেকনিক্যাল সরঞ্জাম আগের চেয়ে এই মুহূর্তে অনেক বেশি।
জাতীয় দল কমিটির প্রধান কাজী নাবিল আহমেদ, সদস্য তাবিথ আউয়ালরা কাঠমান্ডুতে একটা কথাই বলেছেন, কোচের চাহিদা পূরণে আরও বেশি চেষ্টা থাকবে তাঁদের।
কাল অনুশীলনে এসে মনজুর কাদের ১০ হাজার ডলার বোনাস দিয়ে যান খেলোয়াড়দের হাতে। এটা খেলোয়াড়দের ভালো খেলার পুরস্কার। সহকারী রেনে কোস্টারকে সঙ্গে নিয়ে নেপথ্যে ‘খেলছেন’ তো আসলে ক্রুইফ!
No comments