সুড়ঙ্গপথে গাড়ি পাচারের রমরমা ব্যবসা
পশ্চিম তীরের গাজার এবড়োথেবড়ো একটি রাস্তা। শ্রীহীন ক্ষয়িষ্ণু ওই রাস্তায় দাঁড়িয়ে একটি উজ্জ্বল সবুজ রঙের ভক্সওয়াগন। গাড়িটি এসেছে মিসর থেকে। তবে কোনো স্বাভাবিক পন্থায় নয়, এসেছে সুড়ঙ্গপথ দিয়ে। অবরুদ্ধ গাজায় পণ্য আনার কাজে ব্যবহূত হয় ওই সুড়ঙ্গপথ। সম্প্রতি সুড়ঙ্গপথগুলো গাজায় গাড়ি পাচারের জন্য লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।
মিসর থেকে গাজায় পণ্য নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয় কয়েক শ সুড়ঙ্গপথ। এর মধ্যে কয়েকটি সুড়ঙ্গপথ ব্যবহূত হয় শুধু গাড়ি নেওয়ার কাজে। সুড়ঙ্গপথে গাড়ি নেওয়ার কাজ শুরু হয় কয়েক বছর আগে। সুড়ঙ্গপথ নিয়ন্ত্রণকারীরা বলছেন, গত কয়েক মাসেই ৩০ থেকে ৪০টি গাড়ি আনতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা।
২০০৭ সালে সশস্ত্র লড়াইয়ের পর গাজায় হামাসের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। সুড়ঙ্গপথ পরিচালনাকারী এক ব্যক্তি বলেন, গাড়ি আনার কাজে ব্যবহূত হয়—এ রকম অন্তত দুটি সুড়ঙ্গপথ নিয়ন্ত্রণ করে হামাস।
আবু বিল্লাল নামের একজন মোটর মিস্ত্রি বলেন, ‘একটি গাড়ি আমাদের কাছে আসে চারটি ভাগে ভাগ হয়ে। সঙ্গে থাকে মোটর। প্রথমেই আমরা যাচাই করে দেখি, সবকিছু ঠিক আছে কি না। এরপর গাড়ি সংযোজনের কাজ করা হয়।’
২০০৪ মডেলের একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি সংযোজন শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আবু বিল্লাল ও তাঁর সহকর্মীরা। তিনি জানান, একটি গাড়ি সংযোজন করতে তাঁদের দুই সপ্তাহ লাগে। গাড়ির ক্রেতারাই রং পছন্দ করেন। আবু বিল্লাল বলেন, জ্বালানি পাচারের চেয়ে গাড়ি পাচার অনেক বেশি কঠিন। তবে গাড়ি পাচারের ব্যবসা অনেক লাভজনক।
আবু সায়িদ নামের অন্য এক পাচারকারী বলেন, মিসর থেকে ছয় থেকে ১০ হাজার ডলারে একটি গাড়ি কেনা হয়। প্রায় দ্বিগুণ দামে গাড়িগুলো গাজায় বিক্রি হয়, তবে এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা।
অন্য এক পাচারকারী জানান, গত সপ্তাহে এ রকম একটি সুড়ঙ্গপথে আঘাত হেনেছিল ইসরায়েলি জঙ্গি বিমান। ওই হামলার পর সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য গাড়ি আনার কাজ বন্ধ রাখা হয়।
গাজা থেকে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সময় রকেট হামলা হয়। এর জবাবে এসব সুড়ঙ্গপথে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি সুড়ঙ্গপথগুলো দিয়ে অস্ত্রও নেওয়া হয় বলে অভিযোগ তাঁদের।
হামাস সরকারের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আদনান আবু ওতাহ বলেন, লড়াইয়ের কারণে কয়েক শ গাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। খুচর যন্ত্রাংশের অভাবে অনেক গাড়ি রাস্তায় নামানো যাচ্ছে না।
হামাস সরকার বলেছে, গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত সুড়ঙ্গপথগুলো বৈধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
মিসর থেকে গাজায় পণ্য নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয় কয়েক শ সুড়ঙ্গপথ। এর মধ্যে কয়েকটি সুড়ঙ্গপথ ব্যবহূত হয় শুধু গাড়ি নেওয়ার কাজে। সুড়ঙ্গপথে গাড়ি নেওয়ার কাজ শুরু হয় কয়েক বছর আগে। সুড়ঙ্গপথ নিয়ন্ত্রণকারীরা বলছেন, গত কয়েক মাসেই ৩০ থেকে ৪০টি গাড়ি আনতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা।
২০০৭ সালে সশস্ত্র লড়াইয়ের পর গাজায় হামাসের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। সুড়ঙ্গপথ পরিচালনাকারী এক ব্যক্তি বলেন, গাড়ি আনার কাজে ব্যবহূত হয়—এ রকম অন্তত দুটি সুড়ঙ্গপথ নিয়ন্ত্রণ করে হামাস।
আবু বিল্লাল নামের একজন মোটর মিস্ত্রি বলেন, ‘একটি গাড়ি আমাদের কাছে আসে চারটি ভাগে ভাগ হয়ে। সঙ্গে থাকে মোটর। প্রথমেই আমরা যাচাই করে দেখি, সবকিছু ঠিক আছে কি না। এরপর গাড়ি সংযোজনের কাজ করা হয়।’
২০০৪ মডেলের একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি সংযোজন শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আবু বিল্লাল ও তাঁর সহকর্মীরা। তিনি জানান, একটি গাড়ি সংযোজন করতে তাঁদের দুই সপ্তাহ লাগে। গাড়ির ক্রেতারাই রং পছন্দ করেন। আবু বিল্লাল বলেন, জ্বালানি পাচারের চেয়ে গাড়ি পাচার অনেক বেশি কঠিন। তবে গাড়ি পাচারের ব্যবসা অনেক লাভজনক।
আবু সায়িদ নামের অন্য এক পাচারকারী বলেন, মিসর থেকে ছয় থেকে ১০ হাজার ডলারে একটি গাড়ি কেনা হয়। প্রায় দ্বিগুণ দামে গাড়িগুলো গাজায় বিক্রি হয়, তবে এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা।
অন্য এক পাচারকারী জানান, গত সপ্তাহে এ রকম একটি সুড়ঙ্গপথে আঘাত হেনেছিল ইসরায়েলি জঙ্গি বিমান। ওই হামলার পর সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য গাড়ি আনার কাজ বন্ধ রাখা হয়।
গাজা থেকে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সময় রকেট হামলা হয়। এর জবাবে এসব সুড়ঙ্গপথে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি সুড়ঙ্গপথগুলো দিয়ে অস্ত্রও নেওয়া হয় বলে অভিযোগ তাঁদের।
হামাস সরকারের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আদনান আবু ওতাহ বলেন, লড়াইয়ের কারণে কয়েক শ গাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। খুচর যন্ত্রাংশের অভাবে অনেক গাড়ি রাস্তায় নামানো যাচ্ছে না।
হামাস সরকার বলেছে, গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত সুড়ঙ্গপথগুলো বৈধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
No comments