ফেডারেশন কাপ আবার মাঠে
নজরুল-রজনীদের নিয়ে আবাহনীর ট্রেনার ডিয়েগো আলভারোর অনুশীলনেও যেন ঈদ-পূজার আমেজ। দুই সপ্তাহের ছুটি কাটিয়ে আজ আবার মাঠে ফিরছে ফেডারেশন কাপ |
ঈদ-পূজার ছুটি শেষ। ঢাকার ক্লাবপাড়াও ফিরে পেয়েছে পুরোনো মেজাজ। সিটিসেল ফেডারেশন কাপ ফুটবলের প্রস্তুতির জন্য জোর অনুশীলন চলছে সব ক্লাবেই। গত ১০ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ফেডারেশন কাপ এরই মধ্যে দেখে ফেলেছে ১০টি ম্যাচ। দুটি ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে মোহামেডানের। প্রথমটায় ফেনী সকার ক্লাবের বিপক্ষে তারা জিতেছিল ৪-০ গোলে। পরেরটিতে আরও বড় জয়—তারুণ্যনির্ভর ব্রাদার্সকে হারিয়েছিল ৭-১ গোলে। দুই জয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। অন্য বড় দল আবাহনী খেলেছে একটাই ম্যাচ। প্রাণতোষের একমাত্র গোলে বাংলাদেশ পুলিশকে হারায় তারা।
দুই সপ্তাহ পর আজ আবারও মাঠে গড়াচ্ছে ঘরোয়া ফুটবল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বিকেল ৩টায় শুরু হবে আরামবাগ-শুকতারা যুব সংসদের ম্যাচ। বিকেল ৫টায় একই মাঠে চট্টগ্রাম মোহামেডানের প্রতিপক্ষ রহমতগঞ্জ। ঈদের পর অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলগুলোর ম্যাচ দিয়ে ফেডারেশন কাপ শুরু হলেও পাদপ্রদীপের আলোতে রয়েছে আবাহনী-মোহামেডানই। আগামী ১ অক্টোবর আবাহনী নামবে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে। পরদিন মোহামেডান-বিকেএসপির ম্যাচ।
এমিলি, এমেকা, মামুনের মতো তারকা খেলোয়াড় হারিয়ে প্রথম ম্যাচে একটু দিশেহারাই দেখাচ্ছিল আবাহনীকে। বিদেশি খেলোয়াড় সামাদ ইউসুফ, ইব্রাহিম আইডু ও ফুয়াদ আলীর ওপরও খুব বেশি ভরসা করতে পারছে না তারা। কাল তাই আরও দুজনকে উড়িয়ে আনা হয়েছে ঘানা থেকে। স্ট্রাইকার শেরিফ মোহাম্মদ ও মিডফিল্ডার আওয়াল মোহাম্মদের কাগজপত্র এসে গিয়েছিল আগেই, কাল তাঁরা আকাশি-নীল শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তবে পরের ম্যাচে তাঁদের খেলা এখনো নিশ্চিত নয়। আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিত্ দাস রুপু জানালেন, ‘আগে আমরা ওদের অনুশীলনে দেখি। যাচাই-বাছাই করি। তারপর মাঠে নামাব।’ এমিলি-এমেকা-মামুনদের অনুপস্থিতিতে দলে কোনো প্রভাবই পড়ছে না বলে দাবি করলেন তিনি, ‘একজন যাবে একজন আসবে এটাই তো নিয়ম। তাতে শক্তিতে এতটুকু ঘাটতি হবে বলে মনে করি না।’ বি-লিগ মাথায় রেখেই আবাহনী মূলত তাদের বিদেশি খেলোয়াড় আনিয়েছে। ফেডারেশন কাপকে এসব খেলোয়াড় ঝালাইয়ের উপযুক্ত জায়গা বলে মনে করছেন রুপু।
বড় দুই জয়ের পর মোহামেডান এখন আরও আত্মবিশ্বাসী। কোচ মারুফুল হকের দৃষ্টি ফেডারেশন কাপ ছাড়িয়ে বি-লিগে, ‘দলে এখন পর্যন্ত কোনো ইনজুরি নেই। অনুশীলনও চলছে জোরেশোরেই। আপাতত আমাদের লক্ষ্য ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। দলবদলের আগে যেহেতু প্রস্তুতির জন্য কম সময় পেয়েছি, এখন তাই একসঙ্গে দুটি কাজই সেরে ফেলতে চাই। ফেডারেশন কাপের প্রস্তুতি এবং ম্যাচে খেলোয়াড়দের মান দেখে সেই অনুযায়ী বি-লিগের দল গড়ব আমরা।’ মোহামেডানের পরের প্রতিপক্ষ বিকেএসপি। এর আগে বিকেএসপি ০-৭ গোলে সকার ক্লাবের কাছে হেরেছিল। এই দলটাকে তবু অবহেলা করছেন না মারুফ, ‘তারাও ফেডারেশন কাপে খেলছে। তাদের অবহেলার চোখে দেখার কোনো সুযোগ নেই।’
গতবারের সেমিফাইনালিস্ট চট্টগ্রাম মোহামেডান এবারও শেষ চারে দেখতে চায় নিজেদের। তবে দলের ম্যানেজার মোহাম্মদ ইউসুফ হতাশ নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে, ‘নারায়ণগঞ্জ শুকতারার বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতলেও দলের পারফরম্যান্সে খুব বেশি খুশি নই আমি। তারেক, শুভ্র আর মনুকে হারিয়ে আমরা এমনিতেই একটু বেকায়দায় পড়েছি। এরপর নতুন তিন খেলোয়াড় প্রদীপ, ধীমান ও চামদিন রাখাইনকে পেয়েও হারালাম। ওরা চুক্তি করেও শেষ পর্যন্ত অন্য ক্লাবে খেলছে। ব্যাপারটা বাফুফের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটিকে জানিয়েছি। ওদের রায়ে আমি সন্তুষ্ট না। ভাবছি একটা উকিল নোটিশ পাঠাব, কেন বাফুফে আমাদের সঙ্গে এমন বিমাতাসুলভ আচরণ করল।’ মোহামেডানের কাছে সাত গোলের লজ্জাজনক হারে বিব্রত ব্রাদার্স ম্যানেজার আমের খান, ‘আমাদের বড় মাপের খেলোয়াড় নেই। তাই বিদেশিদের ওপরই ভরসা রাখছি। যে ছেলেরা খেলছে ওরা এখনো পুরো পরিণত হয়নি। তা ছাড়া দলের ভেতরে টিম ওয়ার্কও গড়ে ওঠেনি। তার পরও পরের ম্যাচগুলো লড়াই করার চেষ্টা করব।’
এ পর্যন্ত হওয়া ফেডারেশন কাপের দশ ম্যাচে মোট গোল হয়েছে ৪১টি। হ্যাটট্রিক করেছেন মোহামেডানের এমেকা, ফেনী সকারের আনোয়ার ও মোনায়েম। একটা মাত্র ম্যাচে আবাহনী নিজেদের ভালোভাবে মেলে ধরতে না পারলেও গোল পাচ্ছে মোহামেডান। তবে বড় দল হিসেবে দর্শক-সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণের পরীক্ষার অনেকটাই এখনো বাকি তাদের।
দুই সপ্তাহ পর আজ আবারও মাঠে গড়াচ্ছে ঘরোয়া ফুটবল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বিকেল ৩টায় শুরু হবে আরামবাগ-শুকতারা যুব সংসদের ম্যাচ। বিকেল ৫টায় একই মাঠে চট্টগ্রাম মোহামেডানের প্রতিপক্ষ রহমতগঞ্জ। ঈদের পর অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলগুলোর ম্যাচ দিয়ে ফেডারেশন কাপ শুরু হলেও পাদপ্রদীপের আলোতে রয়েছে আবাহনী-মোহামেডানই। আগামী ১ অক্টোবর আবাহনী নামবে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে। পরদিন মোহামেডান-বিকেএসপির ম্যাচ।
এমিলি, এমেকা, মামুনের মতো তারকা খেলোয়াড় হারিয়ে প্রথম ম্যাচে একটু দিশেহারাই দেখাচ্ছিল আবাহনীকে। বিদেশি খেলোয়াড় সামাদ ইউসুফ, ইব্রাহিম আইডু ও ফুয়াদ আলীর ওপরও খুব বেশি ভরসা করতে পারছে না তারা। কাল তাই আরও দুজনকে উড়িয়ে আনা হয়েছে ঘানা থেকে। স্ট্রাইকার শেরিফ মোহাম্মদ ও মিডফিল্ডার আওয়াল মোহাম্মদের কাগজপত্র এসে গিয়েছিল আগেই, কাল তাঁরা আকাশি-নীল শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তবে পরের ম্যাচে তাঁদের খেলা এখনো নিশ্চিত নয়। আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিত্ দাস রুপু জানালেন, ‘আগে আমরা ওদের অনুশীলনে দেখি। যাচাই-বাছাই করি। তারপর মাঠে নামাব।’ এমিলি-এমেকা-মামুনদের অনুপস্থিতিতে দলে কোনো প্রভাবই পড়ছে না বলে দাবি করলেন তিনি, ‘একজন যাবে একজন আসবে এটাই তো নিয়ম। তাতে শক্তিতে এতটুকু ঘাটতি হবে বলে মনে করি না।’ বি-লিগ মাথায় রেখেই আবাহনী মূলত তাদের বিদেশি খেলোয়াড় আনিয়েছে। ফেডারেশন কাপকে এসব খেলোয়াড় ঝালাইয়ের উপযুক্ত জায়গা বলে মনে করছেন রুপু।
বড় দুই জয়ের পর মোহামেডান এখন আরও আত্মবিশ্বাসী। কোচ মারুফুল হকের দৃষ্টি ফেডারেশন কাপ ছাড়িয়ে বি-লিগে, ‘দলে এখন পর্যন্ত কোনো ইনজুরি নেই। অনুশীলনও চলছে জোরেশোরেই। আপাতত আমাদের লক্ষ্য ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। দলবদলের আগে যেহেতু প্রস্তুতির জন্য কম সময় পেয়েছি, এখন তাই একসঙ্গে দুটি কাজই সেরে ফেলতে চাই। ফেডারেশন কাপের প্রস্তুতি এবং ম্যাচে খেলোয়াড়দের মান দেখে সেই অনুযায়ী বি-লিগের দল গড়ব আমরা।’ মোহামেডানের পরের প্রতিপক্ষ বিকেএসপি। এর আগে বিকেএসপি ০-৭ গোলে সকার ক্লাবের কাছে হেরেছিল। এই দলটাকে তবু অবহেলা করছেন না মারুফ, ‘তারাও ফেডারেশন কাপে খেলছে। তাদের অবহেলার চোখে দেখার কোনো সুযোগ নেই।’
গতবারের সেমিফাইনালিস্ট চট্টগ্রাম মোহামেডান এবারও শেষ চারে দেখতে চায় নিজেদের। তবে দলের ম্যানেজার মোহাম্মদ ইউসুফ হতাশ নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে, ‘নারায়ণগঞ্জ শুকতারার বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতলেও দলের পারফরম্যান্সে খুব বেশি খুশি নই আমি। তারেক, শুভ্র আর মনুকে হারিয়ে আমরা এমনিতেই একটু বেকায়দায় পড়েছি। এরপর নতুন তিন খেলোয়াড় প্রদীপ, ধীমান ও চামদিন রাখাইনকে পেয়েও হারালাম। ওরা চুক্তি করেও শেষ পর্যন্ত অন্য ক্লাবে খেলছে। ব্যাপারটা বাফুফের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটিকে জানিয়েছি। ওদের রায়ে আমি সন্তুষ্ট না। ভাবছি একটা উকিল নোটিশ পাঠাব, কেন বাফুফে আমাদের সঙ্গে এমন বিমাতাসুলভ আচরণ করল।’ মোহামেডানের কাছে সাত গোলের লজ্জাজনক হারে বিব্রত ব্রাদার্স ম্যানেজার আমের খান, ‘আমাদের বড় মাপের খেলোয়াড় নেই। তাই বিদেশিদের ওপরই ভরসা রাখছি। যে ছেলেরা খেলছে ওরা এখনো পুরো পরিণত হয়নি। তা ছাড়া দলের ভেতরে টিম ওয়ার্কও গড়ে ওঠেনি। তার পরও পরের ম্যাচগুলো লড়াই করার চেষ্টা করব।’
এ পর্যন্ত হওয়া ফেডারেশন কাপের দশ ম্যাচে মোট গোল হয়েছে ৪১টি। হ্যাটট্রিক করেছেন মোহামেডানের এমেকা, ফেনী সকারের আনোয়ার ও মোনায়েম। একটা মাত্র ম্যাচে আবাহনী নিজেদের ভালোভাবে মেলে ধরতে না পারলেও গোল পাচ্ছে মোহামেডান। তবে বড় দল হিসেবে দর্শক-সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণের পরীক্ষার অনেকটাই এখনো বাকি তাদের।
No comments