ধর্ষিতাকে আশ্রয় দিয়ে ধর্ষণ
ধর্ষিতা
এক তরুণীকে সাহায্য করার কথা বলে সহকর্মীর বাসায় নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ
উঠেছে পুলিশ কনস্টেবল বাদল হোসেনের বিরুদ্ধে। তিনি ডিএমপির প্রটেকশন শাখায়
কাজ করেন। ওই তরুণী ওই দিনই অর্ক ঘোষ জয় নামের এক যুবকের ধর্ষণের শিকার হন।
ঘটনার শিকার এ তরুণীর পরিবার ধর্ষণের অভিযোগ এনে বাদল হোসেন, জয় ঘোষ অর্ক ও
তার সহযোগী জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছেন ঢাকার যাত্রাবাড়ী
ও শাহবাগ থানায়। পুলিশ অভিযুক্ত এই তিন জনকেই গ্রেপ্তার করেছে। ধর্ষিতা ওই
তরুণী জানিয়েছেন, সৌদি প্রবাসী জয় ঘোষের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় তার।
দীর্ঘদিন মেসেঞ্জারে কথা বলাতে তাদের মধ্যে বেশ সখ্যতা গড়ে উঠে। এ সম্পর্ক
রূপ নেয় ভালবাসায়।
কিছু দিন পর জয়ের বিভিন্ন খারাপ আচরণে তার কাছ থেকে দুরে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। আর এতেই তার প্রতি ক্ষিপ্ত হন জয়।
মারামারির ঘটনায় জরিমানা দিয়ে সে সৌদি থেকে দেশে ফিরে কৌশলে তার সঙ্গে দেখা করে। প্রথম দেখাতেই জয় ছিনিয়ে নিয়ে যায় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি। তারপর সে চলে যায় কলকাতায়। তিন মাস পরে সেখান থেকে এসে ভয়ভীতি দেখিয়ে আবার তাকে দেখা করতে বাধ্য করে। ওই দেখাতেই জয় তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে কৌশলে ভিডিও করে। পরে ওই ভিডিও দেখিয়ে জয় তাকে ব্ল্যাকমেইলিং করতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ফকিরাপুলের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। ধর্ষক জয়ের হাত থেকে বাঁচার জন্য নিজের ফোন নম্বরটি বন্ধ করে দেন ওই তরুণী। পরে কৌশলে আবারও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অর্ক। এক পর্যায়ে তার ফোন কেড়ে নিয়ে ছেড়ে দেয়। গুলিস্তান এলাকায় ফেলে যাওয়ার সময় ওই পুলিশ কনস্টেবল নিজে থেকেই তাকে সাহায্যের প্রস্তাব দেন। এক পর্যায়ে দুই সহকর্মীর বাসায় নিয়ে গিয়ে রাতভর ধর্ষণ করেন।
ধষর্ণের অভিযোগে থানায় করা মামলার এজাহারে তরুণীর বাবা উল্লেখ করেছেন, আমার মেয়েকে জয় মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সড়কের বঙ্গবন্ধু সমাজ কল্যাণ পরিষদের ভবনের পেছনের সিঁড়ির গোড়ায় টিনশেড রুমে দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের এই দৃশ্য সে আমার মেয়ের মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরে সেই মোবাইল তাকে ফেরত না দিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরাতে থাকে। এক পর্যায়ে মোবাইল ফোন ফেরত দেয়ার কথা বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাদে নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা বলতে থাকে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে জয় আমার মেয়েকে রিকশা করে গুলিস্তান মাজারের পশ্চিম পাশে একা রেখে যায়। ওই সময় পুলিশ কনস্টেবল বাদল হোসেন এসে আমার মেয়েকে জিজ্ঞেস করে সে কোন বিপদে পড়েছে কিনা। তখন তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জয় নিয়ে গেছে বললে তিনি তাকে সাহায্য করার আশ্বাস দেন। এসময় বৃষ্টি শুরু হলে তারা গোলাপশাহ মাজারের পাশের এটিএম বুথে গিয়ে আশ্রয় নেয়। বৃষ্টি থামার পর জয়ের সঙ্গে তার ঝামেলা মিটিয়ে দিয়ে মোবাইল এনে দেয়ার কথা বলে বাদল হোসেন তার পরিচিত বন্ধুর যাত্রাবাড়ি থানাধীন ৩৩১ দনিয়ার ৬ তলা বাসার একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর রাত গভীর হয়।
এজাহারে ধর্ষিতার বাবা আরো বলেছেন, ওই বাসায় আমার মেয়েকে রাতের খাবার খাওয়ানোর পর জয়ের সঙ্গে কথা বলবে বলে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যায়। এর মধ্যে ওই বাসার লোকজন ঘুমিয়ে গেলে বাদল হোসেন জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সকাল বেলা বাদল হোসেন জয়ের সঙ্গে কথা বলে গুলিস্তানের রাজধানী হোটেলের সামনে আমার মেয়েকে রেখে চলে যায়। তখন জয় আমাদের ফোন করে রাজধানী হোটেলের সামনে যেতে বলে। কিছুক্ষণ পর আমি ও আমার স্ত্রী সেখানে গেলে জয়ও সেখানে এসে পৌঁছায়। তখন আমরা হাঁটতে হাঁটতে চলে যাই সচিবালয়ে উল্টো পাশের একটি ভবনের সামনে। জয়ের কাছে তার মোবাইল ফোন ফেরত চাইলে তার সঙ্গে আমার মেয়ের কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সেখানে শাহবাগ থানা পুলিশ এসে ঘটনার বিষয়ে জানতে চায়। বিস্তারিত জানার পর তারা আমাদেরকে নিয়ে শাহবাগ থানায় নিয়ে যান।
এজাহার সূত্রে আরো জানা গেছে, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বাদল হোসেনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের গোপালপুরে। তিনি ওই এলাকার জসিম উদ্দিন ও সায়েরা বেগমের ছেলে। এছাড়া আরেক অভিযুক্ত অর্ক ঘোষ জয়ের বাড়িও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার রাধানগরে। সে ওই এলাকার সুভাষ চন্দ্র ঘোষ ও মমতা রানী ঘোষের ছেলে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার এসআই সুব্রত বিশ্বাস বলেন, জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা হয়েছে। তার জবানবন্দিও নেয়া হয়েছে।
কিছু দিন পর জয়ের বিভিন্ন খারাপ আচরণে তার কাছ থেকে দুরে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। আর এতেই তার প্রতি ক্ষিপ্ত হন জয়।
মারামারির ঘটনায় জরিমানা দিয়ে সে সৌদি থেকে দেশে ফিরে কৌশলে তার সঙ্গে দেখা করে। প্রথম দেখাতেই জয় ছিনিয়ে নিয়ে যায় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি। তারপর সে চলে যায় কলকাতায়। তিন মাস পরে সেখান থেকে এসে ভয়ভীতি দেখিয়ে আবার তাকে দেখা করতে বাধ্য করে। ওই দেখাতেই জয় তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে কৌশলে ভিডিও করে। পরে ওই ভিডিও দেখিয়ে জয় তাকে ব্ল্যাকমেইলিং করতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ফকিরাপুলের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। ধর্ষক জয়ের হাত থেকে বাঁচার জন্য নিজের ফোন নম্বরটি বন্ধ করে দেন ওই তরুণী। পরে কৌশলে আবারও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অর্ক। এক পর্যায়ে তার ফোন কেড়ে নিয়ে ছেড়ে দেয়। গুলিস্তান এলাকায় ফেলে যাওয়ার সময় ওই পুলিশ কনস্টেবল নিজে থেকেই তাকে সাহায্যের প্রস্তাব দেন। এক পর্যায়ে দুই সহকর্মীর বাসায় নিয়ে গিয়ে রাতভর ধর্ষণ করেন।
ধষর্ণের অভিযোগে থানায় করা মামলার এজাহারে তরুণীর বাবা উল্লেখ করেছেন, আমার মেয়েকে জয় মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সড়কের বঙ্গবন্ধু সমাজ কল্যাণ পরিষদের ভবনের পেছনের সিঁড়ির গোড়ায় টিনশেড রুমে দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের এই দৃশ্য সে আমার মেয়ের মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরে সেই মোবাইল তাকে ফেরত না দিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরাতে থাকে। এক পর্যায়ে মোবাইল ফোন ফেরত দেয়ার কথা বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাদে নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা বলতে থাকে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে জয় আমার মেয়েকে রিকশা করে গুলিস্তান মাজারের পশ্চিম পাশে একা রেখে যায়। ওই সময় পুলিশ কনস্টেবল বাদল হোসেন এসে আমার মেয়েকে জিজ্ঞেস করে সে কোন বিপদে পড়েছে কিনা। তখন তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জয় নিয়ে গেছে বললে তিনি তাকে সাহায্য করার আশ্বাস দেন। এসময় বৃষ্টি শুরু হলে তারা গোলাপশাহ মাজারের পাশের এটিএম বুথে গিয়ে আশ্রয় নেয়। বৃষ্টি থামার পর জয়ের সঙ্গে তার ঝামেলা মিটিয়ে দিয়ে মোবাইল এনে দেয়ার কথা বলে বাদল হোসেন তার পরিচিত বন্ধুর যাত্রাবাড়ি থানাধীন ৩৩১ দনিয়ার ৬ তলা বাসার একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর রাত গভীর হয়।
এজাহারে ধর্ষিতার বাবা আরো বলেছেন, ওই বাসায় আমার মেয়েকে রাতের খাবার খাওয়ানোর পর জয়ের সঙ্গে কথা বলবে বলে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যায়। এর মধ্যে ওই বাসার লোকজন ঘুমিয়ে গেলে বাদল হোসেন জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সকাল বেলা বাদল হোসেন জয়ের সঙ্গে কথা বলে গুলিস্তানের রাজধানী হোটেলের সামনে আমার মেয়েকে রেখে চলে যায়। তখন জয় আমাদের ফোন করে রাজধানী হোটেলের সামনে যেতে বলে। কিছুক্ষণ পর আমি ও আমার স্ত্রী সেখানে গেলে জয়ও সেখানে এসে পৌঁছায়। তখন আমরা হাঁটতে হাঁটতে চলে যাই সচিবালয়ে উল্টো পাশের একটি ভবনের সামনে। জয়ের কাছে তার মোবাইল ফোন ফেরত চাইলে তার সঙ্গে আমার মেয়ের কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সেখানে শাহবাগ থানা পুলিশ এসে ঘটনার বিষয়ে জানতে চায়। বিস্তারিত জানার পর তারা আমাদেরকে নিয়ে শাহবাগ থানায় নিয়ে যান।
এজাহার সূত্রে আরো জানা গেছে, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বাদল হোসেনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের গোপালপুরে। তিনি ওই এলাকার জসিম উদ্দিন ও সায়েরা বেগমের ছেলে। এছাড়া আরেক অভিযুক্ত অর্ক ঘোষ জয়ের বাড়িও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার রাধানগরে। সে ওই এলাকার সুভাষ চন্দ্র ঘোষ ও মমতা রানী ঘোষের ছেলে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার এসআই সুব্রত বিশ্বাস বলেন, জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা হয়েছে। তার জবানবন্দিও নেয়া হয়েছে।
No comments