গরুর মাংস ইস্যুতে এবার আসামে আরেক মুসলিমকে নির্যাতন, হত্যার হুমকি
গরুর
মাংস ভক্ষণ ও সংরক্ষণের দায়ে ২০১৫ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশে দাঙ্গাবাজরা
পিটিয়ে হত্যা করে মোহাম্মদ আখলাক নামে এক মুসলিমকে। তার ছেলে মোহাম্মদ
দানেশকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। এবার সেই ঘটনারই যেন পুনরাবৃত্তি ঘটেছে
আসামে। সেখানে বিশ্বনাথ জেলার একজন বাসিন্দা শওকত আলী। তাকে রোববার টার্গেট
করে দাঙ্গাবাজরা। তাদের অভিযোগ তিনি গরুর মাংস বিক্রি করেছেন। এ জন্য তাকে
মৌখিক প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয়েছে। অবমাননা করা হয়েছে।
নির্যাতন করা হয়েছে। হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এক পর্যায়ে তার মুখের ভিতর কাঁচা মাংস ঢুকিয়ে দেয় কিছু লোক। এ ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাতে শোনা যায় কিছু লোক শওকত আলীকে জিজ্ঞেস করছেন, কেন তুমি এখানে এই মাংস বিক্রি করতে এনেছ? আরেকজন তাকে প্রশ্ন করছেন, তুমি কি বাংলাদেশী? এনআরসিতে (নাগরিকপঞ্জি) কি তোমার নাম আছে? এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
শওকত আলীকে এভাবে নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। তাতে দাবি করা হয়েছে, শওকত আলীকে জোর করে কাঁচা মাংস খাওয়ানো হয়েছে তার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় শওকত আলী মাটিতে বসে আছেন। এ সময় তাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছে কিছু মানুষ। মৌখিক নির্যাতন করছেন। নির্যাতনও করা হচ্ছে। এক পর্যায়ে তাদের একজনকে দেখা যায় এক টুকরো মাংস নিয়ে জোর করে খাওয়াচ্ছেন শওকত আলীকে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বিশ্বনাথের এসপি রাকেশ রোউশন বলেছেন, এই ভিডিওটি জেনুইন মনে হচ্ছে। শওকত আলীর পরিবারের পক্ষ থেকে করা একটি এফআইআর গ্রহণ করেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছি। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বিশ্বনাথের ডিসি পবিত্র রাম খাউন্ড বলেছেন, আমরা আগেভাগেই সতর্কতামূলক সব ব্যবস্থা নিয়েছি। শান্তি ও সহনশীলতা বজায় রাখতে স্থানীয় সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছি। ঘটনার তদন্ত চলছে।
পরিবারের মতে, শওকত আলী খাদ্যপণ্য চাল ও মাংস বিক্রির একটি ছোট্ট দোকান চালান। সপ্তাহে রোববার ও বৃহস্পতিবার দুদিন তিনি সেখানে বেচাবিক্রি করেন। সপ্তাহের অন্যদিনে তিনি বিক্রি করেন বোরকা ও ধর্মীয় বিভিন্ন জিনিসপত্র।
শওকত আলীর ছোটভাই আবদুল রেহমান। তিনি স্থানীয় একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষক। তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, এখন থেকে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে আমার পরিবার চাল ও মাংস বিক্রির ওই দোকান পরিচালনা করে আসছে। ওই এলাকায় এমন চারটি দোকান আছে। এসব দোকানের খদ্দের হলেন মুসলিমরা ও ছোটখাট ক্রেতারা। ঘটনার দিন সম্ভবত আমাদের দোকানে ছিল মহিষের মাংস। রাতে দোকান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সামান্য আগে একদল দাঙ্গাবাজ সেখানে হানা দেয়। তারা শওকত আলীর ওপর হামলা করে। রড দিয়ে তাকে প্রহার করে। ছোট্ট দোকানটি ভাঙচুর করে। এমনকি শওকত আলী কাঁচা মাংস ভক্ষণ না করলে তাকে হত্যার হুমকি দেয় তারা।
আবদুল রেহমানের ভাষায়, আমার ভাই এখন হাসপাতালে। এই অঞ্চলে এর আগে আমরা এমন সাম্প্রদায়িকতা দেখি নি কখনো।
একই কথা বলেছেন, অল আসাম মাইনরিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সিনিয়র নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ। তিনিও বলেছেন, এমন ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি। হামলাকারীরা শওকতকে প্রহার করেছে। তাকে হুমকি দিয়েছে। টেনেহিঁচড়ে বের করেছে। তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগে আমরা বলেছি তাকে নির্যাতন করা হয়েছে।
নির্যাতন করা হয়েছে। হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এক পর্যায়ে তার মুখের ভিতর কাঁচা মাংস ঢুকিয়ে দেয় কিছু লোক। এ ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাতে শোনা যায় কিছু লোক শওকত আলীকে জিজ্ঞেস করছেন, কেন তুমি এখানে এই মাংস বিক্রি করতে এনেছ? আরেকজন তাকে প্রশ্ন করছেন, তুমি কি বাংলাদেশী? এনআরসিতে (নাগরিকপঞ্জি) কি তোমার নাম আছে? এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
শওকত আলীকে এভাবে নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। তাতে দাবি করা হয়েছে, শওকত আলীকে জোর করে কাঁচা মাংস খাওয়ানো হয়েছে তার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় শওকত আলী মাটিতে বসে আছেন। এ সময় তাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছে কিছু মানুষ। মৌখিক নির্যাতন করছেন। নির্যাতনও করা হচ্ছে। এক পর্যায়ে তাদের একজনকে দেখা যায় এক টুকরো মাংস নিয়ে জোর করে খাওয়াচ্ছেন শওকত আলীকে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বিশ্বনাথের এসপি রাকেশ রোউশন বলেছেন, এই ভিডিওটি জেনুইন মনে হচ্ছে। শওকত আলীর পরিবারের পক্ষ থেকে করা একটি এফআইআর গ্রহণ করেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছি। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বিশ্বনাথের ডিসি পবিত্র রাম খাউন্ড বলেছেন, আমরা আগেভাগেই সতর্কতামূলক সব ব্যবস্থা নিয়েছি। শান্তি ও সহনশীলতা বজায় রাখতে স্থানীয় সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছি। ঘটনার তদন্ত চলছে।
পরিবারের মতে, শওকত আলী খাদ্যপণ্য চাল ও মাংস বিক্রির একটি ছোট্ট দোকান চালান। সপ্তাহে রোববার ও বৃহস্পতিবার দুদিন তিনি সেখানে বেচাবিক্রি করেন। সপ্তাহের অন্যদিনে তিনি বিক্রি করেন বোরকা ও ধর্মীয় বিভিন্ন জিনিসপত্র।
শওকত আলীর ছোটভাই আবদুল রেহমান। তিনি স্থানীয় একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষক। তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, এখন থেকে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে আমার পরিবার চাল ও মাংস বিক্রির ওই দোকান পরিচালনা করে আসছে। ওই এলাকায় এমন চারটি দোকান আছে। এসব দোকানের খদ্দের হলেন মুসলিমরা ও ছোটখাট ক্রেতারা। ঘটনার দিন সম্ভবত আমাদের দোকানে ছিল মহিষের মাংস। রাতে দোকান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সামান্য আগে একদল দাঙ্গাবাজ সেখানে হানা দেয়। তারা শওকত আলীর ওপর হামলা করে। রড দিয়ে তাকে প্রহার করে। ছোট্ট দোকানটি ভাঙচুর করে। এমনকি শওকত আলী কাঁচা মাংস ভক্ষণ না করলে তাকে হত্যার হুমকি দেয় তারা।
আবদুল রেহমানের ভাষায়, আমার ভাই এখন হাসপাতালে। এই অঞ্চলে এর আগে আমরা এমন সাম্প্রদায়িকতা দেখি নি কখনো।
একই কথা বলেছেন, অল আসাম মাইনরিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সিনিয়র নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ। তিনিও বলেছেন, এমন ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি। হামলাকারীরা শওকতকে প্রহার করেছে। তাকে হুমকি দিয়েছে। টেনেহিঁচড়ে বের করেছে। তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগে আমরা বলেছি তাকে নির্যাতন করা হয়েছে।
No comments