ভারত-ইসরাইলের নেতারা নৈতিকভাবে দেউলিয়া -ইমরান খান
ভারত
ও ইসরাইলের নেতারা নৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এই দুটি দেশের নেতারা আন্তর্জাতিক
আইন ও নিজেদের সংবিধানকে অবজ্ঞা করে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন কাশ্মির ও
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর। এর কারণ একটাই। তাহলো তারা ভোটের জন্য এসব করছেন।
মঙ্গলবার সরাসরি এ দুটি দেশের নেতাদের আক্রমণ করে এমন কথা বলেছেন ইমরান। এ
খবর দিয়েছে পাকিস্তানের অনলাইন ডন।
ইমরান খান প্রশ্ন রাখেন, আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলুশন, এমন কি নিজেদের সংবিধানের তোয়াক্কা না করে যখন ইসরাইল ও ভারতের নেতারা পশ্চিম তীর ও ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে তাদের দখলদারিত্ব সম্প্রসারণ করার জন্য প্রস্তুত থাকেন, তখন তারা তাদের নৈতিক দেউলিয়াপনা প্রদর্শন করেন। ইমরান খান প্রশ্ন রাখেন, তাদের জনগণের ক্ষোভের বিষয়টি কি তারা অনুভব করেন না? বিস্ময় লাগে এমন একটি নির্বাচনে স্রেফ বিজয় অর্জনের মাধ্যমে এসব নেতা কতদূর যেতে পারবেন?
উল্লেখ্য, আজ মঙ্গলবার ইসরাইলে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।
এতে নির্ধারণ হবে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পঞ্চম দফায় ক্ষমতায় থাকতে পারবেন কিনা।
যদি তিনি এটা নিশ্চিত করতে পারেন তাহলে তিনিই হবেন ইসরাইলে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা রাজনীতিক। তিনি আজ কঠিন নির্বাচনী লড়াইয়ে মুখোমুখি অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সেনাপ্রধান বেনি গান্টজ-এর। গান্টজ-এর ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টি জনমত জরিপে নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির থেকে এগিয়ে আছে।
ইসরাইলে নেতানিয়াহুর দীর্ঘ দুর্নীতির ধারাবাহিক অভিযোগ আছে। এতে তার জেতার সম্ভাবনা মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল বলে জানিয়েছে জনমত জরিপ। কিন্তু সম্প্রতি গোলান মালভূমিকে ইসরাইলের বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এতে তার নির্বাচনে জেতার সুযোগ আলোকিত হতে পারে। ১৯৬৭ সালে ইসরাইলের কাছ থেকে গোলান মালভূমি দখল করে ইসরাইল। তারপর থেকে ওই ভূমির ওপর দখলদারিত্ব বহাল রেখেছে তারা। কয়েকদিন আগে ওই গোলান মালভূমিতে ইসরাইলি সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প। কিন্তু আন্তর্জাতিক দুনিয়া কখনোই গোলান মালভূমিকে ইসরাইলের বলে স্বীকৃতি দেয় নি। ট্রাম্পের দেয়া ওই স্বীকৃতিতে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এখানেই শেষ নয়। নেতানিয়াহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি নির্বাচিত হলে দখলীকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ করবেন। কিন্তু এই পশ্চিম তীরকে ফিলিস্তিনিরা দেখে থাকে তাদের ভবিষ্যত রাষ্ট্র হিসেবে। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে নেতানিয়াহুকে এক সাক্ষাতকারে প্রশ্ন করা হয়েছিল এ নিয়ে। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ইসরাইল যেমন দখলীকৃত গোলান উপত্যাকা ও পূর্ব জেরুজালেমে তাদের সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করেছে, পশ্চিম তীরে কেন তা করা হয় নি? জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, আমি ইসরাইলি সার্বভৌমত্বকে সম্প্রসারিত করতে যাচ্ছি। আমি বসতি স্থাপনকারী ব্লক এবং বসতি নেই এমন এলাকাকে আলাদা করে দেখি না।
তার এ বক্তব্যকে কা-জ্ঞানহীনের মতো কথাবার্তা বলে আখ্যায়িত করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ইসরাইলের জাতীয় নির্বাচনের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে ভোট লুফে নেয়ার জন্য এমন মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু। জেনেভা কনভেনশনের অধীনে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকে অবৈধ হিসেবে আখ্যায়িত করছে ফিলিস্তিন ও অন্য অনেক দেশ। এমন বিরোধের তোয়াক্কাই করে না ইসরাইল।
অন্যদিকে ভারতে লোকসভার নির্বাচন শুরু হচ্ছে ১১ই এপ্রিল। এ নির্বাচনে উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াই করছে। এ নির্বাচনে ভোট দেবেন প্রায় ৯০ কোটি বৈধ ভোটার। নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েন হচ্ছে হাজার হাজার নিরাপত্তা রক্ষী। কিন্তু সোমবার দলটি তাদের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টো প্রকাশ করেছে।
এতে কয়েক দশক ধরে দখলীকৃত কাশ্মিরের জনগণকে দেয়া বিশেষ অধিকার কেড়ে নেয়ার কথা বলা হয়েছে। নির্বাচনী এমন প্রতিশ্রুতিতে মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মিরে ভিন্ন ফল আনতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। এ বিষয়ে জম্মু-কাশ্মিরে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি দিল্লিকে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, অনুচ্ছেদ ৩৭০ এর অধীনে জম্মু ও কাশ্মির ভারতের সঙ্গে থাকতে বাধ্য এবং এটা একটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। যখন এই সেতু ধ্বংস করে দেয়া হবে, তখন কাশ্মিরে ভারতের নিয়ন্ত্রণ অবৈধ হয়ে যাবে। তখন ভারত হবে একটি দখলদার দেশ।
ইমরান খান প্রশ্ন রাখেন, আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলুশন, এমন কি নিজেদের সংবিধানের তোয়াক্কা না করে যখন ইসরাইল ও ভারতের নেতারা পশ্চিম তীর ও ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে তাদের দখলদারিত্ব সম্প্রসারণ করার জন্য প্রস্তুত থাকেন, তখন তারা তাদের নৈতিক দেউলিয়াপনা প্রদর্শন করেন। ইমরান খান প্রশ্ন রাখেন, তাদের জনগণের ক্ষোভের বিষয়টি কি তারা অনুভব করেন না? বিস্ময় লাগে এমন একটি নির্বাচনে স্রেফ বিজয় অর্জনের মাধ্যমে এসব নেতা কতদূর যেতে পারবেন?
উল্লেখ্য, আজ মঙ্গলবার ইসরাইলে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।
এতে নির্ধারণ হবে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পঞ্চম দফায় ক্ষমতায় থাকতে পারবেন কিনা।
যদি তিনি এটা নিশ্চিত করতে পারেন তাহলে তিনিই হবেন ইসরাইলে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা রাজনীতিক। তিনি আজ কঠিন নির্বাচনী লড়াইয়ে মুখোমুখি অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সেনাপ্রধান বেনি গান্টজ-এর। গান্টজ-এর ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টি জনমত জরিপে নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির থেকে এগিয়ে আছে।
ইসরাইলে নেতানিয়াহুর দীর্ঘ দুর্নীতির ধারাবাহিক অভিযোগ আছে। এতে তার জেতার সম্ভাবনা মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল বলে জানিয়েছে জনমত জরিপ। কিন্তু সম্প্রতি গোলান মালভূমিকে ইসরাইলের বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এতে তার নির্বাচনে জেতার সুযোগ আলোকিত হতে পারে। ১৯৬৭ সালে ইসরাইলের কাছ থেকে গোলান মালভূমি দখল করে ইসরাইল। তারপর থেকে ওই ভূমির ওপর দখলদারিত্ব বহাল রেখেছে তারা। কয়েকদিন আগে ওই গোলান মালভূমিতে ইসরাইলি সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প। কিন্তু আন্তর্জাতিক দুনিয়া কখনোই গোলান মালভূমিকে ইসরাইলের বলে স্বীকৃতি দেয় নি। ট্রাম্পের দেয়া ওই স্বীকৃতিতে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এখানেই শেষ নয়। নেতানিয়াহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি নির্বাচিত হলে দখলীকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ করবেন। কিন্তু এই পশ্চিম তীরকে ফিলিস্তিনিরা দেখে থাকে তাদের ভবিষ্যত রাষ্ট্র হিসেবে। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে নেতানিয়াহুকে এক সাক্ষাতকারে প্রশ্ন করা হয়েছিল এ নিয়ে। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ইসরাইল যেমন দখলীকৃত গোলান উপত্যাকা ও পূর্ব জেরুজালেমে তাদের সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করেছে, পশ্চিম তীরে কেন তা করা হয় নি? জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, আমি ইসরাইলি সার্বভৌমত্বকে সম্প্রসারিত করতে যাচ্ছি। আমি বসতি স্থাপনকারী ব্লক এবং বসতি নেই এমন এলাকাকে আলাদা করে দেখি না।
তার এ বক্তব্যকে কা-জ্ঞানহীনের মতো কথাবার্তা বলে আখ্যায়িত করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ইসরাইলের জাতীয় নির্বাচনের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে ভোট লুফে নেয়ার জন্য এমন মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু। জেনেভা কনভেনশনের অধীনে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকে অবৈধ হিসেবে আখ্যায়িত করছে ফিলিস্তিন ও অন্য অনেক দেশ। এমন বিরোধের তোয়াক্কাই করে না ইসরাইল।
অন্যদিকে ভারতে লোকসভার নির্বাচন শুরু হচ্ছে ১১ই এপ্রিল। এ নির্বাচনে উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াই করছে। এ নির্বাচনে ভোট দেবেন প্রায় ৯০ কোটি বৈধ ভোটার। নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েন হচ্ছে হাজার হাজার নিরাপত্তা রক্ষী। কিন্তু সোমবার দলটি তাদের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টো প্রকাশ করেছে।
এতে কয়েক দশক ধরে দখলীকৃত কাশ্মিরের জনগণকে দেয়া বিশেষ অধিকার কেড়ে নেয়ার কথা বলা হয়েছে। নির্বাচনী এমন প্রতিশ্রুতিতে মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মিরে ভিন্ন ফল আনতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। এ বিষয়ে জম্মু-কাশ্মিরে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি দিল্লিকে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, অনুচ্ছেদ ৩৭০ এর অধীনে জম্মু ও কাশ্মির ভারতের সঙ্গে থাকতে বাধ্য এবং এটা একটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। যখন এই সেতু ধ্বংস করে দেয়া হবে, তখন কাশ্মিরে ভারতের নিয়ন্ত্রণ অবৈধ হয়ে যাবে। তখন ভারত হবে একটি দখলদার দেশ।
No comments